বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য প্রতি মন্দিরে সরকারি বরাদ্দের চাল বিতরণে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বছর প্রতিটি মন্দিরে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়েছে। প্রতি ৫০০ কেজি চাল ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে প্রতিটি মন্দিরে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
চাল বিক্রির দায়িত্ব পাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি প্রতি কেজি চাল ৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তবে ওই চালের ক্রেতা দাবি করেছেন, প্রতি কেজি চালের জন্য তিনি ৪৮ টাকা দর দিয়েছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, চিতলমারীর ১৪৮টি মন্দিরের ৭৪ টন চাল কলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া ওরফে বাদশা শেখের নেতৃত্বে এই চাল বিক্রি হয়।
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের কুরমনি সর্বজনীন দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘জানতে পেরেছি, প্রতি কেজি চাল ৪৮ টাকা দরে বিক্রি করে আমাদের কম টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে ৪ হাজার করে মোট ১৪৮টি মন্দিরের মোট ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা মন্দিরগুলোকে কম দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
চিতলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অপূর্ব দাস জানান, ‘মন্দির কমিটিগুলোর সুবিধার জন্য চালের বদলে টাকা দেওয়া হয়েছে। চাল বিক্রির সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো সভার রেজল্যুশন নেই। তবে সব চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া ১৪৮টি মন্দিরের মোট ৭৪ টন চাল বিক্রি করেছেন। প্রতি মন্দিরে ২০ হাজার টাকা করে মোট ১৪৮টি মন্দিরে ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে কত টাকার চাল বিক্রি করেছেন, তা জানি না।’
চিতলমারী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আদুরি ব্রহ্ম জানান, ‘চিতলমারীর ১৪৮টি মন্দির কমিটির স্বাক্ষরিত মাস্টাররোল আমি পেয়েছি এবং প্রতি মন্দিরের জন্য ৫০০ কেজি চালের ছাড়পত্র দিয়েছি। চাল কত টাকায় কে বিক্রি করল এবং কে কিনল, এটা আমার দেখার ব্যাপার নয়।’
১৪৮টি মন্দিরে বরাদ্দের ৭৪ হাজার কেজি চাল কিনেছেন চিতলমারীর চাল ব্যবসায়ী মো. জাকির শরীফ। তিনি বলেন, ‘ওই চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকা দরে কলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়ার কাছ থেকে কিনেছি। তবে মনে হয় আরও এক টাকা দরে বেশি দিতে হবে। ইতিমধ্যে মো. বাদশা মিয়াকে ওই চালের দাম ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সব মন্দির কমিটির সুবিধার জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চাল বিক্রি করে টাকা বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। অনেক চেষ্টার পর প্রতি কেজি চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে প্রতিটি মন্দিরে ২০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। জনগণের সেবক আমি, কোনো দুর্নীতিবাজ নই!’
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ‘যত দূর জানি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া প্রতি কেজি চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে মন্দিরগুলোর জন্য টাকার ব্যবস্থা করেছেন। চাল বিক্রয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা প্রতিটি মন্দিরকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু অতিরিক্ত দামে যদি ওই চাল বিক্রি হয়, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, ‘প্রতি কেজি চাল ৪১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে আমি জানি। মন্দিরগুলোর সুবিধার্থে চালগুলো বিক্রি করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে কেন কম টাকা দেওয়া হলো, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানেন।’
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য প্রতি মন্দিরে সরকারি বরাদ্দের চাল বিতরণে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বছর প্রতিটি মন্দিরে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ হয়েছে। প্রতি ৫০০ কেজি চাল ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে প্রতিটি মন্দিরে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
চাল বিক্রির দায়িত্ব পাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি প্রতি কেজি চাল ৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তবে ওই চালের ক্রেতা দাবি করেছেন, প্রতি কেজি চালের জন্য তিনি ৪৮ টাকা দর দিয়েছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, চিতলমারীর ১৪৮টি মন্দিরের ৭৪ টন চাল কলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া ওরফে বাদশা শেখের নেতৃত্বে এই চাল বিক্রি হয়।
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের কুরমনি সর্বজনীন দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘জানতে পেরেছি, প্রতি কেজি চাল ৪৮ টাকা দরে বিক্রি করে আমাদের কম টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে ৪ হাজার করে মোট ১৪৮টি মন্দিরের মোট ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা মন্দিরগুলোকে কম দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
চিতলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অপূর্ব দাস জানান, ‘মন্দির কমিটিগুলোর সুবিধার জন্য চালের বদলে টাকা দেওয়া হয়েছে। চাল বিক্রির সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো সভার রেজল্যুশন নেই। তবে সব চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া ১৪৮টি মন্দিরের মোট ৭৪ টন চাল বিক্রি করেছেন। প্রতি মন্দিরে ২০ হাজার টাকা করে মোট ১৪৮টি মন্দিরে ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে কত টাকার চাল বিক্রি করেছেন, তা জানি না।’
চিতলমারী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আদুরি ব্রহ্ম জানান, ‘চিতলমারীর ১৪৮টি মন্দির কমিটির স্বাক্ষরিত মাস্টাররোল আমি পেয়েছি এবং প্রতি মন্দিরের জন্য ৫০০ কেজি চালের ছাড়পত্র দিয়েছি। চাল কত টাকায় কে বিক্রি করল এবং কে কিনল, এটা আমার দেখার ব্যাপার নয়।’
১৪৮টি মন্দিরে বরাদ্দের ৭৪ হাজার কেজি চাল কিনেছেন চিতলমারীর চাল ব্যবসায়ী মো. জাকির শরীফ। তিনি বলেন, ‘ওই চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকা দরে কলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়ার কাছ থেকে কিনেছি। তবে মনে হয় আরও এক টাকা দরে বেশি দিতে হবে। ইতিমধ্যে মো. বাদশা মিয়াকে ওই চালের দাম ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সব মন্দির কমিটির সুবিধার জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চাল বিক্রি করে টাকা বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। অনেক চেষ্টার পর প্রতি কেজি চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে প্রতিটি মন্দিরে ২০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। জনগণের সেবক আমি, কোনো দুর্নীতিবাজ নই!’
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, ‘যত দূর জানি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া প্রতি কেজি চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে মন্দিরগুলোর জন্য টাকার ব্যবস্থা করেছেন। চাল বিক্রয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা প্রতিটি মন্দিরকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু অতিরিক্ত দামে যদি ওই চাল বিক্রি হয়, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, ‘প্রতি কেজি চাল ৪১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে আমি জানি। মন্দিরগুলোর সুবিধার্থে চালগুলো বিক্রি করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে কেন কম টাকা দেওয়া হলো, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে