মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় বাগান ও ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। ফসল উৎপাদনের চেয়ে মাছ উৎপাদন সহজ ও লাভজনক এমন প্রলোভন দিয়ে ভূমি মালিকদের পুকুর খননে প্রলুব্ধ করছে অসাধু একটি চক্র। গত ১০ বছরে এ উপজেলায় কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। তবে এর কোনো পরিসংখ্যান নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাধাহীনভাবে যত্রতত্র পুকুর খনন করায় প্রতিনিয়ত কমছে ফসলি জমি। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ফসলি জমির পরিমাণ ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। ইচ্ছে করলেই ওইসব জমিতে ফসল উৎপাদনে আর যেতে পারবেন না ওই ভূমি মালিকেরা। এতে ‘শস্যভান্ডার’ নামে খ্যাত এ উপজেলা অতীতের গৌরব হারিয়ে ফেলবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক বছর মান্দা উপজেলায় পুকুর খননের প্রবণতা দেখা দেয়। গত দুই বছর তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এবারের খরা মৌসুমে মহোৎসবে পরিণত হয়। ভূমি মালিকেরা যেভাবে পারছেন ফসলি জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে পুকুর খনন করছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন দুয়েকটি অভিযান পরিচালনা করলেও থামছে না পুকুর খনন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ভারশোঁ, পরানপুর, তেঁতুলিয়া, কালিকাপুর, বিষ্ণুপুর, কাঁশোপাড়া ও মৈনম ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি জমিতে নির্বিচারে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এ কাজের সঙ্গে জড়িত এক শ্রেণির অসাধু সিন্ডিকেট বিভিন্ন কৌশলে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, উত্তরাঞ্চল খরাপ্রবণ এলাকা। ক্রমেই এ অঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে। ফসল উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এ কারণে ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার করতে হচ্ছে। এরই সঙ্গে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা হলে পরিবেশের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। দেশে বর্তমানে খাদ্য ঘাটতি না থাকলেও ভবিষ্যতে বিশাল খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ৩৭ হাজার ৭১৯ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদি জমির পরিমাণ ২৭ হাজার ৮৫১ হেক্টর। জনসংখ্যার অনুপাতে মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১২ শতক। এ ছাড়া ৮০৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে বনাঞ্চল। অবশিষ্ট জমি বিল, জলাশয় ও সরকারি পুকুর। তবে কত হেক্টর জমিতে ব্যক্তিমালিকানার পুকুর রয়েছে, এর পরিসংখ্যান উপজেলা মৎস্য অফিস, কৃষি অফিসসহ কোনো দপ্তরেই পাওয়া যায়নি।
পুকুর খননকারী সাটইল গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে পাওয়া যায় ২০ থেকে ২৫ মণ ধান। ধান উৎপাদনে সার-কীটনাশক, হালচালসহ অন্যান্য খরচ করতে হয়। একই সঙ্গে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অনেক সময় উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজার মূল্যের সামঞ্জস্য না থাকায় লোকসান গুনতে হয়। কিন্তু মাছ উৎপাদনে কোনো ঝুঁকি নেই। চিন্তা ছাড়াই ধানের চেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২৫ শতক। বর্তমানে তা কমে ১০ শতকে এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে আইনি পদক্ষেপ জরুরি বলেও মনে করেন এই কৃষিবিদ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল আলিম বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বসতবাড়ি নির্মাণ, নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণে দিন-দিন কমছে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ। এর মধ্যে চলছে অপরিকল্পিত পুকুর খনন, যা কখনোই কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে, তেমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এ অবস্থায় অপরিকল্পিত পুকুর খনন করা হলে জলবায়ুর ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু পুকুর খননের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁর মান্দায় বাগান ও ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। ফসল উৎপাদনের চেয়ে মাছ উৎপাদন সহজ ও লাভজনক এমন প্রলোভন দিয়ে ভূমি মালিকদের পুকুর খননে প্রলুব্ধ করছে অসাধু একটি চক্র। গত ১০ বছরে এ উপজেলায় কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। তবে এর কোনো পরিসংখ্যান নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাধাহীনভাবে যত্রতত্র পুকুর খনন করায় প্রতিনিয়ত কমছে ফসলি জমি। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ফসলি জমির পরিমাণ ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। ইচ্ছে করলেই ওইসব জমিতে ফসল উৎপাদনে আর যেতে পারবেন না ওই ভূমি মালিকেরা। এতে ‘শস্যভান্ডার’ নামে খ্যাত এ উপজেলা অতীতের গৌরব হারিয়ে ফেলবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক বছর মান্দা উপজেলায় পুকুর খননের প্রবণতা দেখা দেয়। গত দুই বছর তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এবারের খরা মৌসুমে মহোৎসবে পরিণত হয়। ভূমি মালিকেরা যেভাবে পারছেন ফসলি জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে পুকুর খনন করছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন দুয়েকটি অভিযান পরিচালনা করলেও থামছে না পুকুর খনন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ভারশোঁ, পরানপুর, তেঁতুলিয়া, কালিকাপুর, বিষ্ণুপুর, কাঁশোপাড়া ও মৈনম ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি জমিতে নির্বিচারে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এ কাজের সঙ্গে জড়িত এক শ্রেণির অসাধু সিন্ডিকেট বিভিন্ন কৌশলে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, উত্তরাঞ্চল খরাপ্রবণ এলাকা। ক্রমেই এ অঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে। ফসল উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এ কারণে ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার করতে হচ্ছে। এরই সঙ্গে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা হলে পরিবেশের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। দেশে বর্তমানে খাদ্য ঘাটতি না থাকলেও ভবিষ্যতে বিশাল খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ৩৭ হাজার ৭১৯ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদি জমির পরিমাণ ২৭ হাজার ৮৫১ হেক্টর। জনসংখ্যার অনুপাতে মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১২ শতক। এ ছাড়া ৮০৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে বনাঞ্চল। অবশিষ্ট জমি বিল, জলাশয় ও সরকারি পুকুর। তবে কত হেক্টর জমিতে ব্যক্তিমালিকানার পুকুর রয়েছে, এর পরিসংখ্যান উপজেলা মৎস্য অফিস, কৃষি অফিসসহ কোনো দপ্তরেই পাওয়া যায়নি।
পুকুর খননকারী সাটইল গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে পাওয়া যায় ২০ থেকে ২৫ মণ ধান। ধান উৎপাদনে সার-কীটনাশক, হালচালসহ অন্যান্য খরচ করতে হয়। একই সঙ্গে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অনেক সময় উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজার মূল্যের সামঞ্জস্য না থাকায় লোকসান গুনতে হয়। কিন্তু মাছ উৎপাদনে কোনো ঝুঁকি নেই। চিন্তা ছাড়াই ধানের চেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে মাথাপিছু আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২৫ শতক। বর্তমানে তা কমে ১০ শতকে এসে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে আইনি পদক্ষেপ জরুরি বলেও মনে করেন এই কৃষিবিদ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল আলিম বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বসতবাড়ি নির্মাণ, নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণে দিন-দিন কমছে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ। এর মধ্যে চলছে অপরিকল্পিত পুকুর খনন, যা কখনোই কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে, তেমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এ অবস্থায় অপরিকল্পিত পুকুর খনন করা হলে জলবায়ুর ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু পুকুর খননের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে