শাল্লায় ফসল রক্ষা বাঁধের কমিটি (পিআইসি) গঠনে অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চার ইউপি চেয়ারম্যান। গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরুদ্ধে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের না জানিয়ে ইউএনও আল মুক্তাদির হোসেন তাঁর মতো করে পিআইসি গঠন করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউএনও ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী (এসও) আব্দুল কাইয়ুম কমিটির একজনে যোগসাজশে মোট অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে গোপনে তালিকা তৈরি করেন। যা নীতিমালার বহির্ভূত।

কমিটির সকল সদস্য ও উপদেষ্টাদের মতামতের ভিত্তিতে কৃষকদের নিয়ে পিআইসি গঠন করতে হয়। কিন্তু তা না করে টাকার বিনিময়ে কৃষক ছাড়াই পিআইসি তালিকা করা হয়েছে। আর প্রত্যেকটি ইউনিয়নে তাঁরা (ইউএনও) সিন্ডিকেট তৈরি করে রাতের আঁধারে পিআইসি গঠন করেছেন। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ইউএনও আল মুক্তাদির তাঁদের (চেয়ারম্যানদের) সঙ্গে অশুভ আচরণ করেন। পরে চেয়ারম্যানেরা সভা বর্জন করেন।

উপজেলার চার ইউপি চেয়ারম্যান হলেন, আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদ, হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল, বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরী, শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়া।

হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল জানান, ইউএনও’র আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

আটগাও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদ বলেন, হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের (পিআইসি) তালিকা চক্রের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। দালালের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে প্রকল্প তালিকা গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই সভা থেকে আমাদের চলে যেতে বলা হয়।’

ইউএনও আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, ‘পিআইসিতে কোনো অনিয়ম হয়নি। অভিযোগ যেহেতু দিয়েছে তদন্ত চলাকালে প্রমাণ উপস্থাপন করব। এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ।’

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চেয়ারম্যানদের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’