পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে এক আওয়ামী লীগ নেতার চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে ঢাকা-রাঙ্গাবালী নৌপথে গত শনিবার থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিকেরা। এতে বিপাকে পড়েন জেলার রাঙ্গাবালী, দশমিনা, গলাচিপা ও বাউফল উপজেলার কয়েক হাজার যাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার এক লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তিনদিন পর মঙ্গলবার থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মশিউর রহমান লিটন ও অ্যাডভোকেট ফেরকান মিয়া ও পটুয়াখালি জেলা পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন ভুট্রোসগ শ্রমিক ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দশমিনা সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটনের বিরুদ্ধে দশমিনা থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেন মামলা করেছেন ওই পথে চলাচলকারী এমভি জাহিদ লঞ্চের ক্যাশিয়ার মো. ইউসুফ। এ ঘটনায় হৃদয় ও শিহাব গাজী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইকবাল মাহমুদ লিটন ১৭ নভেম্বর প্রথম এমভি জাহিদ লঞ্চের মালিক জাহিদ মেলকারকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে আউরিয়াপুর লঞ্চঘাট পল্টুনে নামান। এর পর তাঁর কাছে আউলিয়াপুর, বাঁশবাড়িয়া এবং হাজির হাট লঞ্চঘাটে সুপারভাইজার নিয়োগের জন্য দাবি করেন। তখন জাহিদ মেলকার জানান, এসব ঘাটে লঞ্চের সুপারভাইজার নিয়োগ করা রয়েছে। এতে লিটন ক্ষুব্ধ হয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন মালিক অস্বীকৃতি জানালে লঞ্চ দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে রাখেন লিটন এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। একপর্যায়ে যাত্রী ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে লঞ্চ ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৯ নভেম্বর লঞ্চটি আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটে বিকেলে যাত্রী তুলতে নোঙর করলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লঞ্চে উঠে ১০ জন কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় লঞ্চের সিন্ধুক থেকে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬২০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। হামলায় গুরুতর আহত লঞ্চ স্টাফ আব্দুস সত্তার (৪২) এবং মো. মাহাবুবকে (২৮) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মো. জহিরকে (৩২) বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা এ সময় লঞ্চে ভাঙচুর চালায়।
রাঙ্গাবালী ও দশমিনার একাধিক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে রাঙ্গাবালী পর্যন্ত ৩টি লঞ্চ দৈনিক আসা-যাওয়া করত। বিভিন্ন এলাকার লোকজন দশমিনার হাজিরহাট, আউলিয়াপুর, চরকাজল, খাল গোড়া, কোড়ালিয়া ও পায়রাবন্দর ঘাট থেকে ঢাকা যাতায়াত করত। লঞ্চ বন্ধের কারণে এখন পটুয়াখালী ও কালাইয়া হয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ইয়াদ নেভিগেশনের মালিক মো. মামুন বলেন, ‘দশমিনায় জাহিদ লঞ্চ থেকে শ্রমিকদের নামিয়ে লিটন চেয়ারম্যানের লোকজন মারধর করেছে, তাঁদের সুষ্ঠু বিচার না হলে শ্রমিকেরা এই লাইনে লঞ্চ চালাবে না, তাই লঞ্চ বন্ধ।’
পূবালী লঞ্চের মালিক আজগর বলেন, জাহিদ লঞ্চের মাস্টারকে তাঁর রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তাই শ্রমিকেরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। তাই লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’
লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা শাহআলম বলেন, ‘লিটন চেয়ারম্যানের হুকুমে তাঁর লোকজন জাহিদ লঞ্চের শ্রমিকদের মারধর করেছে। তারা এখন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। আমার শ্রমিক কী দোষ করেছে, শ্রমিকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়।’
তবে এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দশমিনা সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইকবাল মাহামুদ লিটনের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। লঞ্চ মালিকদের অনুরোধ করেছি, জনগণকে তাঁরা যেন জিম্মি না করেন। তবে এখনো আলোচনা চলছে আশা করছি, দ্রুত সমাধান মিলবে।’
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে এক আওয়ামী লীগ নেতার চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে ঢাকা-রাঙ্গাবালী নৌপথে গত শনিবার থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিকেরা। এতে বিপাকে পড়েন জেলার রাঙ্গাবালী, দশমিনা, গলাচিপা ও বাউফল উপজেলার কয়েক হাজার যাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার এক লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তিনদিন পর মঙ্গলবার থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মশিউর রহমান লিটন ও অ্যাডভোকেট ফেরকান মিয়া ও পটুয়াখালি জেলা পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন ভুট্রোসগ শ্রমিক ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দশমিনা সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটনের বিরুদ্ধে দশমিনা থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেন মামলা করেছেন ওই পথে চলাচলকারী এমভি জাহিদ লঞ্চের ক্যাশিয়ার মো. ইউসুফ। এ ঘটনায় হৃদয় ও শিহাব গাজী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইকবাল মাহমুদ লিটন ১৭ নভেম্বর প্রথম এমভি জাহিদ লঞ্চের মালিক জাহিদ মেলকারকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে আউরিয়াপুর লঞ্চঘাট পল্টুনে নামান। এর পর তাঁর কাছে আউলিয়াপুর, বাঁশবাড়িয়া এবং হাজির হাট লঞ্চঘাটে সুপারভাইজার নিয়োগের জন্য দাবি করেন। তখন জাহিদ মেলকার জানান, এসব ঘাটে লঞ্চের সুপারভাইজার নিয়োগ করা রয়েছে। এতে লিটন ক্ষুব্ধ হয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন মালিক অস্বীকৃতি জানালে লঞ্চ দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে রাখেন লিটন এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। একপর্যায়ে যাত্রী ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে লঞ্চ ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৯ নভেম্বর লঞ্চটি আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটে বিকেলে যাত্রী তুলতে নোঙর করলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লঞ্চে উঠে ১০ জন কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় লঞ্চের সিন্ধুক থেকে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬২০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। হামলায় গুরুতর আহত লঞ্চ স্টাফ আব্দুস সত্তার (৪২) এবং মো. মাহাবুবকে (২৮) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মো. জহিরকে (৩২) বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা এ সময় লঞ্চে ভাঙচুর চালায়।
রাঙ্গাবালী ও দশমিনার একাধিক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে রাঙ্গাবালী পর্যন্ত ৩টি লঞ্চ দৈনিক আসা-যাওয়া করত। বিভিন্ন এলাকার লোকজন দশমিনার হাজিরহাট, আউলিয়াপুর, চরকাজল, খাল গোড়া, কোড়ালিয়া ও পায়রাবন্দর ঘাট থেকে ঢাকা যাতায়াত করত। লঞ্চ বন্ধের কারণে এখন পটুয়াখালী ও কালাইয়া হয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ইয়াদ নেভিগেশনের মালিক মো. মামুন বলেন, ‘দশমিনায় জাহিদ লঞ্চ থেকে শ্রমিকদের নামিয়ে লিটন চেয়ারম্যানের লোকজন মারধর করেছে, তাঁদের সুষ্ঠু বিচার না হলে শ্রমিকেরা এই লাইনে লঞ্চ চালাবে না, তাই লঞ্চ বন্ধ।’
পূবালী লঞ্চের মালিক আজগর বলেন, জাহিদ লঞ্চের মাস্টারকে তাঁর রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তাই শ্রমিকেরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। তাই লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’
লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা শাহআলম বলেন, ‘লিটন চেয়ারম্যানের হুকুমে তাঁর লোকজন জাহিদ লঞ্চের শ্রমিকদের মারধর করেছে। তারা এখন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। আমার শ্রমিক কী দোষ করেছে, শ্রমিকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়।’
তবে এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দশমিনা সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইকবাল মাহামুদ লিটনের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। লঞ্চ মালিকদের অনুরোধ করেছি, জনগণকে তাঁরা যেন জিম্মি না করেন। তবে এখনো আলোচনা চলছে আশা করছি, দ্রুত সমাধান মিলবে।’
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে