কে এম মিঠু, গোপালপুর
গোপালপুরে পৌর শহরের প্রধান সড়কের (ঢাকা-গোপালপুর) যানজটে নাকাল বাসিন্দারা। নানা অজুহাতে স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবহনমালিকেরা দেড় শতাধিক বাস রেখে সড়কটিতে গড়ে তুলেছেন অঘোষিত বাসস্ট্যান্ড। যানজটের সড়কটিতে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে এই বাস পার্কিং। সড়কের অর্ধেক বাসের দখলে থাকায় বাকি অর্ধেক দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। পাশাপাশি অনিয়মতান্ত্রিক ও অদক্ষ চালকের বেপরোয়া চলাচলের কারণে যানজটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এতে অকালে প্রাণ হারানোসহ পঙ্গুত্ববরণ করছেন যাত্রী ও পথচারীরা। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ ও দোকানের সামনেই গড়ে উঠেছে ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ড।
বাইপাস সড়ক, বাস টার্মিনাল ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় এই সড়কটির যানজট এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলে দাবি স্থানীয় লোকদের। এত যানজট সত্ত্বেও প্রশাসনের স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড ও বাইপাস সড়ক নির্মাণ এখনো প্রকল্পতেই সীমাবদ্ধ।
জানা যায়, বৈরাণ নদীকে ঘিরে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গোপালপুর পৌরসভা। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এ শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে একমাত্র সড়ক। বেশকটি আঞ্চলিক সড়কের মিলনস্থল এটি। সড়কের ওপরে বাস পার্কিংয়ের কারণে দুটি ট্রাক বা বাস পাশাপাশি চলতে পারে না। বাইপাস সড়ক না থাকায় আঞ্চলিক সড়কের সব যানবাহন শহরের এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। তাই যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে যুদ্ধ করে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।
স্কুলশিক্ষক শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘প্রতিদিন শহরে যানজটের কারণে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারে না। ছুটির পরে বাসায় পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে তাদের। অনেক শিক্ষার্থী রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্কুল গেটের সামনে অটোরিকশা স্ট্যান্ড থাকায় সারাক্ষণ কোলাহল লেগেই থাকে। ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।’
মানবাধিকারকর্মী আজমল খান বলেন, ‘যানজটের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ। মনে হয়, এটি বাস, ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের শহর। দুর্ঘটনা এখানে স্বাভাবিক চিত্র। ঝুঁকি নিয়েই আসা-যাওয়া করতে হয়। কয়েক বছরের ব্যবধানে এ সড়কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পথচারী নিহত হয়েছেন।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘পরিবহন মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন এদের টিকি স্পর্শ করতে পারে না। নাগরিক ভোগান্তি ঘটিয়ে সড়ক জবরদখল করে মাসের পর মাস পরিবহন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ড খালি রেখে শহরের ব্যস্ততম সড়ক জবরদখল ও নাগরিকদের জিম্মি করে গায়ের জোরেই চলছে পরিবহন ব্যবসা। গোপালপুর সরকারি কলেজের সামনে প্রতিনিয়ত সড়কের বামপাশের লনজুড়ে সারিবদ্ধভাবে বাস-ট্রাক রাখা হয়।’
গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সদরে কোনো বাস ও ট্রাকস্ট্যান্ড নেই। মালিকেরা শত শত বাস-ট্রাক শহরের প্রধান সড়কের নন্দনপুর মোড় থেকে সমেশপুর পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে রেখে দেন। অনেক সময় সড়কের পাশে রেখেই বাসে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। ব্যস্ত সড়কের বড় অংশজুড়ে বাস ও ট্রাক রাখায় শুধু যানজটই হয় না, ঘটে দুর্ঘটনা। শহরের বাইরে একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
বাসমালিক সমিতির সভাপতি রহমাতুল কিবরিয়া বেলাল বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে সরকারি বাস টার্মিনাল নেই। সরকার নতুন কোনো বাস টার্মিনাল নির্মাণ না করে দেওয়া পর্যন্ত অগত্যা সড়কেই বাস রাখতে হয়।’
এদিকে নানা জটিলতায় নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ এর আগে ফেরত গেছে। বর্তমানে বাসস্ট্যান্ডের পাশেই ৩৫ বিঘা জমি পতিত রয়েছে। কিন্তু নানামুখী লাভালাভ ও টানাপোড়েন থাকায় স্থায়ী বাস টার্মিনাল নির্মাণে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা বলেন, ‘পৌর শহরের নন্দনপুর মোড় থেকে বৈরাণ নদী ক্রস করে ভুয়ারপাড়া এবং মধুপুর ভট্ট থেকে সূতি পর্যন্ত দুটি বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই যানজট নিরসন করা হবে।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির জানান, ‘জনদুর্ভোগ কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। একটি বাইপাস রোড ও নতুন বাসস্ট্যান্ড করার চেষ্টা হচ্ছে। বাস টার্মিনাল নির্মাণে সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’
গোপালপুরে পৌর শহরের প্রধান সড়কের (ঢাকা-গোপালপুর) যানজটে নাকাল বাসিন্দারা। নানা অজুহাতে স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবহনমালিকেরা দেড় শতাধিক বাস রেখে সড়কটিতে গড়ে তুলেছেন অঘোষিত বাসস্ট্যান্ড। যানজটের সড়কটিতে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে এই বাস পার্কিং। সড়কের অর্ধেক বাসের দখলে থাকায় বাকি অর্ধেক দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। পাশাপাশি অনিয়মতান্ত্রিক ও অদক্ষ চালকের বেপরোয়া চলাচলের কারণে যানজটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এতে অকালে প্রাণ হারানোসহ পঙ্গুত্ববরণ করছেন যাত্রী ও পথচারীরা। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ ও দোকানের সামনেই গড়ে উঠেছে ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ড।
বাইপাস সড়ক, বাস টার্মিনাল ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় এই সড়কটির যানজট এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলে দাবি স্থানীয় লোকদের। এত যানজট সত্ত্বেও প্রশাসনের স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড ও বাইপাস সড়ক নির্মাণ এখনো প্রকল্পতেই সীমাবদ্ধ।
জানা যায়, বৈরাণ নদীকে ঘিরে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গোপালপুর পৌরসভা। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এ শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে একমাত্র সড়ক। বেশকটি আঞ্চলিক সড়কের মিলনস্থল এটি। সড়কের ওপরে বাস পার্কিংয়ের কারণে দুটি ট্রাক বা বাস পাশাপাশি চলতে পারে না। বাইপাস সড়ক না থাকায় আঞ্চলিক সড়কের সব যানবাহন শহরের এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। তাই যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে যুদ্ধ করে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।
স্কুলশিক্ষক শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘প্রতিদিন শহরে যানজটের কারণে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারে না। ছুটির পরে বাসায় পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে তাদের। অনেক শিক্ষার্থী রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্কুল গেটের সামনে অটোরিকশা স্ট্যান্ড থাকায় সারাক্ষণ কোলাহল লেগেই থাকে। ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।’
মানবাধিকারকর্মী আজমল খান বলেন, ‘যানজটের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ। মনে হয়, এটি বাস, ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের শহর। দুর্ঘটনা এখানে স্বাভাবিক চিত্র। ঝুঁকি নিয়েই আসা-যাওয়া করতে হয়। কয়েক বছরের ব্যবধানে এ সড়কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পথচারী নিহত হয়েছেন।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘পরিবহন মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন এদের টিকি স্পর্শ করতে পারে না। নাগরিক ভোগান্তি ঘটিয়ে সড়ক জবরদখল করে মাসের পর মাস পরিবহন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ড খালি রেখে শহরের ব্যস্ততম সড়ক জবরদখল ও নাগরিকদের জিম্মি করে গায়ের জোরেই চলছে পরিবহন ব্যবসা। গোপালপুর সরকারি কলেজের সামনে প্রতিনিয়ত সড়কের বামপাশের লনজুড়ে সারিবদ্ধভাবে বাস-ট্রাক রাখা হয়।’
গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সদরে কোনো বাস ও ট্রাকস্ট্যান্ড নেই। মালিকেরা শত শত বাস-ট্রাক শহরের প্রধান সড়কের নন্দনপুর মোড় থেকে সমেশপুর পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে রেখে দেন। অনেক সময় সড়কের পাশে রেখেই বাসে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। ব্যস্ত সড়কের বড় অংশজুড়ে বাস ও ট্রাক রাখায় শুধু যানজটই হয় না, ঘটে দুর্ঘটনা। শহরের বাইরে একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
বাসমালিক সমিতির সভাপতি রহমাতুল কিবরিয়া বেলাল বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে সরকারি বাস টার্মিনাল নেই। সরকার নতুন কোনো বাস টার্মিনাল নির্মাণ না করে দেওয়া পর্যন্ত অগত্যা সড়কেই বাস রাখতে হয়।’
এদিকে নানা জটিলতায় নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ এর আগে ফেরত গেছে। বর্তমানে বাসস্ট্যান্ডের পাশেই ৩৫ বিঘা জমি পতিত রয়েছে। কিন্তু নানামুখী লাভালাভ ও টানাপোড়েন থাকায় স্থায়ী বাস টার্মিনাল নির্মাণে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা বলেন, ‘পৌর শহরের নন্দনপুর মোড় থেকে বৈরাণ নদী ক্রস করে ভুয়ারপাড়া এবং মধুপুর ভট্ট থেকে সূতি পর্যন্ত দুটি বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই যানজট নিরসন করা হবে।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির জানান, ‘জনদুর্ভোগ কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। একটি বাইপাস রোড ও নতুন বাসস্ট্যান্ড করার চেষ্টা হচ্ছে। বাস টার্মিনাল নির্মাণে সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২০ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে