নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নাম প্রস্তাব করতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি। গতকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-এর চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শেষের দুজন রাষ্ট্রপতি মনোনীত বিশিষ্ট ব্যক্তি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইনে বলা আছে সার্চ কমিটির সদস্যরা স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অভিজ্ঞ, সৎ ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তিকে ইসি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করবেন। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির সততা ও সুনাম নিরূপণের কোনো মানদণ্ড নেই। একভাবে সেটা নিরূপণ করা যায়, জনশ্রুতি। সে ক্ষেত্রে নামগুলো (সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত ইসি) প্রকাশ করা হয়, জনগণকে মতামতের সুযোগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কে যদি শুনানি করা হয় তাহলে নিরূপণ করা যাবে। এতে সঠিক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যাবে। একই সঙ্গে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রধান করবে।
আইনানুযায়ী সার্চ কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে তারা ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই মাত্র ছয় কার্যদিবস পাবে এই অনুসন্ধান কমিটি। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইসি গঠন না-ও হতে পারে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন না হলে কোনো অসুবিধা হবে না। কারণ, কমিশনে তো স্থায়ী কর্মচারীরা আছেন। আর এখন কোনো নির্বাচনও নেই। সুতরাং কোনো ব্যত্যয় হবে না।
সার্চ কমিটির প্রধান ওবায়দুল হাসান দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে দুই বছর ধরে বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। ইসি গঠনের সার্চ কমিটিতে এর আগেও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৭ সালে সার্চ কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে সদস্য ছিলেন তিনি। গতকাল নিয়োগের পর সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন কমিটি শিগগির বৈঠক করবে বলেও তিনি জানান।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ২০১৮ সালের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী নিয়োগ পান ২০২০ সালের ৩০ মে। এর আগে তিনি জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন।
১৯৮৪ সালের বিসিএস ব্যাচের নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের কর্মকর্তা মুসলিম চৌধুরী অর্থসচিবের দায়িত্ব থেকে অবসরে যান। আর ১৯৮৪ সালের বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সোহরাব হোসাইন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদ থেকে অবসরে যান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ২০০৭-২০১২ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর নামে সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনা হয়েছিল। সার্চ কমিটিতে ছহুল হোসাইনের নাম নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে সেটি নিয়ে এখনই কোনো কথা বলতে চান না আওয়ামী লীগের নেতারা। দলের একাধিক নেতা এ বিষয়ে বলেন, ‘অভিযোগ করতে চাইলে সবার নামেই করা যাবে। আমরা এখন এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আনোয়ারা সৈয়দ হক সব্যসাচী লেখক প্রয়াত সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও শিশুসাহিত্য রচনা করে যাওয়া আনোয়ারা সৈয়দ হক ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ২০১৯ সালে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।
সার্চ কমিটির কাজ সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, এ কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে। আইনে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা অভিজ্ঞতা, সততা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।
সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অনুসন্ধান করবে এবং রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছে নাম আহ্বান করতে পারবে। এই কমিটি সিইসি ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য দুজন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিতে হবে। সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পাঁচজনকে নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
তিনজন সদস্যের উপস্থিতিতে সার্চ কমিটির সভার কোরাম হবে। সার্চ কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। ভোটের সমতার ক্ষেত্রের সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। আইন না থাকায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সময় থেকে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন শুরু হয়, যা অনুসরণ করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এবার সার্চ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর গত ২৯ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার।
সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করতে ২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেই সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নামও নেয় তারা।
রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশ করার বিষয়ে বদিউল আলম বলেন, ‘অনুসন্ধান কমিটিকে সত্যিকার অর্থে অনুসন্ধান করতে হলে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। যাতে সঠিক ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। তাদের আইনমতে সেই ক্ষমতাও দেওয়া আছে। এখন তারা করবে কি না, সেটাই দেখার।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নাম প্রস্তাব করতে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি। গতকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-এর চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শেষের দুজন রাষ্ট্রপতি মনোনীত বিশিষ্ট ব্যক্তি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইনে বলা আছে সার্চ কমিটির সদস্যরা স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অভিজ্ঞ, সৎ ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তিকে ইসি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করবেন। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির সততা ও সুনাম নিরূপণের কোনো মানদণ্ড নেই। একভাবে সেটা নিরূপণ করা যায়, জনশ্রুতি। সে ক্ষেত্রে নামগুলো (সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত ইসি) প্রকাশ করা হয়, জনগণকে মতামতের সুযোগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কে যদি শুনানি করা হয় তাহলে নিরূপণ করা যাবে। এতে সঠিক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যাবে। একই সঙ্গে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রধান করবে।
আইনানুযায়ী সার্চ কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে তারা ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই মাত্র ছয় কার্যদিবস পাবে এই অনুসন্ধান কমিটি। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইসি গঠন না-ও হতে পারে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন না হলে কোনো অসুবিধা হবে না। কারণ, কমিশনে তো স্থায়ী কর্মচারীরা আছেন। আর এখন কোনো নির্বাচনও নেই। সুতরাং কোনো ব্যত্যয় হবে না।
সার্চ কমিটির প্রধান ওবায়দুল হাসান দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে দুই বছর ধরে বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। ইসি গঠনের সার্চ কমিটিতে এর আগেও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৭ সালে সার্চ কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে সদস্য ছিলেন তিনি। গতকাল নিয়োগের পর সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন কমিটি শিগগির বৈঠক করবে বলেও তিনি জানান।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ২০১৮ সালের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী নিয়োগ পান ২০২০ সালের ৩০ মে। এর আগে তিনি জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন।
১৯৮৪ সালের বিসিএস ব্যাচের নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের কর্মকর্তা মুসলিম চৌধুরী অর্থসচিবের দায়িত্ব থেকে অবসরে যান। আর ১৯৮৪ সালের বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সোহরাব হোসাইন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদ থেকে অবসরে যান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ২০০৭-২০১২ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর নামে সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনা হয়েছিল। সার্চ কমিটিতে ছহুল হোসাইনের নাম নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে সেটি নিয়ে এখনই কোনো কথা বলতে চান না আওয়ামী লীগের নেতারা। দলের একাধিক নেতা এ বিষয়ে বলেন, ‘অভিযোগ করতে চাইলে সবার নামেই করা যাবে। আমরা এখন এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আনোয়ারা সৈয়দ হক সব্যসাচী লেখক প্রয়াত সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও শিশুসাহিত্য রচনা করে যাওয়া আনোয়ারা সৈয়দ হক ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ২০১৯ সালে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।
সার্চ কমিটির কাজ সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, এ কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে। আইনে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা অভিজ্ঞতা, সততা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।
সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অনুসন্ধান করবে এবং রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছে নাম আহ্বান করতে পারবে। এই কমিটি সিইসি ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য দুজন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিতে হবে। সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পাঁচজনকে নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
তিনজন সদস্যের উপস্থিতিতে সার্চ কমিটির সভার কোরাম হবে। সার্চ কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। ভোটের সমতার ক্ষেত্রের সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। আইন না থাকায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সময় থেকে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন শুরু হয়, যা অনুসরণ করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এবার সার্চ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর গত ২৯ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার।
সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করতে ২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেই সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নামও নেয় তারা।
রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশ করার বিষয়ে বদিউল আলম বলেন, ‘অনুসন্ধান কমিটিকে সত্যিকার অর্থে অনুসন্ধান করতে হলে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। যাতে সঠিক ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। তাদের আইনমতে সেই ক্ষমতাও দেওয়া আছে। এখন তারা করবে কি না, সেটাই দেখার।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১২ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৪ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে