সম্পাদকীয়
সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় শত শত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ আহত ও নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদেরও অনেকে নিহত ও আহত হন। সেই আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর। এরপর এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। পুলিশ বাহিনীর অনুপস্থিতিতে দেশে চরম অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়। ৫ আগস্ট রাত থেকে দেশব্যাপী চার শতাধিক থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ভয়ে পুলিশ সদস্যরা থানা ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে পুলিশের মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মনে ভয় ঢুকে যায়। এ কারণে তাঁরা কর্মস্থলে যোগ দেননি। এরপর তাঁরা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে। পদ-পদবি নিয়েও তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। আর বিভিন্ন আন্দোলনে শুধু জীবন দিতে হয়েছে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের। তাঁরা শুধু অভিযোগ তোলেননি, ১১ দফা দাবি দিয়ে কাজে যোগদান থেকে বিরতও থেকেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করতে এবং জনবান্ধব করতে তাঁদের পোশাক ও লোগো পরিবর্তন করা হবে।
এতে পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে সাধারণ মানুষের বিরূপ মনোভাব কেটে যাবে। খবরটি আমাদের আনন্দিত করলেও শঙ্কা থেকে যায় এই কারণে যে দীর্ঘ দিন ধরেই পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশের মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। চাঁদাবাজি, ঘুষসহ নানা অপকর্মে তারা জড়িত। এসবের বাইরে মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ আছে। এসব অপকর্ম পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা করে থাকেন। আর তাঁদের অপকর্মের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকেন সাধারণ কনস্টেবলরা।
পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কি পোশাক ও লোগো পরিবর্তন করলে যাবে? বিষয়টি বুঝি খুব সহজ ব্যাপার না। জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী সবারই প্রত্যাশা। কিন্তু পুরো পুলিশ বাহিনীর সংস্কার করা ছাড়া কি তাদের পরিবর্তন করা সম্ভব?
ব্রিটিশ আমল থেকে পুলিশের পোশাক ছিল খাকি রঙের। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের পোশাক পরিবর্তন করা হয়। ২০০৪ ও ২০১৬ সালে পুলিশের কয়েকটি ইউনিটের পোশাকের রং পরিবর্তন করা হয়েছিল। মহানগর ও জেলা পর্যায়ে দুই রঙের পোশাক দেওয়া হয়েছিল। আবার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও ব্যাটালিয়নভেদে পোশাকের ভিন্নতাও রয়েছে।
এর আগে সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছিল। তাতে বাস্তবতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের ভূমিকা আছে। তারা ছাড়া আমাদের জীবন স্বাভাবিক না। আমাদের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু পোশাক ও লোগো না, পুরো পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেবে।
সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় শত শত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ আহত ও নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদেরও অনেকে নিহত ও আহত হন। সেই আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর। এরপর এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। পুলিশ বাহিনীর অনুপস্থিতিতে দেশে চরম অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়। ৫ আগস্ট রাত থেকে দেশব্যাপী চার শতাধিক থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ভয়ে পুলিশ সদস্যরা থানা ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে পুলিশের মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মনে ভয় ঢুকে যায়। এ কারণে তাঁরা কর্মস্থলে যোগ দেননি। এরপর তাঁরা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে। পদ-পদবি নিয়েও তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। আর বিভিন্ন আন্দোলনে শুধু জীবন দিতে হয়েছে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের। তাঁরা শুধু অভিযোগ তোলেননি, ১১ দফা দাবি দিয়ে কাজে যোগদান থেকে বিরতও থেকেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করতে এবং জনবান্ধব করতে তাঁদের পোশাক ও লোগো পরিবর্তন করা হবে।
এতে পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে সাধারণ মানুষের বিরূপ মনোভাব কেটে যাবে। খবরটি আমাদের আনন্দিত করলেও শঙ্কা থেকে যায় এই কারণে যে দীর্ঘ দিন ধরেই পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশের মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। চাঁদাবাজি, ঘুষসহ নানা অপকর্মে তারা জড়িত। এসবের বাইরে মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ আছে। এসব অপকর্ম পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা করে থাকেন। আর তাঁদের অপকর্মের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকেন সাধারণ কনস্টেবলরা।
পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কি পোশাক ও লোগো পরিবর্তন করলে যাবে? বিষয়টি বুঝি খুব সহজ ব্যাপার না। জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী সবারই প্রত্যাশা। কিন্তু পুরো পুলিশ বাহিনীর সংস্কার করা ছাড়া কি তাদের পরিবর্তন করা সম্ভব?
ব্রিটিশ আমল থেকে পুলিশের পোশাক ছিল খাকি রঙের। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের পোশাক পরিবর্তন করা হয়। ২০০৪ ও ২০১৬ সালে পুলিশের কয়েকটি ইউনিটের পোশাকের রং পরিবর্তন করা হয়েছিল। মহানগর ও জেলা পর্যায়ে দুই রঙের পোশাক দেওয়া হয়েছিল। আবার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও ব্যাটালিয়নভেদে পোশাকের ভিন্নতাও রয়েছে।
এর আগে সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছিল। তাতে বাস্তবতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের ভূমিকা আছে। তারা ছাড়া আমাদের জীবন স্বাভাবিক না। আমাদের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু পোশাক ও লোগো না, পুরো পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে