লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
লালমোহনে গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বসছে পুরোনো গরম পোশাকের দোকান। নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা এসব দোকান। শীত থেকে বাঁচতে গরম পোশাকের কদর বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গজারিয়া বাজারে বসেছে পুরোনো গরম পোশাকের দুটি দোকান। পৌরসভার বাজারের স্বর্ণকার পট্টিতে বসেছে পুরোনো পোশাকের তিনটি দোকান। ওই সব দোকান ঘুরে দেখা গেছে শীতে উষ্ণতা খোঁজা ক্রেতাদের ভিড়। এ ছাড়া আবুগঞ্জ, কর্তার হাট, লর্ড হার্ডিঞ্জ, মঙ্গলসিকদার, বদরপুর, বাংলাবাজার, রায় চাঁদ বাজার, চৌমুহনী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরম পোশাকের দোকানে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের ভিড়।
মাইনুদ্দিন নামের এক ক্রেতা পোশাক ঘেঁটে ঘেঁটে জ্যাকেট দেখছিলেন। আলাপকালে মাইনুদ্দিন বলেন, ‘আমি রিকশাচালক। গত তিন-চার দিনের শীতের কারণে রাতে যাত্রী বহন করতে পারছি না। আর শীত থেকে রক্ষা পেতে নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্যও আমার নেই। তাই অল্প দামে পুরোনো পোশাকের দোকানে এসেছি জ্যাকেট কিনতে।’
তাঁর দাবি, এখান থেকে যে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষেরাই পোশাক ক্রয় করেন, তাও নয়। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও আসেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রেতা বলেন, ‘ভাই কথায় আছে “রসিক ভাতেও মরে, শীতেও মরে”। নতুন পোশাকের দোকানে বেশি দামে শীতের পোশাক কিনলেও তা দিয়ে শীত রক্ষা হয় না। তাই নতুন পোশাকের ভেতরে গরম কাপড় পরতে এই দোকানে আসা। পাতলা সোয়েটার নিয়েছি, দামও সাধ্যের মধ্যে।’
আমেনা বেগম তাঁর মেয়েকে নিয়ে গরম পোশাক কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘মেয়েকে নতুন পোশাক কিনে দিয়েছি। দাম বেশি, মান ভালো। তবে শীত রক্ষা হয় না। তাই পাতলা দেখে গরম কাপড় খুঁজছি। যাতে নতুন পোশাকের ভেতরে পরা যায়।’
পুরোনো পোশাকের দোকানি কাজী হিরণ বলেন, ‘জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, মাফলার, কানটুপি, ট্রাউজারসহ নানা রকমের গরম কাপড় রয়েছে আমার দোকানে। তবে এখনো ক্রেতা সমাগম বাড়েনি। ধীরে ধীরে শীত বাড়বে, ক্রেতাও বাড়বে।’
একই দোকান মালিক কাজী জাফর বলেন, ‘এবারের শীতে বিক্রির জন্য ১৮টি গাইড (গরম কাপড়ের বান্ডিল) এনেছি। যার প্রতিটি গাইডের দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা করে। তবে পোশাকের মান অনুযায়ী গাইডের দাম ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকাও রয়েছে।’
পুরোনো পোশাকের দোকানি সিদ্দিক জানান, দোকান বসিয়েছি প্রায় মাসখানেক আগে। প্রতিদিন ইজারাদারকে ৫০ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হয়। পুরোপুরি শীত না নামায় আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় সেটাও পকেট থেকে দিতে হয়েছে। তবে গত তিন-চার দিন শীত বেড়েছে। তাই ক্রেতাও আসতে শুরু করেছে।’
পুরোনো এসব কাপড়ের ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তাও রয়েছে। কারণ বেশি দামে গাইড কিনে যাতায়াত খরচ দিয়ে আশানুরূপ বেচাকেনা না হলে লোকসানে পড়তে হয়। দোকান খরচ, নিজেদের পারিশ্রমিকও জোটে না। যেমন গত বছর শীতকাল দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ায় সেসব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
লালমোহনে গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বসছে পুরোনো গরম পোশাকের দোকান। নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা এসব দোকান। শীত থেকে বাঁচতে গরম পোশাকের কদর বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গজারিয়া বাজারে বসেছে পুরোনো গরম পোশাকের দুটি দোকান। পৌরসভার বাজারের স্বর্ণকার পট্টিতে বসেছে পুরোনো পোশাকের তিনটি দোকান। ওই সব দোকান ঘুরে দেখা গেছে শীতে উষ্ণতা খোঁজা ক্রেতাদের ভিড়। এ ছাড়া আবুগঞ্জ, কর্তার হাট, লর্ড হার্ডিঞ্জ, মঙ্গলসিকদার, বদরপুর, বাংলাবাজার, রায় চাঁদ বাজার, চৌমুহনী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরম পোশাকের দোকানে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের ভিড়।
মাইনুদ্দিন নামের এক ক্রেতা পোশাক ঘেঁটে ঘেঁটে জ্যাকেট দেখছিলেন। আলাপকালে মাইনুদ্দিন বলেন, ‘আমি রিকশাচালক। গত তিন-চার দিনের শীতের কারণে রাতে যাত্রী বহন করতে পারছি না। আর শীত থেকে রক্ষা পেতে নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্যও আমার নেই। তাই অল্প দামে পুরোনো পোশাকের দোকানে এসেছি জ্যাকেট কিনতে।’
তাঁর দাবি, এখান থেকে যে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষেরাই পোশাক ক্রয় করেন, তাও নয়। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও আসেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রেতা বলেন, ‘ভাই কথায় আছে “রসিক ভাতেও মরে, শীতেও মরে”। নতুন পোশাকের দোকানে বেশি দামে শীতের পোশাক কিনলেও তা দিয়ে শীত রক্ষা হয় না। তাই নতুন পোশাকের ভেতরে গরম কাপড় পরতে এই দোকানে আসা। পাতলা সোয়েটার নিয়েছি, দামও সাধ্যের মধ্যে।’
আমেনা বেগম তাঁর মেয়েকে নিয়ে গরম পোশাক কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘মেয়েকে নতুন পোশাক কিনে দিয়েছি। দাম বেশি, মান ভালো। তবে শীত রক্ষা হয় না। তাই পাতলা দেখে গরম কাপড় খুঁজছি। যাতে নতুন পোশাকের ভেতরে পরা যায়।’
পুরোনো পোশাকের দোকানি কাজী হিরণ বলেন, ‘জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, মাফলার, কানটুপি, ট্রাউজারসহ নানা রকমের গরম কাপড় রয়েছে আমার দোকানে। তবে এখনো ক্রেতা সমাগম বাড়েনি। ধীরে ধীরে শীত বাড়বে, ক্রেতাও বাড়বে।’
একই দোকান মালিক কাজী জাফর বলেন, ‘এবারের শীতে বিক্রির জন্য ১৮টি গাইড (গরম কাপড়ের বান্ডিল) এনেছি। যার প্রতিটি গাইডের দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা করে। তবে পোশাকের মান অনুযায়ী গাইডের দাম ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকাও রয়েছে।’
পুরোনো পোশাকের দোকানি সিদ্দিক জানান, দোকান বসিয়েছি প্রায় মাসখানেক আগে। প্রতিদিন ইজারাদারকে ৫০ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হয়। পুরোপুরি শীত না নামায় আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় সেটাও পকেট থেকে দিতে হয়েছে। তবে গত তিন-চার দিন শীত বেড়েছে। তাই ক্রেতাও আসতে শুরু করেছে।’
পুরোনো এসব কাপড়ের ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তাও রয়েছে। কারণ বেশি দামে গাইড কিনে যাতায়াত খরচ দিয়ে আশানুরূপ বেচাকেনা না হলে লোকসানে পড়তে হয়। দোকান খরচ, নিজেদের পারিশ্রমিকও জোটে না। যেমন গত বছর শীতকাল দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ায় সেসব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৯ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে