চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
গত বছর তিন বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে সব খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ১৮ লাখ টাকা। সেই প্রেরণা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের ইয়াসিন আলী চলতি বছর ছয় বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন স্ট্রবেরি। সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই ফল সংগ্রহ শুরু করতেন ইয়াসিন আলী। কিন্তু গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টিতে সবকিছু শেষ হয়ে যায় ইয়াসিনের। তাঁর মতো একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আরও পাঁচজন কৃষক। এই ছয় কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা স্ট্রবেরিখেত নষ্ট হয়েছে শিলাবৃষ্টিতে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত খেত পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, টিকরীর মাঠে সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের ইয়াসিন আলি ছয় বিঘা, মোহাম্মদ আলী তিন বিঘা, আব্দুল মোমেন তিন বিঘা, আবু বক্কর দেড় বিঘা, আব্দুল জলিল দুই বিঘা, আব্দুস সালাম এক বিঘা এবং শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের আনারুল তিন বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেন।
শিলাবৃষ্টিতে তাঁদের সবার অবস্থা এখন একই রকম। অন্যের জমি ইজারা নিয়ে চাষাবাদ করছিলেন তাঁরা। স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তা কামনা করেন তাঁরা।
প্রথমবারের মতো তিন বিঘা স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন আনারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এক রাতের শিলাবৃষ্টিতে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ফুল, ফলসহ গাছ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। গাছে ফুল, ফল দেখে মন ভরে যাচ্ছিল। ভাবছিলাম ১০ দিন পরেই গাছ থেকে স্ট্রবেরি সংগ্রহ করব। কিন্তু তা আর হলো না।’
কৃষক আব্দুল মোমেন জানান, জমি ইজারা নেওয়ার পর ঋণ নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন তিনি। ৩ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষে খরচ হয়েছে ৬ লাখ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ২০ লাখ টাকা লাভের আশা ছিল তাঁর। কিন্তু শিলাবৃষ্টি তাঁর নেই আশা ভঙ্গ করে দিয়েছে।
কথা ছিল ইয়াসিন আলী জমি থেকে গত বৃহস্পতিবার প্রথম স্ট্রবেরি তুলবেন। তিনি জানান, গত বুধবার বিকেলেও খুশি মনে জমি থেকে বাড়ি ফিরে গেছি। কারণ এ বছর স্ট্রবেরি চাষের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন এসেছিল। কিন্তু সবকিছু মাটিতে মিশে গেল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাসনুভা ইয়াসমিন বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় বাম্পার ফলন হওয়ায় স্ট্রবেরির মাঠ পরিদর্শন করেছিলাম। অথচ তাঁর পরের দিন নষ্ট হওয়া জমি দেখতে আসতে হয়েছে। রাতের শিলাবৃষ্টিতেই সব শেষ হয়ে গেছে। কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সরকারের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, শিলাবৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই উপজেলায় ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলার রানিহাটি, মহারাজপুর ও বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, ছত্রাজিতপুর ও ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
গত বছর তিন বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে সব খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ১৮ লাখ টাকা। সেই প্রেরণা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের ইয়াসিন আলী চলতি বছর ছয় বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন স্ট্রবেরি। সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই ফল সংগ্রহ শুরু করতেন ইয়াসিন আলী। কিন্তু গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টিতে সবকিছু শেষ হয়ে যায় ইয়াসিনের। তাঁর মতো একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আরও পাঁচজন কৃষক। এই ছয় কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা স্ট্রবেরিখেত নষ্ট হয়েছে শিলাবৃষ্টিতে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত খেত পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, টিকরীর মাঠে সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের ইয়াসিন আলি ছয় বিঘা, মোহাম্মদ আলী তিন বিঘা, আব্দুল মোমেন তিন বিঘা, আবু বক্কর দেড় বিঘা, আব্দুল জলিল দুই বিঘা, আব্দুস সালাম এক বিঘা এবং শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের আনারুল তিন বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেন।
শিলাবৃষ্টিতে তাঁদের সবার অবস্থা এখন একই রকম। অন্যের জমি ইজারা নিয়ে চাষাবাদ করছিলেন তাঁরা। স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তা কামনা করেন তাঁরা।
প্রথমবারের মতো তিন বিঘা স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন আনারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এক রাতের শিলাবৃষ্টিতে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ফুল, ফলসহ গাছ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। গাছে ফুল, ফল দেখে মন ভরে যাচ্ছিল। ভাবছিলাম ১০ দিন পরেই গাছ থেকে স্ট্রবেরি সংগ্রহ করব। কিন্তু তা আর হলো না।’
কৃষক আব্দুল মোমেন জানান, জমি ইজারা নেওয়ার পর ঋণ নিয়ে স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন তিনি। ৩ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষে খরচ হয়েছে ৬ লাখ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ২০ লাখ টাকা লাভের আশা ছিল তাঁর। কিন্তু শিলাবৃষ্টি তাঁর নেই আশা ভঙ্গ করে দিয়েছে।
কথা ছিল ইয়াসিন আলী জমি থেকে গত বৃহস্পতিবার প্রথম স্ট্রবেরি তুলবেন। তিনি জানান, গত বুধবার বিকেলেও খুশি মনে জমি থেকে বাড়ি ফিরে গেছি। কারণ এ বছর স্ট্রবেরি চাষের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন এসেছিল। কিন্তু সবকিছু মাটিতে মিশে গেল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাসনুভা ইয়াসমিন বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় বাম্পার ফলন হওয়ায় স্ট্রবেরির মাঠ পরিদর্শন করেছিলাম। অথচ তাঁর পরের দিন নষ্ট হওয়া জমি দেখতে আসতে হয়েছে। রাতের শিলাবৃষ্টিতেই সব শেষ হয়ে গেছে। কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সরকারের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, শিলাবৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই উপজেলায় ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলার রানিহাটি, মহারাজপুর ও বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, ছত্রাজিতপুর ও ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে