আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা তিন দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় স্থবির ছিল তিন পার্বত্যাঞ্চল। অলিখিত এই ধর্মঘটের প্রভাবে ইতিমধ্যে কমেছে পর্যটক। কোনো কোনো এলাকা পর্যটকশূন্যও ছিল। এর আগে আটকেপড়া পর্যটকদের গন্তব্যে ফিরতে পড়তে হয়েছে নানা বিড়ম্বনায়। বান্দরবান থেকে বদরুল ইসলাম মাসুদ, খাগড়াছড়ি থেকে সমির মল্লিক ও রাঙামাটি থেকে হিমেল চাকমার পাঠানো খবর:
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, ধর্মঘটের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। টানা তিন দিনের চলমান কর্মসূচিতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কোনো পর্যটক আসেননি। তবে যারা ধর্মঘটের আগে খাগড়াছড়িতে এসেছিলেন তাঁরা ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রো করে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া দিয়ে গাড়িতে বাড়ি ফিরেছেন। জেলার কোথায়ও পরিবহন শ্রমিকেরা বিশৃঙ্খলা করেননি।
জেলার হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক জানান, টানা তিন দিন হোটেলে বুকিং একেবারেই কমে গেছে। গাড়ি চলাচল করতে না পারায় পর্যটকেরা আসতে পারছেন না। এ জন্য হোটেল প্রায় পর্যটকশূন্য।
খাগড়াছড়ি শান্তি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমরা কাউকে গাড়ি চালাতে বাধা দিচ্ছি না। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা কর্মসূচি পালন করছি। কোনো পর্যটককে হয়রানি করা হচ্ছে না। পর্যটকেরা নিজেদের মতো বাড়ি ফিরছেন। আমরা কেবল গণপরিবহন চালানো বন্ধ রেখেছি।’
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, পরিবহন ধর্মঘটে পর্যটক অর্ধেকে নেমে এসেছে রাঙামাটিতে। গণপরিবহনে পর্যটক না আসায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসাসংশ্লিষ্টরা। ব্যক্তিগত পরিবহনে কিছু পর্যটক এলেও এ সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
গতকাল রোববার শহরে রেস্টুরেন্টগুলোতে দেখা গেছে, পর্যটক না থাকায় খালি পড়ে ছিল অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট।
রাজবাড়ির কে কে রায় সড়কের স্টিফেন ভাতঘরের পরিচালক আনোয়ার বলেন, পর্যটক এলে রেস্টুরেন্টে ভালো জমজমাট থাকে। কয়েক দিন ধরে পর্যটক কম আসছেন।
বিজুফুল রেস্টুরেন্টের পরিচালক দিপালো চাকমা বলেন, পরিবহন ধর্মঘট রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। একই চিত্র রিজার্ভ বাজার, বনরূপাসহ অন্যান্য এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, হোটেলগুলোতে বুকিং কমে গেছে। নতুন কোনো পর্যটক আসছেন না। কিছু পর্যটক আসছেন তাদের নিজস্ব গাড়িতে। এ সংখ্যা খুবই কম।
হোটেল মতি মহলের পরিচালক শফিউল আজম বলেন, গণপরিবহন ধর্মঘটের কারণে পর্যটক আসা বন্ধ হওয়ায় আমাদের মোটেলে বুকিং অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। আগে বুকিংগুলো বাতিল করা হয়েছে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, পর্যটকেরা বুকিং কমিয়ে দিয়েছেন। যারা আগে বুকিং দিয়েছিলেন, গত শনিবার পর্যন্ত ঠিক ছিল। এখন বাতিল করা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তিগত পরিবহনে আসছেন। এ সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, গতকাল রোববার বাস ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে বান্দরবান থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে লোকজনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বাস বন্ধ থাকায় লোকজনদের বিকল্প হিসেবে মাইক্রো, নোহা, জিপ এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। তবে বাস ধর্মঘটের কারণে এসব পরিবহনে ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বান্দরবান-কেরানীহাট পর্যন্ত অটোরিকশা রিজার্ভ করলে তিন থেকে সাড়ে তিন শ টাকা থাকলেও রোববার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
তবে গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে বান্দরবান বাস স্টেশনে এসে দেখা গেছে, পর্যটক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এবং স্থানীয় লোকজনের অনেকেই বাস স্টেশনে এসে গাড়ি না পেয়ে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করছেন। একটি অটোরিকশা, জিপ, মাহিন্দ্র এলেই হুড়োহুড়ি করে সেই পরিবহনে ওঠার চেষ্টা করছেন। তবে নোহা, জিপ রিজার্ভ করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেক কে।
এ দিকে গতকাল বান্দরবানের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল-রিসোর্টে খবর নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানে সামান্য কিছু পর্যটক তাঁদের রুম বুকিং সময় বাড়ালেও অধিকাংশ পর্যটক হোটেল ছেড়ে চলে গেছেন।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, ধর্মঘট হলেও বাড়তি ভাড়া দিয়ে হলেও গন্তব্যে চলে গেছেন সবাই। গতকাল নতুন করে কোনো পর্যটক আসেনি। তিনি জানান তাঁর হোটেলে (পালকি হোটেল) এমন কোনো পর্যটক বা বোর্ডার নেই, যারা বাস ধর্মঘটের কারণে আটকা পড়েছেন। একই কথা বলেন হিল প্যালেস রিসোর্টের ম্যানেজার মো. সুমন। তিনি বলেন, শনিবার তাঁদের হোটেলে কিছু পর্যটক আটক পড়লেও রোববার এমন কেউ তাঁদের হোটেলে নেই।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা তিন দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় স্থবির ছিল তিন পার্বত্যাঞ্চল। অলিখিত এই ধর্মঘটের প্রভাবে ইতিমধ্যে কমেছে পর্যটক। কোনো কোনো এলাকা পর্যটকশূন্যও ছিল। এর আগে আটকেপড়া পর্যটকদের গন্তব্যে ফিরতে পড়তে হয়েছে নানা বিড়ম্বনায়। বান্দরবান থেকে বদরুল ইসলাম মাসুদ, খাগড়াছড়ি থেকে সমির মল্লিক ও রাঙামাটি থেকে হিমেল চাকমার পাঠানো খবর:
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, ধর্মঘটের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। টানা তিন দিনের চলমান কর্মসূচিতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কোনো পর্যটক আসেননি। তবে যারা ধর্মঘটের আগে খাগড়াছড়িতে এসেছিলেন তাঁরা ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রো করে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া দিয়ে গাড়িতে বাড়ি ফিরেছেন। জেলার কোথায়ও পরিবহন শ্রমিকেরা বিশৃঙ্খলা করেননি।
জেলার হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক জানান, টানা তিন দিন হোটেলে বুকিং একেবারেই কমে গেছে। গাড়ি চলাচল করতে না পারায় পর্যটকেরা আসতে পারছেন না। এ জন্য হোটেল প্রায় পর্যটকশূন্য।
খাগড়াছড়ি শান্তি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমরা কাউকে গাড়ি চালাতে বাধা দিচ্ছি না। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা কর্মসূচি পালন করছি। কোনো পর্যটককে হয়রানি করা হচ্ছে না। পর্যটকেরা নিজেদের মতো বাড়ি ফিরছেন। আমরা কেবল গণপরিবহন চালানো বন্ধ রেখেছি।’
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, পরিবহন ধর্মঘটে পর্যটক অর্ধেকে নেমে এসেছে রাঙামাটিতে। গণপরিবহনে পর্যটক না আসায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসাসংশ্লিষ্টরা। ব্যক্তিগত পরিবহনে কিছু পর্যটক এলেও এ সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
গতকাল রোববার শহরে রেস্টুরেন্টগুলোতে দেখা গেছে, পর্যটক না থাকায় খালি পড়ে ছিল অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট।
রাজবাড়ির কে কে রায় সড়কের স্টিফেন ভাতঘরের পরিচালক আনোয়ার বলেন, পর্যটক এলে রেস্টুরেন্টে ভালো জমজমাট থাকে। কয়েক দিন ধরে পর্যটক কম আসছেন।
বিজুফুল রেস্টুরেন্টের পরিচালক দিপালো চাকমা বলেন, পরিবহন ধর্মঘট রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। একই চিত্র রিজার্ভ বাজার, বনরূপাসহ অন্যান্য এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, হোটেলগুলোতে বুকিং কমে গেছে। নতুন কোনো পর্যটক আসছেন না। কিছু পর্যটক আসছেন তাদের নিজস্ব গাড়িতে। এ সংখ্যা খুবই কম।
হোটেল মতি মহলের পরিচালক শফিউল আজম বলেন, গণপরিবহন ধর্মঘটের কারণে পর্যটক আসা বন্ধ হওয়ায় আমাদের মোটেলে বুকিং অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। আগে বুকিংগুলো বাতিল করা হয়েছে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, পর্যটকেরা বুকিং কমিয়ে দিয়েছেন। যারা আগে বুকিং দিয়েছিলেন, গত শনিবার পর্যন্ত ঠিক ছিল। এখন বাতিল করা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তিগত পরিবহনে আসছেন। এ সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, গতকাল রোববার বাস ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে বান্দরবান থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে লোকজনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বাস বন্ধ থাকায় লোকজনদের বিকল্প হিসেবে মাইক্রো, নোহা, জিপ এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। তবে বাস ধর্মঘটের কারণে এসব পরিবহনে ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বান্দরবান-কেরানীহাট পর্যন্ত অটোরিকশা রিজার্ভ করলে তিন থেকে সাড়ে তিন শ টাকা থাকলেও রোববার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
তবে গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে বান্দরবান বাস স্টেশনে এসে দেখা গেছে, পর্যটক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এবং স্থানীয় লোকজনের অনেকেই বাস স্টেশনে এসে গাড়ি না পেয়ে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করছেন। একটি অটোরিকশা, জিপ, মাহিন্দ্র এলেই হুড়োহুড়ি করে সেই পরিবহনে ওঠার চেষ্টা করছেন। তবে নোহা, জিপ রিজার্ভ করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেক কে।
এ দিকে গতকাল বান্দরবানের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল-রিসোর্টে খবর নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানে সামান্য কিছু পর্যটক তাঁদের রুম বুকিং সময় বাড়ালেও অধিকাংশ পর্যটক হোটেল ছেড়ে চলে গেছেন।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, ধর্মঘট হলেও বাড়তি ভাড়া দিয়ে হলেও গন্তব্যে চলে গেছেন সবাই। গতকাল নতুন করে কোনো পর্যটক আসেনি। তিনি জানান তাঁর হোটেলে (পালকি হোটেল) এমন কোনো পর্যটক বা বোর্ডার নেই, যারা বাস ধর্মঘটের কারণে আটকা পড়েছেন। একই কথা বলেন হিল প্যালেস রিসোর্টের ম্যানেজার মো. সুমন। তিনি বলেন, শনিবার তাঁদের হোটেলে কিছু পর্যটক আটক পড়লেও রোববার এমন কেউ তাঁদের হোটেলে নেই।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে