সম্পাদকীয়
ঈদের সময় যাত্রাপথে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল কম। মোটামুটি নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছে মানুষ। ফিরেও এসেছে। এ রকম এক স্বস্তি নিয়ে আমরা সম্পাদকীয় লিখেছিলাম। কিন্তু ১৭ ও ১৮ এপ্রিল—দুই দিনের পত্রিকায় চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে কী ভয়াবহ দুর্ঘটনাই না ঘটে গেছে ফরিদপুর আর ঝালকাঠিতে। বেপরোয়া যান চালনাই এ দুই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
ফরিদপুরের কানাইপুরের দিগনগরে একটি বাস ও একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যায় ১৪ জন। এর মধ্যে একই পরিবারের ছিল চারজন। পরদিন ঝালকাঠিতে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় অপেক্ষা করছিল একটি গাড়ি, একটি ছোট ট্রাক আর তিনটি ইজিবাইক। হঠাৎ একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক দ্রুতগতিতে এসে হাজির হয়েছিল টোলপ্লাজায়। এরপর অন্য বাহনগুলোর কোনোটিকে চাপা দিয়ে, কোনোটিকে ধাক্কা দিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করে এই সিমেন্টবাহী ট্রাক। নিহত ও আহতদের বেশির ভাগই দুটি পরিবারের সদস্য।
রাস্তার নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দুর্ঘটনা দুটি ঘটেনি। একটু খেয়াল করে দেখলেই বোঝা যাবে, চালকের অসতর্কতাই বড় দুটি দুর্ঘটনার জন্য মূলত দায়ী। নইলে কীভাবে টোলপ্লাজায় অপেক্ষমাণ গাড়ি, ট্রাক, টেম্পোর ওপর ট্রাক উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব? ঘটনাটি ঘটেছে বেলা দেড়টার দিকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, বেলা দেড়টায় যিনি ট্রাক চালাচ্ছিলেন, তিনি কি অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন? সেটা কি হতে পারে? মহাসড়কে বাহন নিয়ে বের হলে যে দায়িত্ব এসে কাঁধে চাপে, সে সম্পর্কে কি তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন?
আমরা তত্ত্বের কচকচানিতে যাব না। মহাসড়কে যাঁরা যানবাহন চালান কিংবা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁদের সবাইকে বলব, এটাকে শুধু যান্ত্রিকভাবে পেশা হিসেবে নিলে চলবে না। একজন চিকিৎসককে যেমন রোগীর দায়ভার নিতে হয়, রাজপথের দায়ভারও এই চালক ও সড়ক নিয়ন্ত্রণকারীদের ওপর বর্তায়। শুনতে নতুন ঠেকলেও কথাটা সত্য।
রাজপথে চালকের কারবার গতির সঙ্গে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর একটা তাগিদ থাকবে, কিন্তু তা যেন নিরাপদ হয়, সেটা মেনে চলতে হবে চালককেই। চালকের হাতে যে শুধু তাঁর বাহনের যাত্রীদের জীবনের দায় আছে তা নয়, বরং সেই পথে চলাচলকারী প্রত্যেক মানুষের জীবন রক্ষা করার দায়টাও তাঁর। ঝালকাঠির ঘটনায় আমরা দেখলাম, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটার কোনো কারণ নেই, সেখানেই ঘটে গেল এই ভয়াবহতা। ফরিদপুরের ঘটনার দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, চালকের অদূরদর্শিতাই দুটি বাহনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল।
বাস-ট্রাক-গাড়িসহ যেকোনো বাহনের চালকদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের দরকার আছে। রাজপথের নিয়ম মেনে চলার কথা তো সেখানে বলতেই হবে, তার সঙ্গে চালকের দায়গুলোও মনে করিয়ে দিতে হবে। বলতে হবে, একটু অসাবধানতাই কীভাবে ছারখার করে দিতে পারে একেকটি পরিবার। সেই গতি ভালো, যে গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
যে ২৮ জনকে হত্যা করল বাস আর ট্রাক, যে কয়েকটি পরিবারের দুঃস্বপ্নের কারণ হলো তারা, তাতে শুধু দোষীদের বিচার চাইলেই হবে না; এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, সেটা নিশ্চিত করার পরিকল্পনাই এ ক্ষেত্রে বেশি জরুরি।
ঈদের সময় যাত্রাপথে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল কম। মোটামুটি নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছে মানুষ। ফিরেও এসেছে। এ রকম এক স্বস্তি নিয়ে আমরা সম্পাদকীয় লিখেছিলাম। কিন্তু ১৭ ও ১৮ এপ্রিল—দুই দিনের পত্রিকায় চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে কী ভয়াবহ দুর্ঘটনাই না ঘটে গেছে ফরিদপুর আর ঝালকাঠিতে। বেপরোয়া যান চালনাই এ দুই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
ফরিদপুরের কানাইপুরের দিগনগরে একটি বাস ও একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যায় ১৪ জন। এর মধ্যে একই পরিবারের ছিল চারজন। পরদিন ঝালকাঠিতে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় অপেক্ষা করছিল একটি গাড়ি, একটি ছোট ট্রাক আর তিনটি ইজিবাইক। হঠাৎ একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক দ্রুতগতিতে এসে হাজির হয়েছিল টোলপ্লাজায়। এরপর অন্য বাহনগুলোর কোনোটিকে চাপা দিয়ে, কোনোটিকে ধাক্কা দিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করে এই সিমেন্টবাহী ট্রাক। নিহত ও আহতদের বেশির ভাগই দুটি পরিবারের সদস্য।
রাস্তার নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দুর্ঘটনা দুটি ঘটেনি। একটু খেয়াল করে দেখলেই বোঝা যাবে, চালকের অসতর্কতাই বড় দুটি দুর্ঘটনার জন্য মূলত দায়ী। নইলে কীভাবে টোলপ্লাজায় অপেক্ষমাণ গাড়ি, ট্রাক, টেম্পোর ওপর ট্রাক উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব? ঘটনাটি ঘটেছে বেলা দেড়টার দিকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, বেলা দেড়টায় যিনি ট্রাক চালাচ্ছিলেন, তিনি কি অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন? সেটা কি হতে পারে? মহাসড়কে বাহন নিয়ে বের হলে যে দায়িত্ব এসে কাঁধে চাপে, সে সম্পর্কে কি তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন?
আমরা তত্ত্বের কচকচানিতে যাব না। মহাসড়কে যাঁরা যানবাহন চালান কিংবা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁদের সবাইকে বলব, এটাকে শুধু যান্ত্রিকভাবে পেশা হিসেবে নিলে চলবে না। একজন চিকিৎসককে যেমন রোগীর দায়ভার নিতে হয়, রাজপথের দায়ভারও এই চালক ও সড়ক নিয়ন্ত্রণকারীদের ওপর বর্তায়। শুনতে নতুন ঠেকলেও কথাটা সত্য।
রাজপথে চালকের কারবার গতির সঙ্গে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর একটা তাগিদ থাকবে, কিন্তু তা যেন নিরাপদ হয়, সেটা মেনে চলতে হবে চালককেই। চালকের হাতে যে শুধু তাঁর বাহনের যাত্রীদের জীবনের দায় আছে তা নয়, বরং সেই পথে চলাচলকারী প্রত্যেক মানুষের জীবন রক্ষা করার দায়টাও তাঁর। ঝালকাঠির ঘটনায় আমরা দেখলাম, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটার কোনো কারণ নেই, সেখানেই ঘটে গেল এই ভয়াবহতা। ফরিদপুরের ঘটনার দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, চালকের অদূরদর্শিতাই দুটি বাহনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল।
বাস-ট্রাক-গাড়িসহ যেকোনো বাহনের চালকদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের দরকার আছে। রাজপথের নিয়ম মেনে চলার কথা তো সেখানে বলতেই হবে, তার সঙ্গে চালকের দায়গুলোও মনে করিয়ে দিতে হবে। বলতে হবে, একটু অসাবধানতাই কীভাবে ছারখার করে দিতে পারে একেকটি পরিবার। সেই গতি ভালো, যে গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
যে ২৮ জনকে হত্যা করল বাস আর ট্রাক, যে কয়েকটি পরিবারের দুঃস্বপ্নের কারণ হলো তারা, তাতে শুধু দোষীদের বিচার চাইলেই হবে না; এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, সেটা নিশ্চিত করার পরিকল্পনাই এ ক্ষেত্রে বেশি জরুরি।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে