সম্পাদকীয়
রাজনীতিতে তখন খুব জড়িয়ে আছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বাবা বদিউজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস। পূর্ব বাংলা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তিনি। পারিবারিক ব্যাপারে মন দেওয়ার সময় ছিল না তাঁর। রাজনীতি করার কারণে বাড়িটা সব সময় সরগরম থাকত। তাঁদেরই একজন, যাঁকে ইলিয়াস ‘সিদ্দিক চাচা’ বলে ডাকতেন, তাঁর মাধ্যমে ইলিয়াসরা দুই ভাই ভর্তি হয়ে গেলেন এক স্কুলে। আখতারুজ্জামান আর শহীদুজ্জামান। ভর্তি তো করিয়ে দিলেন সিদ্দিক চাচা, কিন্তু স্কুলের প্রথম দিনে তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেল না। অন্য এক চাচার ওপর ভার পড়ল স্কুলে নিয়ে যাওয়ার। ঢাকার কোন স্কুলে তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে, সে কথা তো আর এই চাচা জানেন না, তাই এক এক স্কুলে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে থাকলেন।
ঢাকার সব স্কুলই তখন লক্ষ্মীবাজার-সদরঘাট এলাকায়। একমাত্র নওয়াবপুর প্রিয়নাথ স্কুল বাদে। দুই ভাইকে নিয়ে রিকশা করে হন্যে হয়ে স্কুল খুঁজে বেড়াচ্ছেন চাচা। বাংলাবাজার মেয়েদের স্কুলে ঢুকতে গিয়ে ঘটল এক বাজে ঘটনা। একেবারে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হলো তাঁদের।
শেষ পর্যন্ত সেন্ট ফ্রান্সিসের মোসাহেবরা খাতা খুলে দেখলেন, হ্যাঁ, আছে, নাম আছে এই দুজনের। ব্যস, সেখানেই শুরু হলো পড়াশোনা। কিন্তু বছর দেড়েক পরে এক চাচার পরামর্শে তাঁদের চলে যেতে হয় বগুড়ায়। ভর্তি হতে হয় বগুড়া জিলা স্কুলে। সেখান থেকেই ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি।
বাবার মধ্যে একটা ব্যাপার বরাবর লক্ষ করেছেন ইলিয়াস। তিনি কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাননি। নিচের ক্লাসে পড়ার সময়ই বাবার সঙ্গে নানা বিষয়ে তর্ক করতেন। সাহিত্যবোধ, রাজনীতি, ধর্ম—নিজে যা ভাবতেন, তাই বলতেন। মাঝে মাঝে বেয়াদবের মতো কথা বলতেন। একবার পাকিস্তান আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক নেতাকে ‘কুকুর’ বলে ফেলেছিলেন। তাঁর বাবা বললেন, ‘তর্কের সময় এই সব টার্ম ব্যবহার করা ঠিক না।’
পরমতসহিষ্ণুতার শিক্ষা বাবার কাছেই পেয়েছিলেন তিনি।
সূত্র: শাহাদুজ্জামান, কথাপরম্পরা, পৃষ্ঠা ৬২-৬৩
রাজনীতিতে তখন খুব জড়িয়ে আছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বাবা বদিউজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস। পূর্ব বাংলা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তিনি। পারিবারিক ব্যাপারে মন দেওয়ার সময় ছিল না তাঁর। রাজনীতি করার কারণে বাড়িটা সব সময় সরগরম থাকত। তাঁদেরই একজন, যাঁকে ইলিয়াস ‘সিদ্দিক চাচা’ বলে ডাকতেন, তাঁর মাধ্যমে ইলিয়াসরা দুই ভাই ভর্তি হয়ে গেলেন এক স্কুলে। আখতারুজ্জামান আর শহীদুজ্জামান। ভর্তি তো করিয়ে দিলেন সিদ্দিক চাচা, কিন্তু স্কুলের প্রথম দিনে তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেল না। অন্য এক চাচার ওপর ভার পড়ল স্কুলে নিয়ে যাওয়ার। ঢাকার কোন স্কুলে তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে, সে কথা তো আর এই চাচা জানেন না, তাই এক এক স্কুলে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে থাকলেন।
ঢাকার সব স্কুলই তখন লক্ষ্মীবাজার-সদরঘাট এলাকায়। একমাত্র নওয়াবপুর প্রিয়নাথ স্কুল বাদে। দুই ভাইকে নিয়ে রিকশা করে হন্যে হয়ে স্কুল খুঁজে বেড়াচ্ছেন চাচা। বাংলাবাজার মেয়েদের স্কুলে ঢুকতে গিয়ে ঘটল এক বাজে ঘটনা। একেবারে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হলো তাঁদের।
শেষ পর্যন্ত সেন্ট ফ্রান্সিসের মোসাহেবরা খাতা খুলে দেখলেন, হ্যাঁ, আছে, নাম আছে এই দুজনের। ব্যস, সেখানেই শুরু হলো পড়াশোনা। কিন্তু বছর দেড়েক পরে এক চাচার পরামর্শে তাঁদের চলে যেতে হয় বগুড়ায়। ভর্তি হতে হয় বগুড়া জিলা স্কুলে। সেখান থেকেই ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি।
বাবার মধ্যে একটা ব্যাপার বরাবর লক্ষ করেছেন ইলিয়াস। তিনি কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাননি। নিচের ক্লাসে পড়ার সময়ই বাবার সঙ্গে নানা বিষয়ে তর্ক করতেন। সাহিত্যবোধ, রাজনীতি, ধর্ম—নিজে যা ভাবতেন, তাই বলতেন। মাঝে মাঝে বেয়াদবের মতো কথা বলতেন। একবার পাকিস্তান আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক নেতাকে ‘কুকুর’ বলে ফেলেছিলেন। তাঁর বাবা বললেন, ‘তর্কের সময় এই সব টার্ম ব্যবহার করা ঠিক না।’
পরমতসহিষ্ণুতার শিক্ষা বাবার কাছেই পেয়েছিলেন তিনি।
সূত্র: শাহাদুজ্জামান, কথাপরম্পরা, পৃষ্ঠা ৬২-৬৩
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে