ধানে পোকা, দিশেহারা কৃষক

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ০৬

নওগাঁর নিয়ামতপুরে আমন ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। এতে ধানের কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছেন তাঁরা।

কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। উপজেলায় চলতি বছরে ২৯ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদরের বালাহৈর গ্রামের শিবলাল নামের এক কৃষকের এক বিঘা জমির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়েছে।

শিবলাল বলেন, এমনিতেই এ বছর যথেষ্ট বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সেচ দিতে হয়েছে। তার ওপর কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধান নষ্ট হয়েছে। এক বিঘা জমির ধান না পাওয়ায় শঙ্কায় আছেন তিনি।

ভাবিচা আমইল গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কারেন্ট পোকার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনবার কারেন্ট পোকার জন্য রাসায়নিক বিষ ছিটিয়েছি। এ ছাড়া তরল বিষ চারবার দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা কোনো কিছু না বুঝেই প্রয়োগ করছি। এ বছরে বিষ আর সার প্রয়োগ করতেই প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন খরচ কমানোর জন্য নিজে নিজেই বিষ প্রয়োগ করছি।’

একই গ্রামের ফইমুদ্দিন বলেন, কারেন্ট পোকার আক্রমণে প্রায় প্রতিটি মাঠেই দেখা যাচ্ছে। এ বছর খরচের পাল্লাও বেশি।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গুজিশহর গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, তিনি এ বছর ২০ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও ধানের ফলন বেশি হওয়ার আশায় ছিলেন। কিন্তু ৫ বিঘা পরিমাণ জমিতে রাতের মধ্যে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করে। কীটনাশক ছিটিয়ে পোকার আক্রমণ থেকে কিছুটা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তাই ধানের ভালো ফলন পাওয়া নিয়ে তিনি চিন্তায় আছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমির আবদুল্লাহ মো. ওহেদুজ্জামান বলেন, গত কয়েক দিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় কারেন্ট পোকার আক্রমণ কিছুটা কম দেখা গেছে। তা ছাড়া কিছু সচেতন কৃষক ছাড়া কারেন্ট পোকার কীটনাশক ব্যবহারে অজ্ঞতা রয়েছে। বিভিন্ন সময় তাঁদের সচেতন করলেও সঠিকভাবে তাঁরা কীটনাশক ছিটায় না। তাই সেসব কৃষকের জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত