তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর তালতলী উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার অনিয়মের বিষয় উপস্থাপন করেন শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হলে ইউপি চেয়ারম্যানকে সভা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন বলে ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে তালতলী উপজেলা পরিষদের পায়রা হলরুমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে। সভায় শারিকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশা তালুকদার তাঁর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার তালিকায় অনিয়ম হয়েছে বলে জানান ইউএনও মো. কাওছার হোসেনকে। তখন ইউএনও ঘর যাচাই-বাচাইয়ের কর্মকর্তা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা ফিরোজ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চেয়ারম্যান জানেন ও তিনি স্বাক্ষর করেছেন। তখনই চেয়ারম্যান প্রতিবাদ করলে তাঁকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা বলেন আপনি পাগল হয়েছেন। সেই উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন আপনি পাগল হয়েছেন। এর ভেতরেই চেয়ারম্যানকে ইউএনও উচ্চৈঃস্বরে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ধমক দিয়ে বলেন, আপনি আর সভায় আসবেন না। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান ও ইউএনওর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একসময় ওই ইউপি চেয়ারম্যান বের হয়ে যান। সভাকক্ষে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় অংশগ্রহণ করা একাধিক ব্যক্তি বলেন, সভা চলাকালে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, সেটা আসলেই দুঃখজনক। চেয়ারম্যান একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, তাঁর সঙ্গে ইউএনওর এমন উচ্চৈঃস্বরে ধমক দেওয়া ঠিক হয়নি।
শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশা তালুকদার বলেন, ‘সভায় আমার ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫টি ঘর দেওয়া হয়েছে। সেখানে কিছু অনিয়ম হয়েছে। এমনকি আমাকে এই ঘরের বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাই বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। এই সময় ঘর যাচাই-বাচাইয়ের কর্মকর্তা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা আমাকে পাগল বলেন। আমিও বলেছি আপনি পাগল হইছেন। এ নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে আমার বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইউএনও উচ্চৈঃস্বরে ধমক দিয়ে বলেন চুপচাপ বসেন, না হয় সভা থেকে চলে যান। তিনি জানান, আমি সাংসদ ও জেলা প্রশাসকের কাছে বিচার দেব। আমাকে কেন এভাবে অপমান করলেন তিনি।
ছোট বগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মু. তৌফিকউজ্জামান তনু বলেন, ‘ইউএনও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিসহ সব মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। একজন সম্মানিত ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক।’
ঘর তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা ফিরোজ আলমের ফোনে একাধিকবার কল করলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এমনিতেই আলোচনা হয়েছে। কিছুই হয়নি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওছার হোসেন বলেন, ‘বাদশা তালুকদার আমাদের পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান। আমাদের পরিষদের সভা চলাকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে কথা হয়েছে। ওনার ইউনিয়নের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর যাচাই-বাছাই কর্মকর্তা হিসেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা ফিরোজ আলম দায়িত্বে ছিলেন। সভায় চেয়ারম্যান ওই কর্মকর্তাকে পাগল বলেছেন। একজন কর্মকর্তাকে তিনি পাগল বলতে পারেন না। এ জন্য তাঁকে বলা হয়েছে এটা সভা, এখানে গঠনমূলক কথা বলেন। এর বাইরে কিছুই হয়নি। তিনি যে অভিযোগ করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
পটুয়াখালীর তালতলী উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার অনিয়মের বিষয় উপস্থাপন করেন শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হলে ইউপি চেয়ারম্যানকে সভা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন বলে ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে তালতলী উপজেলা পরিষদের পায়রা হলরুমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে। সভায় শারিকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশা তালুকদার তাঁর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার তালিকায় অনিয়ম হয়েছে বলে জানান ইউএনও মো. কাওছার হোসেনকে। তখন ইউএনও ঘর যাচাই-বাচাইয়ের কর্মকর্তা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা ফিরোজ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চেয়ারম্যান জানেন ও তিনি স্বাক্ষর করেছেন। তখনই চেয়ারম্যান প্রতিবাদ করলে তাঁকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা বলেন আপনি পাগল হয়েছেন। সেই উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন আপনি পাগল হয়েছেন। এর ভেতরেই চেয়ারম্যানকে ইউএনও উচ্চৈঃস্বরে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ধমক দিয়ে বলেন, আপনি আর সভায় আসবেন না। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান ও ইউএনওর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একসময় ওই ইউপি চেয়ারম্যান বের হয়ে যান। সভাকক্ষে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় অংশগ্রহণ করা একাধিক ব্যক্তি বলেন, সভা চলাকালে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, সেটা আসলেই দুঃখজনক। চেয়ারম্যান একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, তাঁর সঙ্গে ইউএনওর এমন উচ্চৈঃস্বরে ধমক দেওয়া ঠিক হয়নি।
শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশা তালুকদার বলেন, ‘সভায় আমার ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫টি ঘর দেওয়া হয়েছে। সেখানে কিছু অনিয়ম হয়েছে। এমনকি আমাকে এই ঘরের বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাই বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। এই সময় ঘর যাচাই-বাচাইয়ের কর্মকর্তা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা আমাকে পাগল বলেন। আমিও বলেছি আপনি পাগল হইছেন। এ নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে আমার বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইউএনও উচ্চৈঃস্বরে ধমক দিয়ে বলেন চুপচাপ বসেন, না হয় সভা থেকে চলে যান। তিনি জানান, আমি সাংসদ ও জেলা প্রশাসকের কাছে বিচার দেব। আমাকে কেন এভাবে অপমান করলেন তিনি।
ছোট বগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মু. তৌফিকউজ্জামান তনু বলেন, ‘ইউএনও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিসহ সব মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। একজন সম্মানিত ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক।’
ঘর তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা ফিরোজ আলমের ফোনে একাধিকবার কল করলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এমনিতেই আলোচনা হয়েছে। কিছুই হয়নি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওছার হোসেন বলেন, ‘বাদশা তালুকদার আমাদের পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান। আমাদের পরিষদের সভা চলাকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে কথা হয়েছে। ওনার ইউনিয়নের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর যাচাই-বাছাই কর্মকর্তা হিসেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় কর্মকর্তা ফিরোজ আলম দায়িত্বে ছিলেন। সভায় চেয়ারম্যান ওই কর্মকর্তাকে পাগল বলেছেন। একজন কর্মকর্তাকে তিনি পাগল বলতে পারেন না। এ জন্য তাঁকে বলা হয়েছে এটা সভা, এখানে গঠনমূলক কথা বলেন। এর বাইরে কিছুই হয়নি। তিনি যে অভিযোগ করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে