রাজশাহী প্রতিনিধি
গ্রামের মানুষের চিকিৎসাসেবার ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু দিনের পর দিন জনবল-সংকট নিয়েই চলছে রাজশাহীর সব কটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ অন্য সব পদেই জনবল প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিঘ্নিত হচ্ছে সেবা।
রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট পদ রয়েছে ১ হাজার ১৭৫টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৭৮১ জন। মোট জনবলের ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ ঘাটতি নিয়েই চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র পাঁচজন। সবচেয়ে বড় উপজেলা বাগমারায় ৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র পাঁচজন। চারঘাটে পদ থাকলেও নেই ১০ জন চিকিৎসক। এখানে কর্মরত আছেন ৯ জন। দুর্গাপুরে ১৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিপরীতে আছেন ৯ জন। গোদাগাড়ীতে কেবল ৯ জনের জায়গায় আছেন ছয়জন। মোহনপুরে পাঁচজন চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। তানোরে ১৯ চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র সাতজন। পবা ও পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কয়েকজন করে চিকিৎসকের পদ শূন্য।
জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গ্রামের প্রায় ২৪ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ সেবা নিতে যান। কিন্তু জনবলসংকটে সেবা দিতে হিমশিম খায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। তাই গ্রামের মানুষকে আসতে হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জনবল-সংকটের কারণে কয়েকটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতি মায়েদের অস্ত্রপচার বন্ধ হয়ে গেছে। ভালো সেবা না পাওয়ার কারণে ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলোর বেশির ভাগ শয্যা বছরের প্রায় সময়ই খালি থাকে।
আর তাই দেশের প্রথম ৩০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যেও স্থান নেই রাজশাহীর কোনোটির।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তালিকায় রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে ৩৮তম স্থানে। এ ছাড়া তানোর ৭২তম, পবা ১০১তম, মোহনপুর ১০২তম, দুর্গাপুর ১০৬তম, বাঘা ১৪০তম, গোদাগাড়ী ১৪৫তম, পুঠিয়া ১৪৬তম এবং বাগমারা ১৬৫তম অবস্থানে রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জনবল-সংকটের কারণে সেবা নিশ্চিত না হওয়ায় তালিকায় পিছিয়ে থাকছে রাজশাহীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো।
বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমাদের এখানে অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনি সার্জন পদে কেউ নেই। ফলে চাইলেও আমরা সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করতে পারছি না। সাপোর্টিং অন্যান্য অনেক পদ ফাঁকা রয়েছে। ফলে কাজ করতে সমস্যা হয়। জনবল থাকলে সবকিছু ভালোভাবে হতো।’
রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, জনবলসংকট কাটাতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিম্নপদের কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে সংকট কিছুটা কাটবে। কিন্তু চিকিৎসক-নার্সের সংকটগুলো থেকেই যাচ্ছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবখানে জনবল দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহীতে যেসব ফাঁকা পদ আছে, সেখানেও লোক আসবে। তখন সংকট থাকবে না।
গ্রামের মানুষের চিকিৎসাসেবার ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু দিনের পর দিন জনবল-সংকট নিয়েই চলছে রাজশাহীর সব কটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ অন্য সব পদেই জনবল প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিঘ্নিত হচ্ছে সেবা।
রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট পদ রয়েছে ১ হাজার ১৭৫টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৭৮১ জন। মোট জনবলের ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ ঘাটতি নিয়েই চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র পাঁচজন। সবচেয়ে বড় উপজেলা বাগমারায় ৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র পাঁচজন। চারঘাটে পদ থাকলেও নেই ১০ জন চিকিৎসক। এখানে কর্মরত আছেন ৯ জন। দুর্গাপুরে ১৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিপরীতে আছেন ৯ জন। গোদাগাড়ীতে কেবল ৯ জনের জায়গায় আছেন ছয়জন। মোহনপুরে পাঁচজন চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। তানোরে ১৯ চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র সাতজন। পবা ও পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কয়েকজন করে চিকিৎসকের পদ শূন্য।
জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গ্রামের প্রায় ২৪ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ সেবা নিতে যান। কিন্তু জনবলসংকটে সেবা দিতে হিমশিম খায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। তাই গ্রামের মানুষকে আসতে হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জনবল-সংকটের কারণে কয়েকটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতি মায়েদের অস্ত্রপচার বন্ধ হয়ে গেছে। ভালো সেবা না পাওয়ার কারণে ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলোর বেশির ভাগ শয্যা বছরের প্রায় সময়ই খালি থাকে।
আর তাই দেশের প্রথম ৩০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যেও স্থান নেই রাজশাহীর কোনোটির।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তালিকায় রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে ৩৮তম স্থানে। এ ছাড়া তানোর ৭২তম, পবা ১০১তম, মোহনপুর ১০২তম, দুর্গাপুর ১০৬তম, বাঘা ১৪০তম, গোদাগাড়ী ১৪৫তম, পুঠিয়া ১৪৬তম এবং বাগমারা ১৬৫তম অবস্থানে রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জনবল-সংকটের কারণে সেবা নিশ্চিত না হওয়ায় তালিকায় পিছিয়ে থাকছে রাজশাহীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো।
বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমাদের এখানে অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনি সার্জন পদে কেউ নেই। ফলে চাইলেও আমরা সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করতে পারছি না। সাপোর্টিং অন্যান্য অনেক পদ ফাঁকা রয়েছে। ফলে কাজ করতে সমস্যা হয়। জনবল থাকলে সবকিছু ভালোভাবে হতো।’
রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, জনবলসংকট কাটাতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিম্নপদের কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে সংকট কিছুটা কাটবে। কিন্তু চিকিৎসক-নার্সের সংকটগুলো থেকেই যাচ্ছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবখানে জনবল দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহীতে যেসব ফাঁকা পদ আছে, সেখানেও লোক আসবে। তখন সংকট থাকবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে