সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
বাড়ি বাড়ি গিয়ে একশ্রেণির ফেরিওয়ালা পুরোনো বই, খাতা, পত্রিকা, লোহা-লক্কড়, প্লাস্টিক কিনে নেন। সকাল-দুপুর তাঁরা মাথায় একটি টুকরি, কয়েকটি খালি বস্তা ও কেজি-পাল্লা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের অলিগলি ঘুরে বেড়ান। এসব অকেজো পুরোনো জিনিস পরে নির্ধারিত ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে যা পান, তা দিয়ে সংসার চালান। নগরে এই ধরনের শতাধিক ফেরিওয়ালা আছেন। তাঁদের একজন চট্টগ্রামে পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. জসিম। তিনি ১০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। জসিম জানান, ১০ বছর আগে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে এ পেশা বেছে নিয়ে ভালো আছেন।
জসিমের কথা শুনে বিস্তারিত জানান আগ্রহ জন্মায় এই প্রতিবেদকের। প্রশ্ন করলে জসিম জানান, ১০ বছর আগে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় ২ হাজার টাকা বেতনের শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। বছরখানেক পর তাঁর বেতন হয় ৪ হাজার টাকা। ওভারটাইম করে মাসে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পান। সেখানে খাটনি বেশি কিন্তু টাকা কম। ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ। এত কম টাকা দিয়ে শহরে বাসা ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া করে টিকে থাকতে কষ্ট হতো। একদিন এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাগজ, লোহা-লক্কড় সংগ্রহ করার কাজে নেমে পড়েন। সেই থেকে তিনি এ পেশায় আছেন।
জসিম বলেন, পটিয়ার নিজ বাড়ি থেকে সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের উদ্দেশে রওনা হন। বাড়ি থেকে শহরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। শহরে পৌঁছার পর বাদুরতলা বড় গ্যারেজ এলাকার একটি ভাঙারি দোকানের মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরির কাজে নেমে পড়েন। মহাজনের কাছ থেকে কখনো ১ হাজার টাকা কখনো আরও বেশি নেন। এই টাকা দিয়ে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মালামাল কিনে আনেন।
প্রতিদিন বড় গ্যারেজ থেকে শুরু করে পাশাপাশি কাপাসগোলা, চকবাজার, কাতালগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা চক্কর মারেন। জসিম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন একই এলাকায় ঘুরি। অন্য এলাকায় অন্য লোক আছে। বেলা ২টার মধ্যে দোকানে ফিরে আসি। তখন মালামাল যা পাই, তা ভাঙারি দোকানে দিয়ে দিই। বাসাবাড়ি থেকে যেই দামে মালামাল কিনে আনি, ভাঙারি দোকানে তাঁর চেয়ে কিছু লাভ দিয়ে বিক্রি করি। চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুরে দিনে ৫০০ টাকা আয় হয়। মালামাল বেশি হলে ১ হাজার টাকা বা তাঁর বেশিও পাই।’
জসিমের ৮ ও ১২ বছরের দুই ছেলে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে।
জসিমের ভাষায়, ‘গার্মেন্টসের চাকরি থেইক্ক্যা এখন অনেক শান্তিতে আছি। এখানে স্বাধীনতা আছে। অন্য পেশা ভালো লাগে না। কাজ করতে মন চাইলে করব। ভালো না লাগলে কাজে যাই না।’
বাড়ি বাড়ি গিয়ে একশ্রেণির ফেরিওয়ালা পুরোনো বই, খাতা, পত্রিকা, লোহা-লক্কড়, প্লাস্টিক কিনে নেন। সকাল-দুপুর তাঁরা মাথায় একটি টুকরি, কয়েকটি খালি বস্তা ও কেজি-পাল্লা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের অলিগলি ঘুরে বেড়ান। এসব অকেজো পুরোনো জিনিস পরে নির্ধারিত ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে যা পান, তা দিয়ে সংসার চালান। নগরে এই ধরনের শতাধিক ফেরিওয়ালা আছেন। তাঁদের একজন চট্টগ্রামে পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. জসিম। তিনি ১০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। জসিম জানান, ১০ বছর আগে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে এ পেশা বেছে নিয়ে ভালো আছেন।
জসিমের কথা শুনে বিস্তারিত জানান আগ্রহ জন্মায় এই প্রতিবেদকের। প্রশ্ন করলে জসিম জানান, ১০ বছর আগে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় ২ হাজার টাকা বেতনের শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। বছরখানেক পর তাঁর বেতন হয় ৪ হাজার টাকা। ওভারটাইম করে মাসে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পান। সেখানে খাটনি বেশি কিন্তু টাকা কম। ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ। এত কম টাকা দিয়ে শহরে বাসা ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া করে টিকে থাকতে কষ্ট হতো। একদিন এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাগজ, লোহা-লক্কড় সংগ্রহ করার কাজে নেমে পড়েন। সেই থেকে তিনি এ পেশায় আছেন।
জসিম বলেন, পটিয়ার নিজ বাড়ি থেকে সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের উদ্দেশে রওনা হন। বাড়ি থেকে শহরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। শহরে পৌঁছার পর বাদুরতলা বড় গ্যারেজ এলাকার একটি ভাঙারি দোকানের মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরির কাজে নেমে পড়েন। মহাজনের কাছ থেকে কখনো ১ হাজার টাকা কখনো আরও বেশি নেন। এই টাকা দিয়ে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মালামাল কিনে আনেন।
প্রতিদিন বড় গ্যারেজ থেকে শুরু করে পাশাপাশি কাপাসগোলা, চকবাজার, কাতালগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা চক্কর মারেন। জসিম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন একই এলাকায় ঘুরি। অন্য এলাকায় অন্য লোক আছে। বেলা ২টার মধ্যে দোকানে ফিরে আসি। তখন মালামাল যা পাই, তা ভাঙারি দোকানে দিয়ে দিই। বাসাবাড়ি থেকে যেই দামে মালামাল কিনে আনি, ভাঙারি দোকানে তাঁর চেয়ে কিছু লাভ দিয়ে বিক্রি করি। চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুরে দিনে ৫০০ টাকা আয় হয়। মালামাল বেশি হলে ১ হাজার টাকা বা তাঁর বেশিও পাই।’
জসিমের ৮ ও ১২ বছরের দুই ছেলে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে।
জসিমের ভাষায়, ‘গার্মেন্টসের চাকরি থেইক্ক্যা এখন অনেক শান্তিতে আছি। এখানে স্বাধীনতা আছে। অন্য পেশা ভালো লাগে না। কাজ করতে মন চাইলে করব। ভালো না লাগলে কাজে যাই না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে