হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবর ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভা ছিল। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমান দিলেন জ্বালাময়ী বক্তৃতা। এরপর শোভাযাত্রা বের হলে পুলিশ বাধা দিল। মওলানা ভাসানী রাস্তাতেই নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে গেলেন। মার খেলেন শামসুল হক, কাজী গোলাম মাহবুব। রক্ত ঝরছিল শেখ মুজিবের পা দিয়ে।
ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল শোভাযাত্রা। শেখ মুজিব আশ্রয় নিলেন মোগলটুলীর অফিসে। সে সময় খবর পেলেন মওলানা সাহেব শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার হতে মানা করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পালিয়ে থাকার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি মওলানা সাহেবের কাছে শুনতে গেলেন, কেন তিনি এ রকম নির্দেশ দিলেন। মওলানা সাহেব বললেন, ‘তুমি লাহোরে যাও। সোহরাওয়ার্দী সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করো। তাঁকে সবকিছু খুলে বলো।’
শেখ মুজিব বহু পথ ঘুরে লাহোর গেলেন। একটা আচকান ছাড়া আর কোনো গরম কাপড় ছিল না তাঁর। লাহোরে তখন খুব শীত। শীতের কাপড় না থাকায় কষ্ট হচ্ছিল খুব। এ সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দেখা হলো। তিনি শেখ মুজিবকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘কীভাবে এসেছ? তোমার শরীর তো খুব খারাপ, কোথায় আছ?’
বঙ্গবন্ধুকে পূর্ব বাংলার অবস্থা খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করলেন সোহরাওয়ার্দী। তারপর শেখ মুজিবকে নিয়ে বের হলেন। একটা দোকানে গিয়ে বললেন, ‘কিছু কাপড় আমার বানাতে হবে, কারণ দুইটা মাত্র স্যুট আছে। এতে চলে না।’ এরপর একটা গরম সোয়েটার, কিছু মোজা ও মাফলার কিনলেন। শেখ মুজিবকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কোনো কাপড় লাগবে?’
শেখ মুজিব শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আর্থিক অবস্থা জানতেন। তাই বললেন, ‘না, আমার কিছু লাগবে না।’
সোহরাওয়ার্দী নিজ গাড়িতে শেখ মুজিবকে হোটেলে পৌঁছে দিলেন। সোয়েটার, মোজা আর মাফলার তুলে দিলেন শেখ মুজিবের হাতে। বললেন, ‘এগুলো তোমার জন্য কিনেছি।’
শীতে বঙ্গবন্ধুর কাহিল অবস্থা ঠিকই নজরে পড়েছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর।
সূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ১৩১-১৩৮
১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবর ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভা ছিল। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমান দিলেন জ্বালাময়ী বক্তৃতা। এরপর শোভাযাত্রা বের হলে পুলিশ বাধা দিল। মওলানা ভাসানী রাস্তাতেই নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে গেলেন। মার খেলেন শামসুল হক, কাজী গোলাম মাহবুব। রক্ত ঝরছিল শেখ মুজিবের পা দিয়ে।
ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল শোভাযাত্রা। শেখ মুজিব আশ্রয় নিলেন মোগলটুলীর অফিসে। সে সময় খবর পেলেন মওলানা সাহেব শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার হতে মানা করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পালিয়ে থাকার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি মওলানা সাহেবের কাছে শুনতে গেলেন, কেন তিনি এ রকম নির্দেশ দিলেন। মওলানা সাহেব বললেন, ‘তুমি লাহোরে যাও। সোহরাওয়ার্দী সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করো। তাঁকে সবকিছু খুলে বলো।’
শেখ মুজিব বহু পথ ঘুরে লাহোর গেলেন। একটা আচকান ছাড়া আর কোনো গরম কাপড় ছিল না তাঁর। লাহোরে তখন খুব শীত। শীতের কাপড় না থাকায় কষ্ট হচ্ছিল খুব। এ সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দেখা হলো। তিনি শেখ মুজিবকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘কীভাবে এসেছ? তোমার শরীর তো খুব খারাপ, কোথায় আছ?’
বঙ্গবন্ধুকে পূর্ব বাংলার অবস্থা খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করলেন সোহরাওয়ার্দী। তারপর শেখ মুজিবকে নিয়ে বের হলেন। একটা দোকানে গিয়ে বললেন, ‘কিছু কাপড় আমার বানাতে হবে, কারণ দুইটা মাত্র স্যুট আছে। এতে চলে না।’ এরপর একটা গরম সোয়েটার, কিছু মোজা ও মাফলার কিনলেন। শেখ মুজিবকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কোনো কাপড় লাগবে?’
শেখ মুজিব শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আর্থিক অবস্থা জানতেন। তাই বললেন, ‘না, আমার কিছু লাগবে না।’
সোহরাওয়ার্দী নিজ গাড়িতে শেখ মুজিবকে হোটেলে পৌঁছে দিলেন। সোয়েটার, মোজা আর মাফলার তুলে দিলেন শেখ মুজিবের হাতে। বললেন, ‘এগুলো তোমার জন্য কিনেছি।’
শীতে বঙ্গবন্ধুর কাহিল অবস্থা ঠিকই নজরে পড়েছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর।
সূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা ১৩১-১৩৮
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে