নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের ৬ হাজার টিকাকেন্দ্রের ১৬ হাজার ১৮৩টি বুথে আগামীকাল মঙ্গলবার ৮০ লাখ মানুষকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে টিকা দিতে বিশেষ ক্যাম্পেইন হচ্ছে। টিকা নিতে যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের সঙ্গে ৪০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও দুর্গম এলাকার মানুষের এদিন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে। ২৫ বছরের বেশি বয়সীরা এই ক্যাম্পেইন থেকে টিকা পাবেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে টিকার এই ক্যাম্পেইন চলবে। চলমান টিকা দেওয়া হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যাঁরা সব সময় টিকা নিতে আসতে পারেন না এবং বয়স্কদের টিকা দিতে এই ক্যাম্পেইন করা হবে। ৮০ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য। এর আগে একবারে ৪৫ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। এবার টিকা দেওয়ার সক্ষমতাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের ৪৪৩টি ওয়ার্ডে মঙ্গলবার ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী টিকা কার্যক্রমে অংশ নেবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি করে, পৌরসভায় একটি করে এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথ থেকে টিকা দেওয়া হবে।
বয়স্কদের অগ্রাধিকার
বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ২৫ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। তবে ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগে যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের টিকা দেব। ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। টিকা কার্যক্রমের প্রথম দুই ঘণ্টায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নারী ও প্রতিবন্ধীদের টিকা দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেও টিকা নেওয়া যাবে। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের টিকা দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে, পরের মাসে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাবেন তাঁরা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইপিআইয়ের মাধ্যমেও রুটিন টিকাদান চলমান থাকবে।’
এর আগে গণটিকাদানের সময় অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘ লাইন নিয়ে এক প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁদের ডাকা হয়নি, তাঁরাও টিকা নিতে আসায় দীর্ঘ লাইন হয়েছিল। মাডার্না ও ফাইজার যেসব কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে লাইন বেশি হয়েছিল। কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বাড়ে। এবার যদি সবাই সহযোগিতা করেন, গতবারের মতো সমস্যা হবে না। নিবন্ধন যে যেখানে করেছেন, সেখানেই টিকা নিতে যেতে হবে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ১৭ হাজার বেডের ৮৫ শতাংশ খালি আছে। কোভিড এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। সবার প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি লাভ করেছে। জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এর পেছনের কারণ হলো ভ্যাকসিন। শুরু থেকেই টিকা আনার চেষ্টা করছি। সব মিলিয়ে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। চীন থেকে ৭ কোটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সাড়ে ১০ কোটি, কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা পাব।’
টিকা এসেছে সাড়ে ৫ কোটি
৫ কোটি ৫২ লাখ টিকা হাতে পাওয়া গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২ কোটি ৪২ লাখ প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৬০ লাখ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দেড় কোটি ডোজ আমাদের কাছে আছে। টিকা দেশে তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাঁর টিকার প্রয়োজন আছে বিনা মূল্যে তা দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি ২৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯৬৫ জন পুরুষ এবং ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬০৪ জন নারী। করোনা টিকা নিতে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৪ কোটি ৪১ লাখ ১৫ হাজার ১৪৫ জন নিবন্ধন করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ক্যাম্পেইনসহ মাসে ২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে টিকা পেলে মাসে ২ কোটির বেশি টিকা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আরেক প্রশ্নে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা পাওয়ার ওপর এটা নির্ভর করবে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে টিকার সংখ্যা বাড়বে।
নিবন্ধন করেও অনেকে টিকা পাচ্ছেন না, এই ক্যাম্পেইনে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অপেক্ষায় থাকাদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করব। এক দিনে ২৫ লাখ মানুষও রেজিস্ট্রেশন করেছেন, এ জন্য একটু জট হয়ে গেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী এখনো টিকার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাঁদের নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাঁরা চাকরিতে যাবেন, তাঁরা যেন টিকা নিয়ে যেতে পারেন সেই চেষ্টা আমরা করছি। বিদেশ যেতে যাঁদের ফাইজার দরকার হয়েছে, আমরা দিয়েছি। আরব আমিরাতের কিছু কর্মী আটকা পড়েছেন। কারণ সেখানে যেতে এয়ারপোর্টে ছয় ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করতে হয়।’
টিকা নিয়েও অনেকে সনদ পাচ্ছেন না জানালে মন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি মন্ত্রণালয় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই কাজ করে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আইসিটি বিভাগই এটা দেখভাল করবে। সনদ পেতে যাতে দীর্ঘসূত্রতা না হয়, আমরা সেই চেষ্টা করব।’
আজ আসছে ২৫ লাখ টিকা
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ সোমবার রাতে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসবে। এর আগে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে দুই দফায় ১১ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দফার টিকা নিয়ে ফাইজারের ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা দেশে আসবে। চীনের সিনোফার্মার ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি অনুযায়ী এ মাস থেকেই প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ করে টিকা দেশে আসার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আরও সাড়ে ১০ কোটি ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
দেশের ৬ হাজার টিকাকেন্দ্রের ১৬ হাজার ১৮৩টি বুথে আগামীকাল মঙ্গলবার ৮০ লাখ মানুষকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে টিকা দিতে বিশেষ ক্যাম্পেইন হচ্ছে। টিকা নিতে যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের সঙ্গে ৪০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও দুর্গম এলাকার মানুষের এদিন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে। ২৫ বছরের বেশি বয়সীরা এই ক্যাম্পেইন থেকে টিকা পাবেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে টিকার এই ক্যাম্পেইন চলবে। চলমান টিকা দেওয়া হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যাঁরা সব সময় টিকা নিতে আসতে পারেন না এবং বয়স্কদের টিকা দিতে এই ক্যাম্পেইন করা হবে। ৮০ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য। এর আগে একবারে ৪৫ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। এবার টিকা দেওয়ার সক্ষমতাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের ৪৪৩টি ওয়ার্ডে মঙ্গলবার ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী টিকা কার্যক্রমে অংশ নেবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি করে, পৌরসভায় একটি করে এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথ থেকে টিকা দেওয়া হবে।
বয়স্কদের অগ্রাধিকার
বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ২৫ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। তবে ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগে যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের টিকা দেব। ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। টিকা কার্যক্রমের প্রথম দুই ঘণ্টায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নারী ও প্রতিবন্ধীদের টিকা দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেও টিকা নেওয়া যাবে। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের টিকা দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে, পরের মাসে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাবেন তাঁরা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইপিআইয়ের মাধ্যমেও রুটিন টিকাদান চলমান থাকবে।’
এর আগে গণটিকাদানের সময় অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘ লাইন নিয়ে এক প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁদের ডাকা হয়নি, তাঁরাও টিকা নিতে আসায় দীর্ঘ লাইন হয়েছিল। মাডার্না ও ফাইজার যেসব কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে লাইন বেশি হয়েছিল। কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বাড়ে। এবার যদি সবাই সহযোগিতা করেন, গতবারের মতো সমস্যা হবে না। নিবন্ধন যে যেখানে করেছেন, সেখানেই টিকা নিতে যেতে হবে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ১৭ হাজার বেডের ৮৫ শতাংশ খালি আছে। কোভিড এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। সবার প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি লাভ করেছে। জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এর পেছনের কারণ হলো ভ্যাকসিন। শুরু থেকেই টিকা আনার চেষ্টা করছি। সব মিলিয়ে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। চীন থেকে ৭ কোটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সাড়ে ১০ কোটি, কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা পাব।’
টিকা এসেছে সাড়ে ৫ কোটি
৫ কোটি ৫২ লাখ টিকা হাতে পাওয়া গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২ কোটি ৪২ লাখ প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৬০ লাখ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দেড় কোটি ডোজ আমাদের কাছে আছে। টিকা দেশে তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাঁর টিকার প্রয়োজন আছে বিনা মূল্যে তা দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি ২৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯৬৫ জন পুরুষ এবং ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬০৪ জন নারী। করোনা টিকা নিতে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৪ কোটি ৪১ লাখ ১৫ হাজার ১৪৫ জন নিবন্ধন করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ক্যাম্পেইনসহ মাসে ২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে টিকা পেলে মাসে ২ কোটির বেশি টিকা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আরেক প্রশ্নে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা পাওয়ার ওপর এটা নির্ভর করবে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে টিকার সংখ্যা বাড়বে।
নিবন্ধন করেও অনেকে টিকা পাচ্ছেন না, এই ক্যাম্পেইনে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অপেক্ষায় থাকাদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করব। এক দিনে ২৫ লাখ মানুষও রেজিস্ট্রেশন করেছেন, এ জন্য একটু জট হয়ে গেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী এখনো টিকার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাঁদের নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাঁরা চাকরিতে যাবেন, তাঁরা যেন টিকা নিয়ে যেতে পারেন সেই চেষ্টা আমরা করছি। বিদেশ যেতে যাঁদের ফাইজার দরকার হয়েছে, আমরা দিয়েছি। আরব আমিরাতের কিছু কর্মী আটকা পড়েছেন। কারণ সেখানে যেতে এয়ারপোর্টে ছয় ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করতে হয়।’
টিকা নিয়েও অনেকে সনদ পাচ্ছেন না জানালে মন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি মন্ত্রণালয় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই কাজ করে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আইসিটি বিভাগই এটা দেখভাল করবে। সনদ পেতে যাতে দীর্ঘসূত্রতা না হয়, আমরা সেই চেষ্টা করব।’
আজ আসছে ২৫ লাখ টিকা
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ সোমবার রাতে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসবে। এর আগে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে দুই দফায় ১১ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দফার টিকা নিয়ে ফাইজারের ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা দেশে আসবে। চীনের সিনোফার্মার ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি অনুযায়ী এ মাস থেকেই প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ করে টিকা দেশে আসার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আরও সাড়ে ১০ কোটি ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৫ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে