সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় তরমুজগাছে খেত ভরে গেলেও ফলন ভালো হয়নি। অজানা রোগের কারণে ফলন ভালো হয়নি বলে দাবি কৃষকের। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তাঁরা। এতে লাখ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে পথে বসার উপক্রম হয়েছে অনেক চাষির।
উপজেলার চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নের সাতাইশদ্রোন, কচ্ছপ মার্কেট; চরজব্বার ইউপির পরিষ্কার বাজার, চরজুবিলী ইউপির উত্তর কচ্ছপিয়া, চর ওয়াপদা ইউপির চর আমিনুল হক গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তরমুজচাষিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষের দিকে এবং এপ্রিলে সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তরমুজ ব্যবসায়ীদের সারি সারি ট্রাক দেখা গেলেও এ বছর ভিন্ন চিত্র নজরে পড়েছে। মাঠে তরমুজের সবুজ গাছে ভরপুর কিন্তু গাছে ফলন নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সুবর্ণচরে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। গত বছর এই উপজেলায় তরমুজের আবাদ ছিল ১ হাজার ৩৯৭ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের চাষ বেড়েছে চারগুণ।
সুবর্ণচরের তরমুজচাষিরা জানান, অনাবৃষ্টি ও পানির সংকটের কারণে তরমুজগাছের ডগা জ্বলে যাচ্ছে ও গোড়ায় পচন রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে গাছ মরে গিয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে।
সুবর্ণচরের চর আমানউল্যা ইউনিয়নের সাতাশদ্রোন গ্রামের তরমুজচাষি জামাল উদ্দিন বলেন, গত বছর তিনি ৯৬০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলেন। চাষের খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ হয়েছিল। গত বছর ফলন ভালো ও লাভ হওয়ায় তিনি চলতি বছর ১ হাজার ৯২০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। সবুজ তরমুজগাছে খেত ভরে থাকলেও ফলন নেই। ২০-২৫ দিন ধরে তরমুজগাছে অজ্ঞাত রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ রোগে সবুজ গাছের ডগা জ্বলে যাচ্ছে এবং গোড়া কালো হয়ে পচে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
জামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘প্রতি কানি জমি ভূমিমালিকের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৬ মাসের জন্য ইজারা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। এতে প্রতি কানিতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বিভিন্ন এনজিও ও মহাজন থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ এবং নিজের জমানো টাকা দিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু তরমুজের ফলন না হওয়ায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছি। তরমুজগাছগুলোর বয়স ৭৫ থেকে ৮০ দিন। গাছে গাছে ফুলও ফুটেছে। কিন্তু তরমুজ ধরছে না এবং অজ্ঞাত রোগ রাতারাতি খেতে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু কৃষি অধিদপ্তরের লোকজন এসে কোনো পরামর্শ দিচ্ছে না।’
চর জব্বার ইউনিয়নের তরমুজচাষি মো. ইব্রাহিম ৪৮০ শতক জমিতে ৩ লাখ টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করেছেন।
চাষি জামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য তরমুজচাষি ফলন বিপর্যয়ের জন্য অজ্ঞাত রোগের পাশাপাশি ফসলের মাঠের পাশে অবস্থিত ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া ও মাঠ থেকে প্রতিবছর টপ সয়েল কেটে ইটভাটায় নেওয়াকে দায়ী করেছেন।
তরমুজচাষি মো. ইব্রাহিম বলেন, সুবর্ণচরের চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নে ৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে সাতাশদ্রোন গ্রামেই আছে ৪টি। এই ইটভাটাগুলোর দূষিত কালো ধোঁয়ার কারণে মাঠের সবুজ ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকদের পথে বসার উপক্রম হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুনুর রশিদ চলতি বছর তরমুজের ফলন বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, গত বছর এই উপজেলায় তরমুজের আবাদ ছিল ১ হাজার ৩৯৭ হেক্টর। গত বছর ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় চলতি বছর কৃষকেরা অধিক পরিমাণে তরমুজের চাষ করেছেন। লবণাক্ত ও ফলনের অনুপযুক্ত জমিতে তরমুজ চাষ করার কারণেই ফলন বিপর্যয় হয়েছে।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতি সর্ববিদ্যা বলেন, ফসলের মাঠের আশপাশে কোনো অবৈধ ইটভাটা থাকলে এবং ইটভাটার কারণে ফসল বিপর্যয় ঘটছে—এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় তরমুজগাছে খেত ভরে গেলেও ফলন ভালো হয়নি। অজানা রোগের কারণে ফলন ভালো হয়নি বলে দাবি কৃষকের। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তাঁরা। এতে লাখ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে পথে বসার উপক্রম হয়েছে অনেক চাষির।
উপজেলার চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নের সাতাইশদ্রোন, কচ্ছপ মার্কেট; চরজব্বার ইউপির পরিষ্কার বাজার, চরজুবিলী ইউপির উত্তর কচ্ছপিয়া, চর ওয়াপদা ইউপির চর আমিনুল হক গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তরমুজচাষিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষের দিকে এবং এপ্রিলে সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তরমুজ ব্যবসায়ীদের সারি সারি ট্রাক দেখা গেলেও এ বছর ভিন্ন চিত্র নজরে পড়েছে। মাঠে তরমুজের সবুজ গাছে ভরপুর কিন্তু গাছে ফলন নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সুবর্ণচরে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। গত বছর এই উপজেলায় তরমুজের আবাদ ছিল ১ হাজার ৩৯৭ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের চাষ বেড়েছে চারগুণ।
সুবর্ণচরের তরমুজচাষিরা জানান, অনাবৃষ্টি ও পানির সংকটের কারণে তরমুজগাছের ডগা জ্বলে যাচ্ছে ও গোড়ায় পচন রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে গাছ মরে গিয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে।
সুবর্ণচরের চর আমানউল্যা ইউনিয়নের সাতাশদ্রোন গ্রামের তরমুজচাষি জামাল উদ্দিন বলেন, গত বছর তিনি ৯৬০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলেন। চাষের খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ হয়েছিল। গত বছর ফলন ভালো ও লাভ হওয়ায় তিনি চলতি বছর ১ হাজার ৯২০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। সবুজ তরমুজগাছে খেত ভরে থাকলেও ফলন নেই। ২০-২৫ দিন ধরে তরমুজগাছে অজ্ঞাত রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ রোগে সবুজ গাছের ডগা জ্বলে যাচ্ছে এবং গোড়া কালো হয়ে পচে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
জামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘প্রতি কানি জমি ভূমিমালিকের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৬ মাসের জন্য ইজারা নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। এতে প্রতি কানিতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বিভিন্ন এনজিও ও মহাজন থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ এবং নিজের জমানো টাকা দিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু তরমুজের ফলন না হওয়ায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছি। তরমুজগাছগুলোর বয়স ৭৫ থেকে ৮০ দিন। গাছে গাছে ফুলও ফুটেছে। কিন্তু তরমুজ ধরছে না এবং অজ্ঞাত রোগ রাতারাতি খেতে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু কৃষি অধিদপ্তরের লোকজন এসে কোনো পরামর্শ দিচ্ছে না।’
চর জব্বার ইউনিয়নের তরমুজচাষি মো. ইব্রাহিম ৪৮০ শতক জমিতে ৩ লাখ টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করেছেন।
চাষি জামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য তরমুজচাষি ফলন বিপর্যয়ের জন্য অজ্ঞাত রোগের পাশাপাশি ফসলের মাঠের পাশে অবস্থিত ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া ও মাঠ থেকে প্রতিবছর টপ সয়েল কেটে ইটভাটায় নেওয়াকে দায়ী করেছেন।
তরমুজচাষি মো. ইব্রাহিম বলেন, সুবর্ণচরের চর আমানউল্যাহ ইউনিয়নে ৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে সাতাশদ্রোন গ্রামেই আছে ৪টি। এই ইটভাটাগুলোর দূষিত কালো ধোঁয়ার কারণে মাঠের সবুজ ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকদের পথে বসার উপক্রম হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুনুর রশিদ চলতি বছর তরমুজের ফলন বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, গত বছর এই উপজেলায় তরমুজের আবাদ ছিল ১ হাজার ৩৯৭ হেক্টর। গত বছর ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় চলতি বছর কৃষকেরা অধিক পরিমাণে তরমুজের চাষ করেছেন। লবণাক্ত ও ফলনের অনুপযুক্ত জমিতে তরমুজ চাষ করার কারণেই ফলন বিপর্যয় হয়েছে।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতি সর্ববিদ্যা বলেন, ফসলের মাঠের আশপাশে কোনো অবৈধ ইটভাটা থাকলে এবং ইটভাটার কারণে ফসল বিপর্যয় ঘটছে—এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে