পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি উন্নয়নকাজ বিশৃঙ্খলভাবে চলায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মৃতপ্রায় বলেশ্বর নদে। মাঝ নদ থেকে কংক্রিটের ব্লক ফেলায় মৃতপ্রায় নদটিতে নৌযান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশৃঙ্খল কাজে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নদের পাশ থেকে প্রায় ৫০ ফুট ভেতরে এলোমেলোভাবে কংক্রিটের ব্লক ফেলায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও খাদ্যগুদামের জাহাজ মাল নামানোর জন্য ভিড়তে পারছে না পাশে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা শহরের পুরোনো খেয়াঘাট থেকে দক্ষিণ দিকে ২১৯ মিটার নদী তীর সংরক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুনা-মাইশাকে (জেভি) কার্যাদেশ দেয় গত বছরের মে মাসে। আর এ বছরের জুন মাসে কাজটি শেষ করার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কাজটির অধিকাংশ অংশই অসম্পূর্ণ রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের দাবি উন্নয়নকাজ চলমান থাকা এলাকায় কোনো ভাঙন না থাকলেও, সেখানে নদের তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও আগে থেকেই নদের পাড় সংরক্ষণের জন্য সেখানে কংক্রিটের দেয়াল রয়েছে। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা কংক্রিটের ব্লকগুলো নদের তীরে না ফেলে গভীর রাতে মাঝ নদে ফেলছে। এতে করে মৃতপ্রায় বলেশ্বরে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর পাশাপাশি নদে স্রোত কমে দ্রুতই নদটি পুরোপুরি মারা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিকে পিরোজপুর শহরে নির্মাণসামগ্রীসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল পরিবহনের প্রধান মাধ্যম বলেশ্বর নদের পুরোনো খেয়াঘাট এলাকা। তাই সেখানে বিশৃঙ্খল কাজের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালেও এতে কোনো কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ।
এতে করে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে ওই নদে নৌযান ব্যবহারকারীরা। ফলে নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়াসহ স্থানীয় ব্যবসা–বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা বলেশ্বর নদ ব্যবহারকারীদের। এ ছাড়া নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হওয়া কাজের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম অংশু বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে ব্লক ফেলার কারণে আমাদের কোনো বড় ট্রলার পুরোনো খেয়াঘাটে ভিড়তে পারছে না। ফলে আমাদের ব্যবসা এখানে বন্ধ করে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে বাধ্য হচ্ছি।’
বলেশ্বরের মাঝি মনির হোসেন জানান, ভাটার সময় নৌকা ঘাট দেওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। এর একমাত্র কারণ নদের মাঝে থরে থরে ব্লক ফেলে রাখা। অনেক সময় নৌকায় আঘাত লেগে নৌকার নিচে ফেটে যায়। এ ভোগান্তির নিরসন হওয়া দরকার।
ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন লাভলু জানান, ব্লকগুলো এলোপাতাড়িভাবে মাঝখানে ফেলার কারণে নদের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। নদ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খাদ্যপণ্য বহনকারী জাহাজ এখানে ভিড়তে পারছে না। এ নদে ব্লক না ফেলে গাইড দেয়াল দেওয়া উচিত এবং অপরিকল্পিত ব্লকগুলো তুলে নদ খনন করা উচিত।
স্থানীয় ব্যবসায় আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাতের আঁধারে এলোমেলোভাবে ব্লক ফেলার কারণে ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার দাবি করলেও দেখে মনে হয় কাজ হয়েছে ২০ ভাগ। পুরোটাই অনিয়মে চলছে কাজ। তবে মৃতপ্রায় নদটি রক্ষা করা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দুর্দশা দূর করতে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
বলেশ্বর নদ ভরাট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মওলা মো. মেহেদী হাসান জানান, যখন এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি পিরোজপুরের দায়িত্বে ছিলেন না। এ ছাড়া কাজটির ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে এবং বাকি কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি। তবে কাজে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তা কাজ শেষ করার আগেই ঠিক করা হবে বলেও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি উন্নয়নকাজ বিশৃঙ্খলভাবে চলায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মৃতপ্রায় বলেশ্বর নদে। মাঝ নদ থেকে কংক্রিটের ব্লক ফেলায় মৃতপ্রায় নদটিতে নৌযান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশৃঙ্খল কাজে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নদের পাশ থেকে প্রায় ৫০ ফুট ভেতরে এলোমেলোভাবে কংক্রিটের ব্লক ফেলায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও খাদ্যগুদামের জাহাজ মাল নামানোর জন্য ভিড়তে পারছে না পাশে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা শহরের পুরোনো খেয়াঘাট থেকে দক্ষিণ দিকে ২১৯ মিটার নদী তীর সংরক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুনা-মাইশাকে (জেভি) কার্যাদেশ দেয় গত বছরের মে মাসে। আর এ বছরের জুন মাসে কাজটি শেষ করার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কাজটির অধিকাংশ অংশই অসম্পূর্ণ রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের দাবি উন্নয়নকাজ চলমান থাকা এলাকায় কোনো ভাঙন না থাকলেও, সেখানে নদের তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও আগে থেকেই নদের পাড় সংরক্ষণের জন্য সেখানে কংক্রিটের দেয়াল রয়েছে। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা কংক্রিটের ব্লকগুলো নদের তীরে না ফেলে গভীর রাতে মাঝ নদে ফেলছে। এতে করে মৃতপ্রায় বলেশ্বরে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর পাশাপাশি নদে স্রোত কমে দ্রুতই নদটি পুরোপুরি মারা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিকে পিরোজপুর শহরে নির্মাণসামগ্রীসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল পরিবহনের প্রধান মাধ্যম বলেশ্বর নদের পুরোনো খেয়াঘাট এলাকা। তাই সেখানে বিশৃঙ্খল কাজের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালেও এতে কোনো কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ।
এতে করে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে ওই নদে নৌযান ব্যবহারকারীরা। ফলে নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়াসহ স্থানীয় ব্যবসা–বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা বলেশ্বর নদ ব্যবহারকারীদের। এ ছাড়া নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হওয়া কাজের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম অংশু বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে ব্লক ফেলার কারণে আমাদের কোনো বড় ট্রলার পুরোনো খেয়াঘাটে ভিড়তে পারছে না। ফলে আমাদের ব্যবসা এখানে বন্ধ করে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে বাধ্য হচ্ছি।’
বলেশ্বরের মাঝি মনির হোসেন জানান, ভাটার সময় নৌকা ঘাট দেওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। এর একমাত্র কারণ নদের মাঝে থরে থরে ব্লক ফেলে রাখা। অনেক সময় নৌকায় আঘাত লেগে নৌকার নিচে ফেটে যায়। এ ভোগান্তির নিরসন হওয়া দরকার।
ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন লাভলু জানান, ব্লকগুলো এলোপাতাড়িভাবে মাঝখানে ফেলার কারণে নদের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। নদ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খাদ্যপণ্য বহনকারী জাহাজ এখানে ভিড়তে পারছে না। এ নদে ব্লক না ফেলে গাইড দেয়াল দেওয়া উচিত এবং অপরিকল্পিত ব্লকগুলো তুলে নদ খনন করা উচিত।
স্থানীয় ব্যবসায় আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাতের আঁধারে এলোমেলোভাবে ব্লক ফেলার কারণে ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার দাবি করলেও দেখে মনে হয় কাজ হয়েছে ২০ ভাগ। পুরোটাই অনিয়মে চলছে কাজ। তবে মৃতপ্রায় নদটি রক্ষা করা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দুর্দশা দূর করতে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
বলেশ্বর নদ ভরাট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মওলা মো. মেহেদী হাসান জানান, যখন এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি পিরোজপুরের দায়িত্বে ছিলেন না। এ ছাড়া কাজটির ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে এবং বাকি কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি। তবে কাজে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তা কাজ শেষ করার আগেই ঠিক করা হবে বলেও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে