আরিফ আহম্মেদ, গৌরীপুর
গৌরীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে প্রার্থীদের। বাড়ছে অভিযোগ আর সহিংসতা। প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। সুষ্ঠু ভোট হবে কী না, এ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক প্রার্থী ও ভোটার। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিটি ইউপির এক বা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। এবার উপজেলার ১০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬০ প্রার্থী। আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
একটি ইউপির জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, শুরু থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বাধার মুখে পড়েছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন নির্বাচনে কারচুপি হতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার নানা কারণেই আলোচনার শীর্ষে সিধলা ইউপি। সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহমেদের নিজ ইউনিয়ন ও তাঁর ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন এই ইউপি। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি প্রার্থীও সিধলায়। মামা-ভাগনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জন্ম দিয়েছেন আলোচনার। ১১ জন প্রার্থী হলেন ভাগনে একদিল হোসেন তালুকদার, মামা সাবেক চেয়ারম্যান শেখ শামছ উদ্দিন, শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান, মো. নজরুল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম, আবু হানিফ, মো. আব্দুস সালাম, মো. আতাউর রহমান, মো. ইকবাল হোসেন তালুকদার ও মো. শাহজাহান কবীর।
আওয়ামী লীগের ‘গলার কাঁটা’ হিসেবে খ্যাত মইলাকান্দা ইউপি ১৮ বছর ধরে বিএনপির দখলে। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মো. জোসেফ উদ্দিন জর্জ লড়ছেন। আরও রয়েছেন উপজেলা বিএনপির (একাংশের) যুগ্ম আহ্বায়ক বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রিয়াদুজ্জামান, বিদ্রোহী মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম।
গৌরীপুর ইউপিতে বিগত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও চেয়ারে বসার সুযোগ হয়নি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. হযরত আলীর। এবারও লড়ছেন তিনি। এ ছাড়া মাঠে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান ও মো. তোফাজ্জল হোসেন।
মাওহা ইউপির ভোটাররা বলছেন, লড়াই হবে ত্রিমুখী। এই ইউপির প্রার্থীরা হলেন মোহাম্মদ আল ফারুক, রমিজ উদ্দিন স্বপন, নূর মোহাম্মদ কালন, দেওয়ান খসরুজ্জামান খান, গোলাম মোহাম্মদ, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. সাইফুল ইসলাম।
সহনাটি ইউপিতে হতে পারে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস। প্রার্থীরা হলেন মো. শামসুজ্জামান জামাল, দুলাল আহমেদ, লন্ডনপ্রবাসী সালাউদ্দিন কাদের রুবেল, মো. আব্দুল মান্নান, মো. হান্নান ও হারুন অর রশিদ। বোকাইনগরেও মিলেছে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস। এই ইউপির প্রার্থীরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আল মুক্তাদির শাহীন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল ইসলাম খান, বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, মো. নওয়াব উদ্দিন খান পাঠান ও মো. কামাল উদ্দিন লিটন।
রামগোপালপুর ইউপিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে। এবার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম শিকদার, বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, মো. আবুল হাশিম, মো. নজরুল ইসলাম, মো. আহাম্মদ আলী, শাহ সৈয়দ আশরাফুল আলম, মো. আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া ও মো. সোহেল মিয়া ভোটের মাঠে রয়েছেন।
ডৌহাখলা ইউপিতে প্রার্থী ৩ জন। তাঁরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহীদুল হক সরকার, মো. আবুল হাসিম ও কাইয়ুম। ভাংনামারীতে আলোচনা তিনজনকে ঘিরে। ইউপির প্রার্থীরা হলেন মো. নেজামুল হক আনারস, মো. নুরুল ইসলাম আকন্দ, বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা, মো. রহমত উল্লাহ, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মো. সাবিকুর রহমান ও মো. আমান উল্লাহ আকন্দ।
অচিন্তপুর ইউপিতে রয়েছেন বিএনপির মো. জায়েদুর রহমান, উপজেলার একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছা. জাহানারা বেগম, মো. ওবায়দুল্লাহ সুমন, মো. দুলাল ফকির ও বদরুল ইসলাম রুয়েল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন মাওহা ইউপির আল ফারুক, সহনাটির শামসুজ্জামান জামাল, মইলাকান্দার রিয়াদুজ্জামান ও গৌরীপুরের হযরত আলী।
মাওহা ইউপির ভোটার আজহারুল করিম বলেন, শুরুতে প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার চালাচ্ছিলেন। তবে ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, সহিংসতা ততই বাড়ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন নেতা-কর্মীরা। সব ইউপিতে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বলেন, কিছু অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। তবে নির্বাচন শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
গৌরীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে প্রার্থীদের। বাড়ছে অভিযোগ আর সহিংসতা। প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। সুষ্ঠু ভোট হবে কী না, এ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক প্রার্থী ও ভোটার। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিটি ইউপির এক বা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। এবার উপজেলার ১০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬০ প্রার্থী। আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
একটি ইউপির জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, শুরু থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বাধার মুখে পড়েছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন নির্বাচনে কারচুপি হতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার নানা কারণেই আলোচনার শীর্ষে সিধলা ইউপি। সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহমেদের নিজ ইউনিয়ন ও তাঁর ছোট ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন এই ইউপি। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি প্রার্থীও সিধলায়। মামা-ভাগনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জন্ম দিয়েছেন আলোচনার। ১১ জন প্রার্থী হলেন ভাগনে একদিল হোসেন তালুকদার, মামা সাবেক চেয়ারম্যান শেখ শামছ উদ্দিন, শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান, মো. নজরুল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম, আবু হানিফ, মো. আব্দুস সালাম, মো. আতাউর রহমান, মো. ইকবাল হোসেন তালুকদার ও মো. শাহজাহান কবীর।
আওয়ামী লীগের ‘গলার কাঁটা’ হিসেবে খ্যাত মইলাকান্দা ইউপি ১৮ বছর ধরে বিএনপির দখলে। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মো. জোসেফ উদ্দিন জর্জ লড়ছেন। আরও রয়েছেন উপজেলা বিএনপির (একাংশের) যুগ্ম আহ্বায়ক বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রিয়াদুজ্জামান, বিদ্রোহী মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম।
গৌরীপুর ইউপিতে বিগত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও চেয়ারে বসার সুযোগ হয়নি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. হযরত আলীর। এবারও লড়ছেন তিনি। এ ছাড়া মাঠে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান ও মো. তোফাজ্জল হোসেন।
মাওহা ইউপির ভোটাররা বলছেন, লড়াই হবে ত্রিমুখী। এই ইউপির প্রার্থীরা হলেন মোহাম্মদ আল ফারুক, রমিজ উদ্দিন স্বপন, নূর মোহাম্মদ কালন, দেওয়ান খসরুজ্জামান খান, গোলাম মোহাম্মদ, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. সাইফুল ইসলাম।
সহনাটি ইউপিতে হতে পারে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস। প্রার্থীরা হলেন মো. শামসুজ্জামান জামাল, দুলাল আহমেদ, লন্ডনপ্রবাসী সালাউদ্দিন কাদের রুবেল, মো. আব্দুল মান্নান, মো. হান্নান ও হারুন অর রশিদ। বোকাইনগরেও মিলেছে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস। এই ইউপির প্রার্থীরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আল মুক্তাদির শাহীন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল ইসলাম খান, বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, মো. নওয়াব উদ্দিন খান পাঠান ও মো. কামাল উদ্দিন লিটন।
রামগোপালপুর ইউপিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে। এবার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম শিকদার, বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, মো. আবুল হাশিম, মো. নজরুল ইসলাম, মো. আহাম্মদ আলী, শাহ সৈয়দ আশরাফুল আলম, মো. আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া ও মো. সোহেল মিয়া ভোটের মাঠে রয়েছেন।
ডৌহাখলা ইউপিতে প্রার্থী ৩ জন। তাঁরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহীদুল হক সরকার, মো. আবুল হাসিম ও কাইয়ুম। ভাংনামারীতে আলোচনা তিনজনকে ঘিরে। ইউপির প্রার্থীরা হলেন মো. নেজামুল হক আনারস, মো. নুরুল ইসলাম আকন্দ, বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা, মো. রহমত উল্লাহ, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মো. সাবিকুর রহমান ও মো. আমান উল্লাহ আকন্দ।
অচিন্তপুর ইউপিতে রয়েছেন বিএনপির মো. জায়েদুর রহমান, উপজেলার একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছা. জাহানারা বেগম, মো. ওবায়দুল্লাহ সুমন, মো. দুলাল ফকির ও বদরুল ইসলাম রুয়েল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন মাওহা ইউপির আল ফারুক, সহনাটির শামসুজ্জামান জামাল, মইলাকান্দার রিয়াদুজ্জামান ও গৌরীপুরের হযরত আলী।
মাওহা ইউপির ভোটার আজহারুল করিম বলেন, শুরুতে প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার চালাচ্ছিলেন। তবে ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, সহিংসতা ততই বাড়ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন নেতা-কর্মীরা। সব ইউপিতে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বলেন, কিছু অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। তবে নির্বাচন শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে