তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
তারাগঞ্জের তরুণ কেশব রায় উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন ঢাকায়। ভর্তি হয়েছিলেন সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষে চাকরি করে পরিবারের অভাব ঘোচাবেন। কিন্তু সেই স্বপ্নের সঙ্গে নিভে গেছে তাঁর জীবনপ্রদীপও।
কেশব গত মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে তাঁর মরদেহ আনা হয়। তিনি উপজেলার বায়ানপাড়া গ্রামের মংলু রায় ও আরতী রানী দম্পতির বড় ছেলে।
প্রতিবেশীরা জানান, কেশবের বাবার কোনো আবাদি জমি নেই। দেড় বছর আগে তাঁর দুবার অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকে তিনি আর ভারী কাজ করতে পারেন না। সংসার চালান কেশবের ছোট ভাই রডমিস্ত্রি সুশান্ত।
কেশব ২০১৮ সালে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ষষ্ঠ সেমিস্টার সম্পন্ন করেছিলেন। করোনার ছুটিতে তিনি নিজের খরচ জোগাতে মামা কমল রায়ের সঙ্গে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কম্পিউটার শাখায় খণ্ডকালীন কাজ করছিলেন।
মামা কমল রায় জানান, কেশব মঙ্গলবার রাতে অফিস থেকে বাইসাইকেলে করে তেজগাঁওয়ের মণিপুরের বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে ছুরিকাঘাত করে সাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
পথচারীরা পরে কেশবকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গত বুধবার ঢামেক হাসপাতাল মর্গে তাঁর লাশ শনাক্ত করা হয়।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে বায়ানপাড়া গ্রামে কেশবের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর লাশ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কেশবের বাবা বলছিলেন, ‘বেটাটার মোর কী দোষ আছলো? ওমরা মোর বেটাটাক মারি ফেলাইল। কত আশা আছলো বেটাটা লেখাপড়া করি চাকরি করবে, টাকা কামাইবে, সংসারোত অভাব থাকবে না। মোর সউগ স্বপ্ন শ্যাষ করি দিলে সন্ত্রাসীরা।’
স্বামীর এসব কথা শুনে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন স্ত্রী আরতী রানী। জ্ঞান ফিরলে আহাজারি করছিলেন, ‘আজ ছেলে চিতায় আগুন দেওচে। এ আগুন মোর কলিজাত জ্বলোছে। ছেলেটার মোর অফিসার হওয়া হইল না।’
ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেশবের পরিবার খুবই দরিদ্র। তাঁর বাবা অসুস্থ। ছোট ভাই সংসার চালায়। তাঁদের গত বছর ভিজিডি কার্ড করে দিয়েছিলাম। ছেলেটা লেখাপড়া করতে গিয়ে এভাবে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হবে ভাবতেই অবাক লাগছে।’
তারাগঞ্জের তরুণ কেশব রায় উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন ঢাকায়। ভর্তি হয়েছিলেন সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষে চাকরি করে পরিবারের অভাব ঘোচাবেন। কিন্তু সেই স্বপ্নের সঙ্গে নিভে গেছে তাঁর জীবনপ্রদীপও।
কেশব গত মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে তাঁর মরদেহ আনা হয়। তিনি উপজেলার বায়ানপাড়া গ্রামের মংলু রায় ও আরতী রানী দম্পতির বড় ছেলে।
প্রতিবেশীরা জানান, কেশবের বাবার কোনো আবাদি জমি নেই। দেড় বছর আগে তাঁর দুবার অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকে তিনি আর ভারী কাজ করতে পারেন না। সংসার চালান কেশবের ছোট ভাই রডমিস্ত্রি সুশান্ত।
কেশব ২০১৮ সালে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ষষ্ঠ সেমিস্টার সম্পন্ন করেছিলেন। করোনার ছুটিতে তিনি নিজের খরচ জোগাতে মামা কমল রায়ের সঙ্গে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কম্পিউটার শাখায় খণ্ডকালীন কাজ করছিলেন।
মামা কমল রায় জানান, কেশব মঙ্গলবার রাতে অফিস থেকে বাইসাইকেলে করে তেজগাঁওয়ের মণিপুরের বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৯টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে ছুরিকাঘাত করে সাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
পথচারীরা পরে কেশবকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গত বুধবার ঢামেক হাসপাতাল মর্গে তাঁর লাশ শনাক্ত করা হয়।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে বায়ানপাড়া গ্রামে কেশবের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর লাশ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কেশবের বাবা বলছিলেন, ‘বেটাটার মোর কী দোষ আছলো? ওমরা মোর বেটাটাক মারি ফেলাইল। কত আশা আছলো বেটাটা লেখাপড়া করি চাকরি করবে, টাকা কামাইবে, সংসারোত অভাব থাকবে না। মোর সউগ স্বপ্ন শ্যাষ করি দিলে সন্ত্রাসীরা।’
স্বামীর এসব কথা শুনে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন স্ত্রী আরতী রানী। জ্ঞান ফিরলে আহাজারি করছিলেন, ‘আজ ছেলে চিতায় আগুন দেওচে। এ আগুন মোর কলিজাত জ্বলোছে। ছেলেটার মোর অফিসার হওয়া হইল না।’
ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেশবের পরিবার খুবই দরিদ্র। তাঁর বাবা অসুস্থ। ছোট ভাই সংসার চালায়। তাঁদের গত বছর ভিজিডি কার্ড করে দিয়েছিলাম। ছেলেটা লেখাপড়া করতে গিয়ে এভাবে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হবে ভাবতেই অবাক লাগছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে