রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
অনিবন্ধিত বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এর বাস্তবায়ন নেই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। ফলে বিনা বাধায় নিবন্ধন ছাড়াই রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মালিকেরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বলছে, সঠিক তালিকা না পাওয়ার কারণে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, অবৈধ ক্লিনিকগুলোর তালিকা করার কাজ চলছে।
গত ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশের অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অনিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য অভিযান চালানো হলেও রাঙ্গুনিয়ায় এ বিষয়ে কোনো তৎপরতা নেই।
জানা গেছে, উপজেলায় ৬টি হাসপাতাল ও ছোট-বড় ৩৪টি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১টি হাসপাতাল ও ৪টি রোগ নির্ণয়কেন্দ্রের নিবন্ধন রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ছাড়াই চলছে।
উপজেলা সদরের এভারগ্রিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক সুজন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার আগে কেউ নিবন্ধন করেনি রাঙ্গুনিয়ায়।’ নিবন্ধনের কপি দেখতে চাইলে তিনি ২০১৬ সালের নিবন্ধনের ফটোকপি দেখান। মূল কপি দেখাতে পারেননি। তবে ২০২০ সালের অনলাইন আবেদনের একটি কপি দেখান। পরে তাঁর প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন থাকলেও নবায়ন নেই বলে জানান।
এখানে সেবা নিতে আসেন পৌরসভা এলাকার আবদুস সবুর। অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কেন এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তাঁরা যে প্রতিষ্ঠানের নাম প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন, সেখানেই পরীক্ষা করি।’
সরফভাটা ইউনিয়নের মীরেরখীল এলাকার বয়োবৃদ্ধ আবদুল মালেক জানান, উপজেলার অধিকাংশ ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তালিকা ঝোলানো থাকলেও মূলত চিকিৎসা দেন নার্স ও প্যারামেডিক। সব ক্লিনিকে রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতিও নেই। ওরা দু-এক দিনের সময় নিয়ে বাইরে থেকে রিপোর্ট এনে রোগীদের সরবরাহ করেন। ফলে অনেক সময় রিপোর্ট সঠিক পাওয়া যায় না।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনা কার্যকর করতে উপজেলায় কয়টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, তার তালিকা করা হচ্ছে। সবগুলোতে জনগণ শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কটি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধভাবে চলছে, সেগুলোর সঠিক তালিকা এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। উনি তালিকা করে দিলেই আমরা অভিযান চালিয়ে সেসব হাসপাতাল বন্ধ করে দেব।
অনিবন্ধিত বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এর বাস্তবায়ন নেই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। ফলে বিনা বাধায় নিবন্ধন ছাড়াই রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মালিকেরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বলছে, সঠিক তালিকা না পাওয়ার কারণে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, অবৈধ ক্লিনিকগুলোর তালিকা করার কাজ চলছে।
গত ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশের অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অনিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য অভিযান চালানো হলেও রাঙ্গুনিয়ায় এ বিষয়ে কোনো তৎপরতা নেই।
জানা গেছে, উপজেলায় ৬টি হাসপাতাল ও ছোট-বড় ৩৪টি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১টি হাসপাতাল ও ৪টি রোগ নির্ণয়কেন্দ্রের নিবন্ধন রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ছাড়াই চলছে।
উপজেলা সদরের এভারগ্রিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক সুজন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার আগে কেউ নিবন্ধন করেনি রাঙ্গুনিয়ায়।’ নিবন্ধনের কপি দেখতে চাইলে তিনি ২০১৬ সালের নিবন্ধনের ফটোকপি দেখান। মূল কপি দেখাতে পারেননি। তবে ২০২০ সালের অনলাইন আবেদনের একটি কপি দেখান। পরে তাঁর প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন থাকলেও নবায়ন নেই বলে জানান।
এখানে সেবা নিতে আসেন পৌরসভা এলাকার আবদুস সবুর। অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কেন এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তাঁরা যে প্রতিষ্ঠানের নাম প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন, সেখানেই পরীক্ষা করি।’
সরফভাটা ইউনিয়নের মীরেরখীল এলাকার বয়োবৃদ্ধ আবদুল মালেক জানান, উপজেলার অধিকাংশ ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তালিকা ঝোলানো থাকলেও মূলত চিকিৎসা দেন নার্স ও প্যারামেডিক। সব ক্লিনিকে রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতিও নেই। ওরা দু-এক দিনের সময় নিয়ে বাইরে থেকে রিপোর্ট এনে রোগীদের সরবরাহ করেন। ফলে অনেক সময় রিপোর্ট সঠিক পাওয়া যায় না।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনা কার্যকর করতে উপজেলায় কয়টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, তার তালিকা করা হচ্ছে। সবগুলোতে জনগণ শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কটি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধভাবে চলছে, সেগুলোর সঠিক তালিকা এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। উনি তালিকা করে দিলেই আমরা অভিযান চালিয়ে সেসব হাসপাতাল বন্ধ করে দেব।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে