মো. আ. রহিম রেজা, ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে দফায় দফায় নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তাঁরা ছুটছেন ন্যায্যমূল্যের চাল-আটা ও টিসিবির পণ্য কিনতে। ফলে পৌর শহরের ন্যায্যমূল্যে চাল-আটার দোকানে ও টিসিবির ট্রাকের সামনে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। অনেকেই পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ মিলেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঝালকাঠিতে প্রতিদিন খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল, আটা এবং টিসিবির খাদ্যপণ্য কিনতে কম আয়ের মানুষের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। এমনকি জেলা শহরের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ পণ্য কিনতে ভিড় করছেন। প্রতিদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন ডিলারের পয়েন্টে সকাল থেকেই মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। মানুষের ভিড়ের কারণে পরপর কয়েক দিন লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেক ক্রেতার। তাঁদের দাবি, বরাদ্দ ও ডিলারের সংখ্যা বাড়ালে দুর্দশা কমবে দরিদ্র মানুষের।
এদিকে মাসখানেক ধরে জেলা শহরে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ছাড়াও সবজি, মাছ, মাংস, মুরগিসহ সব জিনিসের দামে ঊর্ধ্বগতি। কয়েক দিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ১০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে এক লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা ১০ দিন আগেও ছিল ১৫০ টাকা। এক লিটার বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, ১০ দিন আগে ছিল ১৬০ টাকা। খুচরা দোকানে মোটা দানার মসুর ডাল ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এটি বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের কেজি ৩০ থেকে বেড়ে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির খাদ্যপণ্যের মধ্যে সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, মসুর ডাল ৬৫, চিনি ৫৫ ও পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইজাম ৪৫-৪৬ টাকা, বিআর ঊনত্রিশ ৪৮-৪৯, বিআর আটাশ ৫৩-৫৪, নাজিরশাইল ৬৬-৬৭, সিদ্ধ কাটারিভোগ ৯৩-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদি দোকানে আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায় এবং ময়দা ৫৫-৬০ টাকায়। অপরদিকে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ৩০ টাকা ও খোলা আটা ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।
ঝালকাঠি জেলা খাদ্য অফিস ও বরিশাল টিসিবির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে প্রতিদিন খোলাবাজারে একজন ডিলারের জন্য ৫০০ কেজি চাল ও ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ থাকে। সপ্তাহের ৬ দিন ১০ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি করা হয়। এসব কেন্দ্র থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা নিতে পারেন। পাঁচ কেজি হারে ১ হাজার কেজি চাল-আটা ২০০ মানুষ পেতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেক ডিলারের পয়েন্টে থাকে ৩০০-৪০০ মানুষের ভিড়। এদিকে ঝালকাঠিতে টিসিবির ৩৫ জন ডিলার আছেন। পণ্যের স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন একজন ডিলার খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন। টিসিবির ডিলার পয়েন্টেও বেলা বাড়তেই ভিড় বেড়ে যায়। প্রতিদিন দুই শতাধিক মানুষ খাদ্যপণ্য না পেয়ে ফিরে যান বলে অভিযোগ।
টিসিবির ডিলারের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়ানো গৃহপরিচারিকা শিরিন বেগম বলেন, ‘ঘরে খাওয়ার লোক চারজন। টিসিবি থ্যাইকা কোম দামে ত্যাল-ডাইল পাইলে কিছু পয়সা বাঁচে। কিন্তু দুই ঘণ্টা লাইনে খাড়াইয়াও হ্যেয়া ক্যেনতে পারি নাই।’
শহরের কাঠপট্টি এলাকায় খোলাবাজারে চাল কিনতে লাইনে দাঁড়ানো নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী জানান, তাঁর স্বামীর বেতনে সংসার চলে না। ছেলেমেয়ে নিয়ে অসুবিধায় আছেন। তাই কম দামে চাল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
টিসিবির ডিলার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরাদ্দ কম থাকায় ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ বাড়িয়ে ক্রেতাদের ভোগান্তি কমানো উচিত।
ওএমএস ডিলার নান্না মিয়া বলেন, বরাদ্দ কম থাকার কারণে প্রতিদিন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী চাল-আটা সরবরাহ করতে ডিলারদের হিমশিম খেতে হয়।
জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, বরাদ্দ কম থাকায় চাল কেনার জন্য ওএমএসের ডিলারদের ওপর চাপ বেড়েছে। তবে আপাতত বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, ডিলারসংকট কাটাতে টিসিবির নতুন ডিলার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওএমএসের ডিলারদের বরাদ্দ বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাড়তি বরাদ্দ পেলে চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
ঝালকাঠিতে দফায় দফায় নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তাঁরা ছুটছেন ন্যায্যমূল্যের চাল-আটা ও টিসিবির পণ্য কিনতে। ফলে পৌর শহরের ন্যায্যমূল্যে চাল-আটার দোকানে ও টিসিবির ট্রাকের সামনে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। অনেকেই পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ মিলেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঝালকাঠিতে প্রতিদিন খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল, আটা এবং টিসিবির খাদ্যপণ্য কিনতে কম আয়ের মানুষের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। এমনকি জেলা শহরের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ পণ্য কিনতে ভিড় করছেন। প্রতিদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন ডিলারের পয়েন্টে সকাল থেকেই মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। মানুষের ভিড়ের কারণে পরপর কয়েক দিন লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেক ক্রেতার। তাঁদের দাবি, বরাদ্দ ও ডিলারের সংখ্যা বাড়ালে দুর্দশা কমবে দরিদ্র মানুষের।
এদিকে মাসখানেক ধরে জেলা শহরে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ছাড়াও সবজি, মাছ, মাংস, মুরগিসহ সব জিনিসের দামে ঊর্ধ্বগতি। কয়েক দিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ১০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে এক লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা ১০ দিন আগেও ছিল ১৫০ টাকা। এক লিটার বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, ১০ দিন আগে ছিল ১৬০ টাকা। খুচরা দোকানে মোটা দানার মসুর ডাল ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এটি বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের কেজি ৩০ থেকে বেড়ে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির খাদ্যপণ্যের মধ্যে সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, মসুর ডাল ৬৫, চিনি ৫৫ ও পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইজাম ৪৫-৪৬ টাকা, বিআর ঊনত্রিশ ৪৮-৪৯, বিআর আটাশ ৫৩-৫৪, নাজিরশাইল ৬৬-৬৭, সিদ্ধ কাটারিভোগ ৯৩-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদি দোকানে আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায় এবং ময়দা ৫৫-৬০ টাকায়। অপরদিকে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ৩০ টাকা ও খোলা আটা ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।
ঝালকাঠি জেলা খাদ্য অফিস ও বরিশাল টিসিবির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে প্রতিদিন খোলাবাজারে একজন ডিলারের জন্য ৫০০ কেজি চাল ও ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ থাকে। সপ্তাহের ৬ দিন ১০ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি করা হয়। এসব কেন্দ্র থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা নিতে পারেন। পাঁচ কেজি হারে ১ হাজার কেজি চাল-আটা ২০০ মানুষ পেতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেক ডিলারের পয়েন্টে থাকে ৩০০-৪০০ মানুষের ভিড়। এদিকে ঝালকাঠিতে টিসিবির ৩৫ জন ডিলার আছেন। পণ্যের স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন একজন ডিলার খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন। টিসিবির ডিলার পয়েন্টেও বেলা বাড়তেই ভিড় বেড়ে যায়। প্রতিদিন দুই শতাধিক মানুষ খাদ্যপণ্য না পেয়ে ফিরে যান বলে অভিযোগ।
টিসিবির ডিলারের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়ানো গৃহপরিচারিকা শিরিন বেগম বলেন, ‘ঘরে খাওয়ার লোক চারজন। টিসিবি থ্যাইকা কোম দামে ত্যাল-ডাইল পাইলে কিছু পয়সা বাঁচে। কিন্তু দুই ঘণ্টা লাইনে খাড়াইয়াও হ্যেয়া ক্যেনতে পারি নাই।’
শহরের কাঠপট্টি এলাকায় খোলাবাজারে চাল কিনতে লাইনে দাঁড়ানো নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী জানান, তাঁর স্বামীর বেতনে সংসার চলে না। ছেলেমেয়ে নিয়ে অসুবিধায় আছেন। তাই কম দামে চাল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
টিসিবির ডিলার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরাদ্দ কম থাকায় ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ বাড়িয়ে ক্রেতাদের ভোগান্তি কমানো উচিত।
ওএমএস ডিলার নান্না মিয়া বলেন, বরাদ্দ কম থাকার কারণে প্রতিদিন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী চাল-আটা সরবরাহ করতে ডিলারদের হিমশিম খেতে হয়।
জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, বরাদ্দ কম থাকায় চাল কেনার জন্য ওএমএসের ডিলারদের ওপর চাপ বেড়েছে। তবে আপাতত বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, ডিলারসংকট কাটাতে টিসিবির নতুন ডিলার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওএমএসের ডিলারদের বরাদ্দ বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাড়তি বরাদ্দ পেলে চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে