সম্পাদকীয়
কিছুদিন আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে যে শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হলো, সেই ঘটনা নিয়ে মন খারাপ করা কোনো গল্প লেখা যেতে পারে, কিংবা নির্মিত হতে পারে সিনেমা। কিন্তু শিশুটি আর ফিরবে না মা-বাবার কোলে। তাই অনেক মা-বাবা আর পুরো পরিবার মিলে শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়ার নানা কৌশল হয়তো অবলম্বন করবেন। শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ প্রায়ই হয়, নতুন বিষয় না হলেও তা আতঙ্কের। অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের নিয়ে বেশ সচেতন থাকে এ ব্যাপারে। অনেকে বুঝতেই পারে না খুব কাছের কারও দ্বারাই যে তাদের সন্তান ধর্ষণের শিকার বা খুন হতে পারে। যেমনটা বুঝতে পারেনি কেরানীগঞ্জের ওই শিশুটির পরিবার।
শিশুটি ১৩ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হলে তার বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই জিডির সূত্র ধরে রোকন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ, যিনি কিনা শিশুটির বাবার গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী। বন্ধুত্বও ছিল তাদের মধ্যে। শিশুটি তাঁকে চাচা বলে ডাকত। অথচ এই সরলতার সুযোগ নেন তিনি।
আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে রোকন ভাওয়ারভিটি গ্রামের হামিদ সিটি রিয়েল এস্টেটের প্রিয় প্রাঙ্গণ প্রকল্পে নিয়ে যান। এলাকার নির্জনতার সুযোগে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে বালুর মধ্যে গর্ত করে লাশ লুকিয়ে রাখেন। আর শিশুটির কান থেকে সোনার দুল খুলে রোকন বিক্রি করে দেন স্থানীয় একটি দোকানে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা যে রোকনই ঘটিয়েছেন তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে প্রিয় প্রাঙ্গণ প্রকল্পের সীমানা দেয়ালের পাশ থেকে। আর শিশুটির কানের দুল স্থানীয় সোনা ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে খবর ছাপা হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
এখন হয়তো আইন অনুযায়ী রোকনের শাস্তি হবে। কিন্তু যা হবে না—শিশুটির বাবা আর কোনো দিন কোনো বন্ধু বা আত্মীয়কে বিশ্বাস বা ভরসা করতে পারবেন না, শিশুটিও ফিরে আসবে না তার পরিবারের কাছে। ইদানীং অনেক সচেতন মা-বাবা তাঁদের শিশুদের শিখিয়ে থাকেন কোনটা ‘ভালো স্পর্শ’ আর কোনটা ‘মন্দ স্পর্শ’, কাকে স্পর্শ করতে দেওয়া যায় আর কে স্পর্শ করলে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে হয়। এই শিক্ষাগুলো প্রতিটি পরিবার বা স্কুল থেকে শিশুদের দেওয়া উচিত।
কিন্তু এর চেয়ে বড় শিক্ষা যদি রোকনরা পেত, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎরা অনিরাপদ থাকত না। রোকনদের শিক্ষা দেওয়া উচিত নারীকে সম্মান করার, শিশুকে স্নেহ করার, লোভ দমন করার, নিজের ভেতরের পশুটাকে জাগতে না দেওয়ার। সেই শিক্ষাটা শিশুকাল থেকেই দিতে হবে—পরিবার ও স্কুল থেকে। নয়তো ‘মানুষ’ আর ‘পশু’ সমার্থক হয়ে যাবে।
কিছুদিন আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে যে শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হলো, সেই ঘটনা নিয়ে মন খারাপ করা কোনো গল্প লেখা যেতে পারে, কিংবা নির্মিত হতে পারে সিনেমা। কিন্তু শিশুটি আর ফিরবে না মা-বাবার কোলে। তাই অনেক মা-বাবা আর পুরো পরিবার মিলে শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়ার নানা কৌশল হয়তো অবলম্বন করবেন। শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ প্রায়ই হয়, নতুন বিষয় না হলেও তা আতঙ্কের। অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের নিয়ে বেশ সচেতন থাকে এ ব্যাপারে। অনেকে বুঝতেই পারে না খুব কাছের কারও দ্বারাই যে তাদের সন্তান ধর্ষণের শিকার বা খুন হতে পারে। যেমনটা বুঝতে পারেনি কেরানীগঞ্জের ওই শিশুটির পরিবার।
শিশুটি ১৩ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হলে তার বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই জিডির সূত্র ধরে রোকন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ, যিনি কিনা শিশুটির বাবার গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী। বন্ধুত্বও ছিল তাদের মধ্যে। শিশুটি তাঁকে চাচা বলে ডাকত। অথচ এই সরলতার সুযোগ নেন তিনি।
আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে রোকন ভাওয়ারভিটি গ্রামের হামিদ সিটি রিয়েল এস্টেটের প্রিয় প্রাঙ্গণ প্রকল্পে নিয়ে যান। এলাকার নির্জনতার সুযোগে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে বালুর মধ্যে গর্ত করে লাশ লুকিয়ে রাখেন। আর শিশুটির কান থেকে সোনার দুল খুলে রোকন বিক্রি করে দেন স্থানীয় একটি দোকানে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা যে রোকনই ঘটিয়েছেন তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে প্রিয় প্রাঙ্গণ প্রকল্পের সীমানা দেয়ালের পাশ থেকে। আর শিশুটির কানের দুল স্থানীয় সোনা ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে খবর ছাপা হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
এখন হয়তো আইন অনুযায়ী রোকনের শাস্তি হবে। কিন্তু যা হবে না—শিশুটির বাবা আর কোনো দিন কোনো বন্ধু বা আত্মীয়কে বিশ্বাস বা ভরসা করতে পারবেন না, শিশুটিও ফিরে আসবে না তার পরিবারের কাছে। ইদানীং অনেক সচেতন মা-বাবা তাঁদের শিশুদের শিখিয়ে থাকেন কোনটা ‘ভালো স্পর্শ’ আর কোনটা ‘মন্দ স্পর্শ’, কাকে স্পর্শ করতে দেওয়া যায় আর কে স্পর্শ করলে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে হয়। এই শিক্ষাগুলো প্রতিটি পরিবার বা স্কুল থেকে শিশুদের দেওয়া উচিত।
কিন্তু এর চেয়ে বড় শিক্ষা যদি রোকনরা পেত, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎরা অনিরাপদ থাকত না। রোকনদের শিক্ষা দেওয়া উচিত নারীকে সম্মান করার, শিশুকে স্নেহ করার, লোভ দমন করার, নিজের ভেতরের পশুটাকে জাগতে না দেওয়ার। সেই শিক্ষাটা শিশুকাল থেকেই দিতে হবে—পরিবার ও স্কুল থেকে। নয়তো ‘মানুষ’ আর ‘পশু’ সমার্থক হয়ে যাবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে