লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের ৫৮টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে ২৭টির নিজস্ব ভবন নেই। ভাড়া নিয়ে ছোট একটি কক্ষে কোনো রকম চলছে অনেক ইউপির কার্যক্রম। এতে দূর-দুরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পাচ্ছেন না সঠিক সেবাও। এদিকে বারবার আবেদন করে লাভ হয়নি বলে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলায় ৫৮টি ইউপি রয়েছে। সদর উপজেলার ২১টি ইউপির মধ্যে ৯ টিতে ও অন্য ৪টি উপজেলায় ১৮ টিসহ ২৭টি ইউপিতে নিজস্ব ভবন নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউপি কার্যালয়টি ভাড়া নিয়ে ছোট্ট কক্ষে গাদাগাদি করে চলছে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম। চেয়ারম্যান, সচিব ও সদস্যদের পৃথক রুমে বসে অফিস করার কথা থাকলেও এই কক্ষে সবাই বসে অফিশিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অফিসের দরজা-জানালাও ভাঙা।
একই অবস্থায় উপজেলার চররমনী মোহন ইউপির। সেখানে চেয়ারম্যান নিজে বাসার একটি রুমে চালাচ্ছেন পরিষদের সকল কার্যক্রম। একই অবস্থায় চররুহিতা, কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ, চরলরেন্স, বড়খেরী ও শাকচরসহ ২৭টি ইউপি কার্যালয়ের। বেশির ভাগ স্থানে ভাড়া নিয়ে ও ছোট একটি কক্ষে চলছে পরিষদের কার্যক্রম। অনেক ইউপিতে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে অফিসের আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়।
চরলরেন্স ইউনিয়নের বাসিন্দা চিকিৎসক মামুনুর রশিদ, জসিম উদ্দিন; দালাল বাজার এলাকার মাসুদ আলম ও নুরুজ্জামানসহ অনেকেই জানান, অনেক সময় অফিস না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বসে ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সঠিক সময়ে জনপ্রতিনিধিদের পাওয়া যাচ্ছে না। এতে নানা হয়রানির শিকার হতে হয় নাগরিকদের। জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ভোটার আইডি কার্ড, মৃত্যু সনদ ও ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে আসা সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। এ ছাড়া বসার স্থান ও টয়লেট না থাকায় আরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
চরলরেন্স ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন মাস্টার বলেন, ভাড়া বাসা অথবা নিজ বাসায় ইউপি কার্যালয়ের সব কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বারবার আবেদন করে লাভ হয়নি। ভবন না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।
দালাল বাজার ইউপির চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়িতে বসে অফিসের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা যাচ্ছে না। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়। এতে অফিসের কোনো নিরাপত্তা নেই। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বাসায় নিয়ে রাখা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, একটি ভবন করতে যে পরি মান জমি প্রয়োজন। সে পরি মান জমি পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও ইউপি কমপ্লেক্সের জন্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে সবগুলো নির্মাণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুরের ৫৮টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে ২৭টির নিজস্ব ভবন নেই। ভাড়া নিয়ে ছোট একটি কক্ষে কোনো রকম চলছে অনেক ইউপির কার্যক্রম। এতে দূর-দুরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পাচ্ছেন না সঠিক সেবাও। এদিকে বারবার আবেদন করে লাভ হয়নি বলে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলায় ৫৮টি ইউপি রয়েছে। সদর উপজেলার ২১টি ইউপির মধ্যে ৯ টিতে ও অন্য ৪টি উপজেলায় ১৮ টিসহ ২৭টি ইউপিতে নিজস্ব ভবন নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউপি কার্যালয়টি ভাড়া নিয়ে ছোট্ট কক্ষে গাদাগাদি করে চলছে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম। চেয়ারম্যান, সচিব ও সদস্যদের পৃথক রুমে বসে অফিস করার কথা থাকলেও এই কক্ষে সবাই বসে অফিশিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অফিসের দরজা-জানালাও ভাঙা।
একই অবস্থায় উপজেলার চররমনী মোহন ইউপির। সেখানে চেয়ারম্যান নিজে বাসার একটি রুমে চালাচ্ছেন পরিষদের সকল কার্যক্রম। একই অবস্থায় চররুহিতা, কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ, চরলরেন্স, বড়খেরী ও শাকচরসহ ২৭টি ইউপি কার্যালয়ের। বেশির ভাগ স্থানে ভাড়া নিয়ে ও ছোট একটি কক্ষে চলছে পরিষদের কার্যক্রম। অনেক ইউপিতে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে অফিসের আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়।
চরলরেন্স ইউনিয়নের বাসিন্দা চিকিৎসক মামুনুর রশিদ, জসিম উদ্দিন; দালাল বাজার এলাকার মাসুদ আলম ও নুরুজ্জামানসহ অনেকেই জানান, অনেক সময় অফিস না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বসে ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সঠিক সময়ে জনপ্রতিনিধিদের পাওয়া যাচ্ছে না। এতে নানা হয়রানির শিকার হতে হয় নাগরিকদের। জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ভোটার আইডি কার্ড, মৃত্যু সনদ ও ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে আসা সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। এ ছাড়া বসার স্থান ও টয়লেট না থাকায় আরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
চরলরেন্স ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন মাস্টার বলেন, ভাড়া বাসা অথবা নিজ বাসায় ইউপি কার্যালয়ের সব কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বারবার আবেদন করে লাভ হয়নি। ভবন না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।
দালাল বাজার ইউপির চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়িতে বসে অফিসের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা যাচ্ছে না। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়। এতে অফিসের কোনো নিরাপত্তা নেই। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বাসায় নিয়ে রাখা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, একটি ভবন করতে যে পরি মান জমি প্রয়োজন। সে পরি মান জমি পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও ইউপি কমপ্লেক্সের জন্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে সবগুলো নির্মাণ করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে