আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি। আমি হঠাৎ এক ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। স্কুলের এক শিক্ষকের প্রতি আমি দুর্বলতা অনুভব করতে থাকি। সব সময় শুধু তাঁর কথাই ভাবতে থাকি; যদিও বিষয়টি তিনি জানেন না। আমি বুঝতে পারছি না, এটা কেমন অনুভূতি। পড়াশোনায় আগের মতো মনোযোগ দিতেও পারছি না। কাউকে মন খুলে বলতেও পারছি না। ভয় হয় কেউ জানতে পারলে আমাকে খারাপ ভাববে। আমি তাঁর ব্যাপারে চিন্তা করাটা ছাড়তে পারছি না। যতই ভুলতে চাই, ততই ঘিরে ধরে। আমি আর পারছি না!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুড়িগ্রাম
পরামর্শ: তুমি লিখেছ দশম শ্রেণিতে পড়ো। তুমি বলছ, অন্য কোনো একজন মানুষের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করাটা ভয়াবহ সমস্যা। কিন্তু আসলেই কি তাই? তুমি বয়ঃসন্ধিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছ। এ সময় তোমার বিভিন্ন মনোদৈহিক পরিবর্তন অনুভব হবে। অনেককেই ভালো লাগবে। আবার এই ভালোবাসা কিছুদিন পরে কেটেও যাবে। তোমার তাঁর কথা ভাবতেই ভালো লাগবে।
তাঁকে দেখলে বুকের রক্ত ছলকে উঠবে। এটাই স্বাভাবিক। একটু খেয়াল করলে দেখবে, ইদানীং আর ছোটবেলার প্রিয় কার্টুন শোগুলো অতটা ভালো লাগছে না। একটু রোমান্টিক সিনেমা দেখতে মন্দ লাগে না এখন। এসব খুবই সাধারণ ব্যাপার। তাঁর ব্যাপারে ফিল করা বন্ধ করার কোনো দরকার নেই। আমাদের মানুষের মস্তিষ্ক ‘না’ শুনতে অভ্যস্ত নয়। তুমি যত বলবে, ফিল করব না, ততই তোমার মস্তিষ্ক শুনবে ফিল করব, করব। কাজেই আলমারিতে যে রকম সুন্দর একটা কাঠের ভেলভেটের বক্সে আমরা পছন্দের কোনো জিনিস সযতনে উঠিয়ে রাখি, ঠিক সে রকম এই অনুভূতিটাকে যত্ন করে আলগোছে তুলে রাখো। কেউবা না-ই জানল। মাঝে মাঝে তুমি খুলে দেখো। তারপর আবার আলমারির কপাট বন্ধ করে দিয়ো। কোনো ক্ষতি নেই তাতে; বরং একবার ভাব তো, এখন তুমি তাঁর কাছে আর দশজন ছাত্রের একজন। কিন্তু চমৎকার একটা রেজাল্ট করে তাঁর সামনে দাঁড়ালে কেমন লাগবে তোমার?
আজ থেকে ১০ বছর পরে চমৎকার একটা ক্যারিয়ার নিয়ে তাঁর সামনে দাঁড়ালে তখনই বা কেমন লাগবে? নিজেকে তৈরি করো।
প্রশ্ন: আমি বিবাহিত। বিয়ে হয়েছে ১০ মাস হলো। বিয়ের আগে আমাদের পরিচয় দুই বছরের মতো। আমার পার্টনার খুব ভালো মানুষ। তবে তার কিছু কাজ আমার সহ্য হয় না। সে খুব অল্পতে রেগে যায়। আমার প্রতি কেয়ারিং, তবে খুব বেশি সময় দেয় না। প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার পর ফোন নিয়ে বসে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারও সেই একই কাজ করে। রাতে আমাকে একবার জিজ্ঞেস করে না, আমি কেমন আছি। জীবন নিয়ে আমি খুব হতাশ। চেষ্টা করছি মানিয়ে নেওয়ার, কিন্তু মাঝেমধ্যে হাল ছেড়ে দিচ্ছি মনে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে নিজেকে খুব একা লাগে।
মা-বাবা ছাড়া কাউকে আপন মনে হয় না। এ কথাগুলো কাউকে বলাও যায় না। এসব চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারছি না। নিজেকে খুব হতাশ লাগে। কী করলে এসব চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারব?
শারমিন রহমান, ভোলা
পরামর্শ: আপনি জানিয়েছেন, আপনার বিয়ের বয়স ১০ মাস। আপনাদের বয়সের পার্থক্য কত, সেটা জানা প্রয়োজন ছিল। বিয়েটা কি নিজেদের পছন্দে হয়েছে, নাকি পারিবারিকভাবে? বিবাহিত দুজন মানুষের নিজেদের চিনে নেওয়ার জন্য একটু সময় প্রয়োজন হয়। একই মানুষ প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে বিবাহিত দম্পতিতে পৌঁছালেও পরস্পরকে চেনার জন্য এই সময়টা খুবই জরুরি। আপনাদের এখন সেই পর্ব চলছে। কাজেই মন খারাপ করে না রেখে খোলামেলা এবং সততার সঙ্গে নিজের মনোভাব জানিয়ে দেওয়া জরুরি। আপনি তাঁকে অকপটে বলুন তাঁর কোন আচরণ আপনার মধ্যে আনন্দ বা দুঃখ বা ভয় বা রাগ তৈরি করছে। তাঁর কাছে জানতে চান যে আপনার কোন কোন আচরণ তাঁর কাছে আনন্দ বা দুঃখ বা ভয় কিংবা রাগ তৈরি করছে।
এটুকু প্রচেষ্টাই যথেষ্ট। তবে খেয়াল রাখবেন, দুজনেরই যখন মুড ভালো থাকে, তখন এই প্রশ্নগুলো করার প্রকৃত সময়। আমরা পুরো মানুষটিকেই অস্বীকার করি। কিন্তু আসলে তো তা নয়। আমরা মানুষের নির্দিষ্ট কিছু আচরণ অপছন্দ করি। আবার নির্দিষ্ট কিছু আচরণ পছন্দ করি। সেগুলো খোলামেলা এবং সততার সঙ্গে বলে ফেললে অনেক অভিমানের মেঘ ফিকে হয়ে যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার
প্রশ্ন: আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি। আমি হঠাৎ এক ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। স্কুলের এক শিক্ষকের প্রতি আমি দুর্বলতা অনুভব করতে থাকি। সব সময় শুধু তাঁর কথাই ভাবতে থাকি; যদিও বিষয়টি তিনি জানেন না। আমি বুঝতে পারছি না, এটা কেমন অনুভূতি। পড়াশোনায় আগের মতো মনোযোগ দিতেও পারছি না। কাউকে মন খুলে বলতেও পারছি না। ভয় হয় কেউ জানতে পারলে আমাকে খারাপ ভাববে। আমি তাঁর ব্যাপারে চিন্তা করাটা ছাড়তে পারছি না। যতই ভুলতে চাই, ততই ঘিরে ধরে। আমি আর পারছি না!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুড়িগ্রাম
পরামর্শ: তুমি লিখেছ দশম শ্রেণিতে পড়ো। তুমি বলছ, অন্য কোনো একজন মানুষের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করাটা ভয়াবহ সমস্যা। কিন্তু আসলেই কি তাই? তুমি বয়ঃসন্ধিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছ। এ সময় তোমার বিভিন্ন মনোদৈহিক পরিবর্তন অনুভব হবে। অনেককেই ভালো লাগবে। আবার এই ভালোবাসা কিছুদিন পরে কেটেও যাবে। তোমার তাঁর কথা ভাবতেই ভালো লাগবে।
তাঁকে দেখলে বুকের রক্ত ছলকে উঠবে। এটাই স্বাভাবিক। একটু খেয়াল করলে দেখবে, ইদানীং আর ছোটবেলার প্রিয় কার্টুন শোগুলো অতটা ভালো লাগছে না। একটু রোমান্টিক সিনেমা দেখতে মন্দ লাগে না এখন। এসব খুবই সাধারণ ব্যাপার। তাঁর ব্যাপারে ফিল করা বন্ধ করার কোনো দরকার নেই। আমাদের মানুষের মস্তিষ্ক ‘না’ শুনতে অভ্যস্ত নয়। তুমি যত বলবে, ফিল করব না, ততই তোমার মস্তিষ্ক শুনবে ফিল করব, করব। কাজেই আলমারিতে যে রকম সুন্দর একটা কাঠের ভেলভেটের বক্সে আমরা পছন্দের কোনো জিনিস সযতনে উঠিয়ে রাখি, ঠিক সে রকম এই অনুভূতিটাকে যত্ন করে আলগোছে তুলে রাখো। কেউবা না-ই জানল। মাঝে মাঝে তুমি খুলে দেখো। তারপর আবার আলমারির কপাট বন্ধ করে দিয়ো। কোনো ক্ষতি নেই তাতে; বরং একবার ভাব তো, এখন তুমি তাঁর কাছে আর দশজন ছাত্রের একজন। কিন্তু চমৎকার একটা রেজাল্ট করে তাঁর সামনে দাঁড়ালে কেমন লাগবে তোমার?
আজ থেকে ১০ বছর পরে চমৎকার একটা ক্যারিয়ার নিয়ে তাঁর সামনে দাঁড়ালে তখনই বা কেমন লাগবে? নিজেকে তৈরি করো।
প্রশ্ন: আমি বিবাহিত। বিয়ে হয়েছে ১০ মাস হলো। বিয়ের আগে আমাদের পরিচয় দুই বছরের মতো। আমার পার্টনার খুব ভালো মানুষ। তবে তার কিছু কাজ আমার সহ্য হয় না। সে খুব অল্পতে রেগে যায়। আমার প্রতি কেয়ারিং, তবে খুব বেশি সময় দেয় না। প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার পর ফোন নিয়ে বসে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারও সেই একই কাজ করে। রাতে আমাকে একবার জিজ্ঞেস করে না, আমি কেমন আছি। জীবন নিয়ে আমি খুব হতাশ। চেষ্টা করছি মানিয়ে নেওয়ার, কিন্তু মাঝেমধ্যে হাল ছেড়ে দিচ্ছি মনে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে নিজেকে খুব একা লাগে।
মা-বাবা ছাড়া কাউকে আপন মনে হয় না। এ কথাগুলো কাউকে বলাও যায় না। এসব চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারছি না। নিজেকে খুব হতাশ লাগে। কী করলে এসব চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারব?
শারমিন রহমান, ভোলা
পরামর্শ: আপনি জানিয়েছেন, আপনার বিয়ের বয়স ১০ মাস। আপনাদের বয়সের পার্থক্য কত, সেটা জানা প্রয়োজন ছিল। বিয়েটা কি নিজেদের পছন্দে হয়েছে, নাকি পারিবারিকভাবে? বিবাহিত দুজন মানুষের নিজেদের চিনে নেওয়ার জন্য একটু সময় প্রয়োজন হয়। একই মানুষ প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে বিবাহিত দম্পতিতে পৌঁছালেও পরস্পরকে চেনার জন্য এই সময়টা খুবই জরুরি। আপনাদের এখন সেই পর্ব চলছে। কাজেই মন খারাপ করে না রেখে খোলামেলা এবং সততার সঙ্গে নিজের মনোভাব জানিয়ে দেওয়া জরুরি। আপনি তাঁকে অকপটে বলুন তাঁর কোন আচরণ আপনার মধ্যে আনন্দ বা দুঃখ বা ভয় বা রাগ তৈরি করছে। তাঁর কাছে জানতে চান যে আপনার কোন কোন আচরণ তাঁর কাছে আনন্দ বা দুঃখ বা ভয় কিংবা রাগ তৈরি করছে।
এটুকু প্রচেষ্টাই যথেষ্ট। তবে খেয়াল রাখবেন, দুজনেরই যখন মুড ভালো থাকে, তখন এই প্রশ্নগুলো করার প্রকৃত সময়। আমরা পুরো মানুষটিকেই অস্বীকার করি। কিন্তু আসলে তো তা নয়। আমরা মানুষের নির্দিষ্ট কিছু আচরণ অপছন্দ করি। আবার নির্দিষ্ট কিছু আচরণ পছন্দ করি। সেগুলো খোলামেলা এবং সততার সঙ্গে বলে ফেললে অনেক অভিমানের মেঘ ফিকে হয়ে যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে