মাগুরা প্রতিনিধি
‘দেড় বছর করোনার জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় মণিদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ভিডিও ক্লাস আর ফোন করে ক্লাস চললেও আমাদের ভালো ফোন ছিল না। মাস্টাররা বাড়ি আলীও পড়াশোনা বলতে তেমন হয়নি। এর মধ্যে বইও হারায় ফেললাম। নতুন বছর না আলী তো বই পাওয়া যাবি নে। আজ নতুন বই পেয়ে শপথ নিলাম যত কষ্টই হোক মণির পড়াশোনাডা চালায় নেব।’
রেহানা খাতুন তাঁর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রাফির নতুন বই পাওয়া নিয়ে এমন করেই প্রকাশ করলেন নিজের অভিজ্ঞতা। মাগুরা সদরের আঠারখাদা সরকারি প্রাথমিক স্কুল প্রাঙ্গণ তখন নতুন বইয়ের গন্ধে ভরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে বই বিতরণও ছিল কিছু বিধিনিষেধের মধ্যে।
তবে খুদে শিক্ষার্থীরা স্কুলের পোশাক পড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পাশে অভিভাবকেরা অনেকে দাঁড়িয়ে আছে নিজের সন্তানের জন্য। নতুন বই পেয়ে যেন আনন্দের শেষ নেই।
অপর এক অভিভাবক আরিফুর রহমান জানান, মাগুরা ৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক স্কুল থেকে তাঁর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বই তিনি নিয়েছেন। এই অভিভাবক বলেন, ‘করোনায় এখন পরিস্থিতি ভালো হলেও স্কুলের বাচ্চারা যে মাস্ক পড়ে এসেছে এবং নতুন বই নিতে উচ্ছ্বসিত তা দেখতে এলাম মেয়ের সঙ্গে। করোনায় মধ্যে বেশির ভাগ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় বই খাতার গুরুত্ব ছিল না। অনেকে বইও হারিয়ে ফেলেছিল। এখন নতুন বই পেয়ে বাঁধায় করব। মেয়েকে বলেছি মন দিয়ে পড়াশোনা করতে। করোনা থাক আর না থাকা এই নিয়েই পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে হবে।’
এই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির নাজমুল জানায়, ক্লাস ওয়ান ও টু ভালো করে পড়তে পারিনি। বাড়িতে পড়েছি তবে বই খুলতে মন চাইতো না। এবার বাড়ি গিয়ে সব সময় পড়াশোনা করব।
নাজমুলের মত মাগুরার বিভিন্ন স্কুলের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে খুশি। স্কুলে কদিন পর নতুন বই নিয়ে ক্লাস করার অপেক্ষায় আছে তারা।
আঠারখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায় কৃষ্ণা রানি জানান, সামাজিক দূরত্ব মেনেই বই দেওয়া হচ্ছে। মুখে মাস্ক তো থাকবেই। আমার স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থী আজ বই নিতে এসেছে। অল্প কিছু অনুপস্থিত থাকলেও পরে দিয়ে দেওয়া হবে।
মাগুরা সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) আবু সায়েম বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীরা গত বছর ও বই পেয়েছে তবে সেই বই স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সময়ে এভাবে সরাসরি স্কুলে এসে পড়তে পারেনি। স্কুলে এসে পড়ার আনন্দটাও আলাদা। তাই বছরের প্রথম দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দিয়েছেন এতে আমরাও আনন্দিত। আশা করি তারা মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে।
মাগুরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ গাছি আজকের পত্রিকাকে জানান, পুরো জেলায় ৫০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে বই বিতরণ শুরু হয়। সারা জেলায় মোট ৮৬ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে বই দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার মতো।
তিনি আরও জানান, যে সব স্কুলে ১০০ বেশি শিক্ষার্থী তাদের ভাগ করে বই দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে। একই দিনে যেন স্কুলে ভিড় না হয় এ জন্য। সামাজিক দূরত্ব মেনে সকলে বই নিয়েছে। এ জন্য যে সব স্কুলে শিক্ষার্থীরা বেশি তারা পর্যায়ক্রমে দিন ভাগ করে বই দেবে।
এ ছাড়া বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলেও বই দেওয়া হয়েছে। তাদের মত করে সরকারি এই বই বিতরণ করছে।
‘দেড় বছর করোনার জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় মণিদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ভিডিও ক্লাস আর ফোন করে ক্লাস চললেও আমাদের ভালো ফোন ছিল না। মাস্টাররা বাড়ি আলীও পড়াশোনা বলতে তেমন হয়নি। এর মধ্যে বইও হারায় ফেললাম। নতুন বছর না আলী তো বই পাওয়া যাবি নে। আজ নতুন বই পেয়ে শপথ নিলাম যত কষ্টই হোক মণির পড়াশোনাডা চালায় নেব।’
রেহানা খাতুন তাঁর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রাফির নতুন বই পাওয়া নিয়ে এমন করেই প্রকাশ করলেন নিজের অভিজ্ঞতা। মাগুরা সদরের আঠারখাদা সরকারি প্রাথমিক স্কুল প্রাঙ্গণ তখন নতুন বইয়ের গন্ধে ভরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে বই বিতরণও ছিল কিছু বিধিনিষেধের মধ্যে।
তবে খুদে শিক্ষার্থীরা স্কুলের পোশাক পড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পাশে অভিভাবকেরা অনেকে দাঁড়িয়ে আছে নিজের সন্তানের জন্য। নতুন বই পেয়ে যেন আনন্দের শেষ নেই।
অপর এক অভিভাবক আরিফুর রহমান জানান, মাগুরা ৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক স্কুল থেকে তাঁর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বই তিনি নিয়েছেন। এই অভিভাবক বলেন, ‘করোনায় এখন পরিস্থিতি ভালো হলেও স্কুলের বাচ্চারা যে মাস্ক পড়ে এসেছে এবং নতুন বই নিতে উচ্ছ্বসিত তা দেখতে এলাম মেয়ের সঙ্গে। করোনায় মধ্যে বেশির ভাগ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় বই খাতার গুরুত্ব ছিল না। অনেকে বইও হারিয়ে ফেলেছিল। এখন নতুন বই পেয়ে বাঁধায় করব। মেয়েকে বলেছি মন দিয়ে পড়াশোনা করতে। করোনা থাক আর না থাকা এই নিয়েই পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে হবে।’
এই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির নাজমুল জানায়, ক্লাস ওয়ান ও টু ভালো করে পড়তে পারিনি। বাড়িতে পড়েছি তবে বই খুলতে মন চাইতো না। এবার বাড়ি গিয়ে সব সময় পড়াশোনা করব।
নাজমুলের মত মাগুরার বিভিন্ন স্কুলের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে খুশি। স্কুলে কদিন পর নতুন বই নিয়ে ক্লাস করার অপেক্ষায় আছে তারা।
আঠারখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায় কৃষ্ণা রানি জানান, সামাজিক দূরত্ব মেনেই বই দেওয়া হচ্ছে। মুখে মাস্ক তো থাকবেই। আমার স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থী আজ বই নিতে এসেছে। অল্প কিছু অনুপস্থিত থাকলেও পরে দিয়ে দেওয়া হবে।
মাগুরা সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) আবু সায়েম বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীরা গত বছর ও বই পেয়েছে তবে সেই বই স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সময়ে এভাবে সরাসরি স্কুলে এসে পড়তে পারেনি। স্কুলে এসে পড়ার আনন্দটাও আলাদা। তাই বছরের প্রথম দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দিয়েছেন এতে আমরাও আনন্দিত। আশা করি তারা মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে।
মাগুরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ গাছি আজকের পত্রিকাকে জানান, পুরো জেলায় ৫০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে বই বিতরণ শুরু হয়। সারা জেলায় মোট ৮৬ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে বই দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার মতো।
তিনি আরও জানান, যে সব স্কুলে ১০০ বেশি শিক্ষার্থী তাদের ভাগ করে বই দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে। একই দিনে যেন স্কুলে ভিড় না হয় এ জন্য। সামাজিক দূরত্ব মেনে সকলে বই নিয়েছে। এ জন্য যে সব স্কুলে শিক্ষার্থীরা বেশি তারা পর্যায়ক্রমে দিন ভাগ করে বই দেবে।
এ ছাড়া বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলেও বই দেওয়া হয়েছে। তাদের মত করে সরকারি এই বই বিতরণ করছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে