কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (কাবিখা) প্রকল্পের বিপুল চাল অবৈধভাবে সরকারি গুদামে মজুত করে রেখেছেন অধিক মুনাফালোভী একটি সিন্ডিকেট। এমনকি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি কাজ।
২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের জন্য কাবিখার আওতায় চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী দুই ধাপে ৩১৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫৯ মেট্রিক টন ও দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ মেট্রিক টন চাল রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুইটি ধাপের ডিও নির্দিষ্ট সময়ে ছাড় করেছেন।
গত মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত শুধু ৫০ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন চাল উত্তোলনের তথ্য খাদ্যগুদামে মিলেছে। গুদাম থেকে চাল উত্তোলনের মেয়াদ শেষ হলেও এখনো ২৬৮ মেট্রিক টন চাল কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেটের যোগসাজশে সরকারি গুদামে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে।
এদিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন ও এলাকার উন্নয়ন করার কথা। কিন্তু পটিয়ায় মুনাফালোভী সিন্ডিকেট চাল উত্তোলন না করে গুদামজাত করে রেখেছে। গত বুধবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুপুরে গাড়িতে করে কিছু চাল অন্য গুদামে সরিয়ে নেওয়া হয়।
খাদ্যগুদাম অফিস সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দ থেকে দুই ধাপে ৩১৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। অতিদরিদ্র, ভূমিহীন ও বেকার মানুষের খাদ্য নিশ্চিতকরণের জন্য কাবিখা প্রকল্পের অধীনে এসব বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়নি, এর মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপের বরাদ্দের ডিও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছাড় দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রকল্পের কাজ না করায় বর্তমান বর্ষা মৌসুমে কাজ বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফলে এবারের কাবিখা প্রকল্পে পটিয়ায় নয়ছয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জমিরুল ইসলাম সঠিকভাবে তদারকি না করার কারণে পটিয়ায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম চলছে। অথচ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (কাবিখার) অধীনে পুকুর, খাল খনন, পুনঃখনন, রাস্তা নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ; রাস্তা-বাঁধ নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ; জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য নালা, সেচনালা খনন, পুনঃখনন, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের মাঠে মাটি ভরাট ও পুনর্নির্মাণ কাজের অধীনে কাবিখা প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে থাকে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকল্পের ডিও ছাড় দেওয়ার পর অধিক মুনাফালোভী সিন্ডিকেট সরকারি গুদামে তা মজুত করে রেখেছে। হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের একটি প্রকল্পের সভাপতি এয়াকুব আলী মেম্বার জানান, তাঁর এলাকায় একটি প্রকল্পের সভাপতি তিনি। কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় এখনো চাল উত্তোলন করেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জমিরুল ইসলাম জানান, নির্দিষ্ট সময়ে ডিও ছাড় করলেও অধিক মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট করে খাদ্যগুদামে মজুত রাখা হয় চালগুলো। এমনকি চাল উত্তোলনের মেয়াদ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। যখন চারদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়ছে, তখন খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করছে।
কোলাগাঁও ইউনিয়নের একটি প্রকল্পের সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম তুষার জানান, এলাকার ১১টি গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের অধীনে পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী কাবিখা প্রকল্প থেকে ৩৪ হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দেন। কিন্তু চাল সিন্ডিকেট ন্যায্যমূল্য না দেওয়ার কারণে বর্তমানে ওই চাল তিনি উত্তোলন করে খোলাবাজারে দরিদ্র ও দুঃস্থদের মধ্যে ৪০ টাকা দামে বিক্রি শুরু করেছেন।
পটিয়া উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির আহম্মদ জানান, পিআইও অফিস থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ডিও ছাড় করলেও প্রকল্প কমিটির সভাপতিরা চাল উত্তোলন না করে খাদ্যগুদামে মজুত রেখেছিল। যাঁদের নামে প্রকল্প হয়েছে তাঁদের একাধিকবার চাল উত্তোলনের জন্য বলা হলেও তাঁরা অধিক মুনাফার আশায় চাল উত্তোলন করেননি। তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৯৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। আশা করছেন, যথাসময়ে চালগুলো নিয়ে যাবেন তাঁরা।
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (কাবিখা) প্রকল্পের বিপুল চাল অবৈধভাবে সরকারি গুদামে মজুত করে রেখেছেন অধিক মুনাফালোভী একটি সিন্ডিকেট। এমনকি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি কাজ।
২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের জন্য কাবিখার আওতায় চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী দুই ধাপে ৩১৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫৯ মেট্রিক টন ও দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ মেট্রিক টন চাল রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুইটি ধাপের ডিও নির্দিষ্ট সময়ে ছাড় করেছেন।
গত মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত শুধু ৫০ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন চাল উত্তোলনের তথ্য খাদ্যগুদামে মিলেছে। গুদাম থেকে চাল উত্তোলনের মেয়াদ শেষ হলেও এখনো ২৬৮ মেট্রিক টন চাল কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেটের যোগসাজশে সরকারি গুদামে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে।
এদিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন ও এলাকার উন্নয়ন করার কথা। কিন্তু পটিয়ায় মুনাফালোভী সিন্ডিকেট চাল উত্তোলন না করে গুদামজাত করে রেখেছে। গত বুধবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুপুরে গাড়িতে করে কিছু চাল অন্য গুদামে সরিয়ে নেওয়া হয়।
খাদ্যগুদাম অফিস সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দ থেকে দুই ধাপে ৩১৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। অতিদরিদ্র, ভূমিহীন ও বেকার মানুষের খাদ্য নিশ্চিতকরণের জন্য কাবিখা প্রকল্পের অধীনে এসব বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়নি, এর মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপের বরাদ্দের ডিও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছাড় দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রকল্পের কাজ না করায় বর্তমান বর্ষা মৌসুমে কাজ বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফলে এবারের কাবিখা প্রকল্পে পটিয়ায় নয়ছয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জমিরুল ইসলাম সঠিকভাবে তদারকি না করার কারণে পটিয়ায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম চলছে। অথচ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (কাবিখার) অধীনে পুকুর, খাল খনন, পুনঃখনন, রাস্তা নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ; রাস্তা-বাঁধ নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ; জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য নালা, সেচনালা খনন, পুনঃখনন, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের মাঠে মাটি ভরাট ও পুনর্নির্মাণ কাজের অধীনে কাবিখা প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে থাকে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকল্পের ডিও ছাড় দেওয়ার পর অধিক মুনাফালোভী সিন্ডিকেট সরকারি গুদামে তা মজুত করে রেখেছে। হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের একটি প্রকল্পের সভাপতি এয়াকুব আলী মেম্বার জানান, তাঁর এলাকায় একটি প্রকল্পের সভাপতি তিনি। কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় এখনো চাল উত্তোলন করেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জমিরুল ইসলাম জানান, নির্দিষ্ট সময়ে ডিও ছাড় করলেও অধিক মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট করে খাদ্যগুদামে মজুত রাখা হয় চালগুলো। এমনকি চাল উত্তোলনের মেয়াদ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। যখন চারদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়ছে, তখন খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করছে।
কোলাগাঁও ইউনিয়নের একটি প্রকল্পের সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম তুষার জানান, এলাকার ১১টি গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের অধীনে পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী কাবিখা প্রকল্প থেকে ৩৪ হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দেন। কিন্তু চাল সিন্ডিকেট ন্যায্যমূল্য না দেওয়ার কারণে বর্তমানে ওই চাল তিনি উত্তোলন করে খোলাবাজারে দরিদ্র ও দুঃস্থদের মধ্যে ৪০ টাকা দামে বিক্রি শুরু করেছেন।
পটিয়া উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির আহম্মদ জানান, পিআইও অফিস থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ডিও ছাড় করলেও প্রকল্প কমিটির সভাপতিরা চাল উত্তোলন না করে খাদ্যগুদামে মজুত রেখেছিল। যাঁদের নামে প্রকল্প হয়েছে তাঁদের একাধিকবার চাল উত্তোলনের জন্য বলা হলেও তাঁরা অধিক মুনাফার আশায় চাল উত্তোলন করেননি। তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৯৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। আশা করছেন, যথাসময়ে চালগুলো নিয়ে যাবেন তাঁরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে