ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
চলতি মৌসুমে মাগুরা সদর, শালিখা, শ্রীপুর ও মহম্মদপুর উপজেলায় আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এক সপ্তাহ ধরে মাঠের পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত তাঁরা। মাঠ থেকে ঘরে ধান নিতে ব্যবহার হচ্ছে গরুর বদলে ঘোড়া কিংবা মহিষের গাড়ি। শীতের সকালে ধানবোঝাই গাড়ি কুয়াশা ভেদ করে ছুটছে পথে-প্রান্তরে।
নভেম্বরের শেষের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে মাঠ-ঘাট। শুভ্র কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে সকালের হলদে রোদ। হেমন্তের ঠান্ডা বাতাসে দোল খাচ্ছে মাঠভরা সোনালি আমন ধান। সেই ধান কাটা ও তা বোঝাই করতে কৃষক এবং দিনমজুরেরা ব্যস্ত। একদল ধান কাটছে তো অন্য দল তা গাড়িতে করে গন্তব্য পৌঁছে যাচ্ছে।
রোদে পুড়ে, হাড়ভাঙা খাটুনির পর এবার আমন ধানে ভালো ফলন পেয়েছেন মাগুরার কৃষকেরা। মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, এ মৌসুমের ধান কেটে ঘোড়া কিংবা মহিষের গাড়িতে তোলা হচ্ছে বাড়ি নেওয়ার জন্য। যাঁদের বাড়ি মাঠের কাছেই, তাঁরা ধান কেটে মুঠি (গোছা) বেঁধে বাঁশের লাঠিতে ঝুলিয়ে কাঁধে করেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে মহিষ কিংবা ঘোড়ার গাড়ি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে গরুর গাড়ির বদলে। সোলেমান শেখ নামে হাজিপুর ইউনিয়নের এক কৃষক জানান, গরু এখন শৌখিন বিষয় হয়ে গেছে। একটি গরু লাখ টাকার ওপরে দাম। তাই গরু এই ধান কাটা গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে কম। মহিষের কাজ কম, তাই ধান কাটায় ঘোড়ার পাশাপাশি মহিষ নিয়ে কিছু মানুষ পাশের জেলা ঝিনাইদহ থেকে আসেন। তাঁরা বিনিময়ে কিছু ধান পেয়ে খুশি। এভাবেই গরুর বদলে এসব গাড়ির প্রচলন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
মাগুরা জেলার রামনগর, আবালপুর, বরিশাট, দড়িমাগুরা, নহাটা, আড়পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার এই মৌসুমে যেমন দিনমজুরদের ব্যস্ততা; তেমনই ধানের আঁটি নিয়ে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন এসব গাড়ির মালিকেরা।
জামাল হোসেন নামের এক ঘোড়ার গাড়ির মালিক জানান, প্রতিবছর এই ধান কাটার সময় মাগুরা আসেন। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। তাঁর মতো অনেকে এই পেশায় জড়িত। ৫ আঁটি ধান (এক গাড়ি) টেনে আধা মণ ধান নেন।
ধানের ফলন সম্পর্কে মাগুরা কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছর আমনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ৬১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৪৭০ হেক্টরে।
সদর উপজেলার জগদল গ্রামের কৃষক মনু মোল্লা বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে আমন ধানের এবার আবাদ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। সম্প্রতি তেলের দাম বাড়ায় সামনের মাসে ধান চাষে খরচ বেড়ে যাবে। তখন কী হবে বলা মুশকিল। ধানের ন্যায্যমূল্য যদি পাই, তাহলে আমরা লাভবান হব।’
মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন জরিনা বেগম। স্বামী আলাউদ্দিনের সঙ্গে বাড়িতে ধান মাড়াই করছেন শ্যালো মেশিন দিয়ে। দুজনে মিলে ধান মাড়াই করতে করতে জানালেন, মেশিন চলে ডিজেলে। দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত প্রামাণিক বলেন, এ বছর আমন ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ছিল কৃষকের পক্ষে। তাই রোগ, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম ছিল। এরই মধ্যে মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। কৃষকেরা আমন কাটা শুরু করেছেন। গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মুখের এই হাসি আমাদের সবার জন্য। তাঁদের এই হাসি আরও স্থায়ী হোক পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পেয়ে।
চলতি মৌসুমে মাগুরা সদর, শালিখা, শ্রীপুর ও মহম্মদপুর উপজেলায় আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এক সপ্তাহ ধরে মাঠের পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত তাঁরা। মাঠ থেকে ঘরে ধান নিতে ব্যবহার হচ্ছে গরুর বদলে ঘোড়া কিংবা মহিষের গাড়ি। শীতের সকালে ধানবোঝাই গাড়ি কুয়াশা ভেদ করে ছুটছে পথে-প্রান্তরে।
নভেম্বরের শেষের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে মাঠ-ঘাট। শুভ্র কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে সকালের হলদে রোদ। হেমন্তের ঠান্ডা বাতাসে দোল খাচ্ছে মাঠভরা সোনালি আমন ধান। সেই ধান কাটা ও তা বোঝাই করতে কৃষক এবং দিনমজুরেরা ব্যস্ত। একদল ধান কাটছে তো অন্য দল তা গাড়িতে করে গন্তব্য পৌঁছে যাচ্ছে।
রোদে পুড়ে, হাড়ভাঙা খাটুনির পর এবার আমন ধানে ভালো ফলন পেয়েছেন মাগুরার কৃষকেরা। মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, এ মৌসুমের ধান কেটে ঘোড়া কিংবা মহিষের গাড়িতে তোলা হচ্ছে বাড়ি নেওয়ার জন্য। যাঁদের বাড়ি মাঠের কাছেই, তাঁরা ধান কেটে মুঠি (গোছা) বেঁধে বাঁশের লাঠিতে ঝুলিয়ে কাঁধে করেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে মহিষ কিংবা ঘোড়ার গাড়ি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে গরুর গাড়ির বদলে। সোলেমান শেখ নামে হাজিপুর ইউনিয়নের এক কৃষক জানান, গরু এখন শৌখিন বিষয় হয়ে গেছে। একটি গরু লাখ টাকার ওপরে দাম। তাই গরু এই ধান কাটা গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে কম। মহিষের কাজ কম, তাই ধান কাটায় ঘোড়ার পাশাপাশি মহিষ নিয়ে কিছু মানুষ পাশের জেলা ঝিনাইদহ থেকে আসেন। তাঁরা বিনিময়ে কিছু ধান পেয়ে খুশি। এভাবেই গরুর বদলে এসব গাড়ির প্রচলন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
মাগুরা জেলার রামনগর, আবালপুর, বরিশাট, দড়িমাগুরা, নহাটা, আড়পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার এই মৌসুমে যেমন দিনমজুরদের ব্যস্ততা; তেমনই ধানের আঁটি নিয়ে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন এসব গাড়ির মালিকেরা।
জামাল হোসেন নামের এক ঘোড়ার গাড়ির মালিক জানান, প্রতিবছর এই ধান কাটার সময় মাগুরা আসেন। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। তাঁর মতো অনেকে এই পেশায় জড়িত। ৫ আঁটি ধান (এক গাড়ি) টেনে আধা মণ ধান নেন।
ধানের ফলন সম্পর্কে মাগুরা কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছর আমনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ৬১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৪৭০ হেক্টরে।
সদর উপজেলার জগদল গ্রামের কৃষক মনু মোল্লা বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে আমন ধানের এবার আবাদ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। সম্প্রতি তেলের দাম বাড়ায় সামনের মাসে ধান চাষে খরচ বেড়ে যাবে। তখন কী হবে বলা মুশকিল। ধানের ন্যায্যমূল্য যদি পাই, তাহলে আমরা লাভবান হব।’
মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন জরিনা বেগম। স্বামী আলাউদ্দিনের সঙ্গে বাড়িতে ধান মাড়াই করছেন শ্যালো মেশিন দিয়ে। দুজনে মিলে ধান মাড়াই করতে করতে জানালেন, মেশিন চলে ডিজেলে। দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত প্রামাণিক বলেন, এ বছর আমন ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ছিল কৃষকের পক্ষে। তাই রোগ, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম ছিল। এরই মধ্যে মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। কৃষকেরা আমন কাটা শুরু করেছেন। গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মুখের এই হাসি আমাদের সবার জন্য। তাঁদের এই হাসি আরও স্থায়ী হোক পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পেয়ে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে