আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বাঁধ দিয়ে ভেসাল বসিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ নিধন করা হচ্ছে। এভাবে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধন করা হলেও প্রশাসনের নেই নিয়মিত নজরদারি। ফলে এ মাছ নিধন করে তা বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায়। এমনকি সিরাজদিখান থানার সামনেও এ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নে সেতুর নিচে বাঁধ দিয়ে ভেসাল বসিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার শেখরনগর, রাজানগর চিত্রকুট, বয়রাগাদী, লতব্দী, মালখানগর, জৈনসার, মধ্যপাড়াসহ ১৪ ইউনিয়নের খাল-বিলে ভেসাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। পোনাগুলো বড় হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন মৎস্য শিকারিরা।
তবে শুধু ভেসাল নয়, এর পাশাপাশি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি, বাদাই জাল ও মাছ ধরার আরও নানা উপকরণ দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করছে। কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা মানছেন না তাঁরা। এ ছাড়া ফসলি জমিতে আসা পানিতেও চলছে মাছ শিকার।
স্থানীয় প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে কই, শিং, মাগুর, সরপুঁটি, টেংড়া, বাতাসি, খলশে, টাকি, মলা, ঢেলা, তপসিসহ নানা প্রকার মাছ পাওয়া যেত। প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন আইড়, শোল, বোয়াল, রুই, মৃগেল, কাতল, কালবাউস পাওয়া যায় না। এখন এসব মাছ দেখাই যায় না বলা যায়। উন্মুক্ত জলাশয়ে অবাধে মাছ শিকারের ফলে এগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।
উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা আল মামুন বলেন, ‘নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করে হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি করছেন জেলেরা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও প্রশাসন ঠিকমতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মাছ নিধন বন্ধ হয় না। যদি মা ও পোনা মাছ নিধন বন্ধ না করা যায়, তবে চাষের মাছ অনেক দাম দিয়ে কিনে খেতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ইছামতী নদীর মৎস্য শিকারি মমিনুল শেখ বলেন, ‘বর্ষার পানি কমতে থাকায় আমরা মাছ ধরছি। আমরা বর্ষা মৌসুমে শুধু মাছ ধরি, অন্য সময় ধরি না। এখন পানি চলে যাচ্ছে, সে কারণে আমরা এই মাছ ধরছি।’
উপজেলার শেখরনগরে ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক খাইরুদ্দিন বলেন, ‘নদী-খাল-বিলে জেলেরা জাল পেতে রাখায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে যাতায়াত দুরূহ হয়ে পড়েছে। জাল নষ্ট হলে প্রায়ই জরিমানা গুনতে হয় আমাদের। কখনো কখনো ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সিরাজদিখান উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যুধিষ্ঠির রঞ্জন পাল বলেন, ‘আমরা ৩০ তারিখের পরে জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ নিধনে এসব অবৈধ ভেসালসহ সব ধরনের জাল উচ্ছেদ করাব। এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তারপর উচ্ছেদ করা হবে।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বাঁধ দিয়ে ভেসাল বসিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ নিধন করা হচ্ছে। এভাবে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধন করা হলেও প্রশাসনের নেই নিয়মিত নজরদারি। ফলে এ মাছ নিধন করে তা বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায়। এমনকি সিরাজদিখান থানার সামনেও এ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নে সেতুর নিচে বাঁধ দিয়ে ভেসাল বসিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার শেখরনগর, রাজানগর চিত্রকুট, বয়রাগাদী, লতব্দী, মালখানগর, জৈনসার, মধ্যপাড়াসহ ১৪ ইউনিয়নের খাল-বিলে ভেসাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। পোনাগুলো বড় হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন মৎস্য শিকারিরা।
তবে শুধু ভেসাল নয়, এর পাশাপাশি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি, বাদাই জাল ও মাছ ধরার আরও নানা উপকরণ দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করছে। কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা মানছেন না তাঁরা। এ ছাড়া ফসলি জমিতে আসা পানিতেও চলছে মাছ শিকার।
স্থানীয় প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে কই, শিং, মাগুর, সরপুঁটি, টেংড়া, বাতাসি, খলশে, টাকি, মলা, ঢেলা, তপসিসহ নানা প্রকার মাছ পাওয়া যেত। প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন আইড়, শোল, বোয়াল, রুই, মৃগেল, কাতল, কালবাউস পাওয়া যায় না। এখন এসব মাছ দেখাই যায় না বলা যায়। উন্মুক্ত জলাশয়ে অবাধে মাছ শিকারের ফলে এগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।
উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা আল মামুন বলেন, ‘নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করে হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি করছেন জেলেরা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও প্রশাসন ঠিকমতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মাছ নিধন বন্ধ হয় না। যদি মা ও পোনা মাছ নিধন বন্ধ না করা যায়, তবে চাষের মাছ অনেক দাম দিয়ে কিনে খেতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ইছামতী নদীর মৎস্য শিকারি মমিনুল শেখ বলেন, ‘বর্ষার পানি কমতে থাকায় আমরা মাছ ধরছি। আমরা বর্ষা মৌসুমে শুধু মাছ ধরি, অন্য সময় ধরি না। এখন পানি চলে যাচ্ছে, সে কারণে আমরা এই মাছ ধরছি।’
উপজেলার শেখরনগরে ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক খাইরুদ্দিন বলেন, ‘নদী-খাল-বিলে জেলেরা জাল পেতে রাখায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে যাতায়াত দুরূহ হয়ে পড়েছে। জাল নষ্ট হলে প্রায়ই জরিমানা গুনতে হয় আমাদের। কখনো কখনো ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সিরাজদিখান উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যুধিষ্ঠির রঞ্জন পাল বলেন, ‘আমরা ৩০ তারিখের পরে জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ নিধনে এসব অবৈধ ভেসালসহ সব ধরনের জাল উচ্ছেদ করাব। এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তারপর উচ্ছেদ করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে