পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে সারা দেশের মতো কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে গতকাল রোববার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। কার্যক্রমের প্রথম দিন কার্ডধারী উপকার ভোগীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা কিংবা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় নিম্ন আয়ের ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৭ পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুরে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। এ সময় তিনি বলেন, প্রথম দিনে জেলার ৯ উপজেলার ১৭টি স্থানে পণ্য কিনতে পারবে জেলার ১৬ হাজার ৬৩৯ পরিবার। টিসিবির ১১ জন তালিকাভুক্ত ডিলারের মাধ্যমে ‘ফ্যামিলি কার্ডধারী’ পরিবারের কাছে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।

পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম রোধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল চৌধুরী, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম তারিকুল আলম, সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চট্টগ্রামের চকরিয়ায় টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ পাবে ২১ হাজার ৫১৮টি পরিবার। দুপুরে চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ ও সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম।

চকরিয়ার ইউএনও জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফোরকানুল ইসলাম তিতু প্রমুখ।

ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে ১ কোটি পরিবারের মধ্যে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে স্বল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২১ হাজার ৫১৮ উপকারভোগীর মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম রমজান মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’

ইউএনও আরও বলেন, প্রত্যেক কার্ডধারী ব্যক্তি ২ লিটার তেল ২২০ টাকায়, ২ কেজি চিনি ১১০ টাকায় ও ২ কেজি মসুর ডাল ১৩০ টাকায় কিনতে পারবেন।

পটিয়ায় ১৮ হাজারেরও বেশি নিম্ন আয়ের পরিবার কার্ডধারী টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের এই ভোগ্যপণ্য কিনতে পারবে। সকাল ১০টা থেকে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। এ কার্যক্রম আগামী ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে টিসিবির আঞ্চলিক খাদ্য সংরক্ষণাগারের উপজেলা পর্যায়ে ১৫টি ‍গুদামে পণ্য প্যাকেট করা হয়েছে। ‍গুদাম থেকেই সরাসরি পণ্য যাবে প্রত্যেক ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে।

প্যাকেটে পণ্য নির্ধারিত পরিমাণে আছে কি না এবং প্রকৃত কার্ডধারীদের কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না, চট্টগ্রাম সিটিতে সেটা মনিটরিং করবেন ছয়জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেটা তদারক করবেন।

পটিয়ার ইউএনও ফয়সাল আহমেদ বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রি চলবে।