রাজীব কুমার সাহা
বাংলা ভাষায় একটি অতিপরিচিত শব্দবন্ধ হলো ‘নাকানিচুবানি’। দৈনিক পত্রিকা খুললেই দেখতে পাই এমন শিরোনাম, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাকানিচুবানি খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ’। যাপিত জীবনের নিত্যযাত্রায় কমবেশি আমরা সবাই নাকানিচুবানি খেয়েছি, নাজেহাল হয়েছি, কুপোকাত হয়েছি, নাস্তানাবুদ হয়েছি। আবার কখনো কখনো লেজে গোবরে অবস্থায়ও পতিত হয়েছি; এখনো হচ্ছি।
কিন্তু খেয়াল করেছেন কি, কেবল নাকানিচুবানি ‘খাওয়া’ আর বাকিগুলো কিন্তু ‘হওয়া’! এখন প্রশ্ন হলো, নাকানিচুবানি আসলে কী এবং কীভাবে খায়? তবে চলুন, আজ জানব নাকানিচুবানির নাড়িনক্ষত্র।
‘নাকানি’ এবং ‘চুবানি’ শব্দসহযোগে গঠিত শব্দবন্ধ হলো নাকানিচুবানি। এটি বাংলাশব্দ এবং বিশেষ্য পদ। আক্ষরিকভাবে শব্দটির অর্থ হলো জলে ডোবার ফলে নাকে-মুখে জল প্রবেশ। সাধারণত কোনো নৌযান দুর্ঘটনায় বা পানিঘটিত অন্য কোনো কারণে এ দৃশ্যকল্প প্রতিভাত হয়। ‘নাকানিচুবানি’র আলংকারিক অর্থ হলো, অত্যন্ত নাজেহাল অবস্থা। এ ছাড়া অসহায়ভাবে অপমানিত বা লাঞ্ছিত হওয়া বা করাকেও নাকানিচুবানিই বলে।
নাকানি ও চুবানি শব্দ দুটোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে আমরা চুবানি শব্দটির সঙ্গে অধিক পরিচিত। চুবানি বা চুবনি শব্দটি আমরা স্বতন্ত্রভাবেও ব্যবহার করে থাকি। যদিও নাকানিচুবানি শব্দবন্ধটি পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে একসঙ্গেই উচ্চারিত হয়। নাকানি মানে কী?
সাধারণভাবে বলা যায়, নাক পর্যন্ত পানি, অর্থাৎ নাকপানি। এই নাকপানি শব্দটি লোকমুখে ক্রমাগত উচ্চারণের মধ্য দিয়ে নাকানি শব্দে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে চুবানি শব্দের অর্থ হলো, ক্রমান্বয়ে পানিতে ডুবানো এবং ভাসানো। সুতরাং নাকানিচুবানি শব্দের আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় নাক বরাবর পানিতে একবার ডুবানো আবার ভাসানো। বিষয়টি চিত্রকল্পে আনলে দেখতে পাই, কাউকে এমন করে নাক বরাবর পানিতে একবার ডুবালে আবার ভাসালে ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। আবার ক্রমাগত কাউকে এমন করে নাকানিচুবানি দিতে থাকলে ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতাও তৈরি হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি খুবই কষ্টকর এবং যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা।
যাপিত জীবনেও কেউ যদি এমন কষ্টকর অবস্থায় পতিত হয়, সে ক্ষেত্রে নাকানিচুবানি খাওয়ার সঙ্গে এর তুলনা করা হয়। মূলত আক্ষরিকভাবে নাকানিচুবানি খাওয়ার এ চিত্রকল্পটির সাদৃশ্য তৈরি হয়েছে যাপিত জীবনে, অর্থাৎ আলংকারিকভাবে নাকানিচুবানি খাওয়া বা নাজেহাল অবস্থায় দিনাতিপাত করার দৃশ্যকল্প।
নাকানিচুবানি শব্দটি একই সঙ্গে কাউকে সরাসরি হয়রানি করা অর্থেও প্রযুক্ত হয়ে থাকে। যেমন ‘এ বিষয়টি নিয়ে আমাকে নাকানিচুবানি খাওয়ানো হচ্ছে।’ সুতরাং বর্ষার ভরা যৌবনে কাউকে নাকানিচুবানি না খাইয়ে পরস্পর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া অধিকতর স্বাস্থ্যসম্মত!
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
বাংলা ভাষায় একটি অতিপরিচিত শব্দবন্ধ হলো ‘নাকানিচুবানি’। দৈনিক পত্রিকা খুললেই দেখতে পাই এমন শিরোনাম, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাকানিচুবানি খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ’। যাপিত জীবনের নিত্যযাত্রায় কমবেশি আমরা সবাই নাকানিচুবানি খেয়েছি, নাজেহাল হয়েছি, কুপোকাত হয়েছি, নাস্তানাবুদ হয়েছি। আবার কখনো কখনো লেজে গোবরে অবস্থায়ও পতিত হয়েছি; এখনো হচ্ছি।
কিন্তু খেয়াল করেছেন কি, কেবল নাকানিচুবানি ‘খাওয়া’ আর বাকিগুলো কিন্তু ‘হওয়া’! এখন প্রশ্ন হলো, নাকানিচুবানি আসলে কী এবং কীভাবে খায়? তবে চলুন, আজ জানব নাকানিচুবানির নাড়িনক্ষত্র।
‘নাকানি’ এবং ‘চুবানি’ শব্দসহযোগে গঠিত শব্দবন্ধ হলো নাকানিচুবানি। এটি বাংলাশব্দ এবং বিশেষ্য পদ। আক্ষরিকভাবে শব্দটির অর্থ হলো জলে ডোবার ফলে নাকে-মুখে জল প্রবেশ। সাধারণত কোনো নৌযান দুর্ঘটনায় বা পানিঘটিত অন্য কোনো কারণে এ দৃশ্যকল্প প্রতিভাত হয়। ‘নাকানিচুবানি’র আলংকারিক অর্থ হলো, অত্যন্ত নাজেহাল অবস্থা। এ ছাড়া অসহায়ভাবে অপমানিত বা লাঞ্ছিত হওয়া বা করাকেও নাকানিচুবানিই বলে।
নাকানি ও চুবানি শব্দ দুটোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে আমরা চুবানি শব্দটির সঙ্গে অধিক পরিচিত। চুবানি বা চুবনি শব্দটি আমরা স্বতন্ত্রভাবেও ব্যবহার করে থাকি। যদিও নাকানিচুবানি শব্দবন্ধটি পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে একসঙ্গেই উচ্চারিত হয়। নাকানি মানে কী?
সাধারণভাবে বলা যায়, নাক পর্যন্ত পানি, অর্থাৎ নাকপানি। এই নাকপানি শব্দটি লোকমুখে ক্রমাগত উচ্চারণের মধ্য দিয়ে নাকানি শব্দে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে চুবানি শব্দের অর্থ হলো, ক্রমান্বয়ে পানিতে ডুবানো এবং ভাসানো। সুতরাং নাকানিচুবানি শব্দের আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় নাক বরাবর পানিতে একবার ডুবানো আবার ভাসানো। বিষয়টি চিত্রকল্পে আনলে দেখতে পাই, কাউকে এমন করে নাক বরাবর পানিতে একবার ডুবালে আবার ভাসালে ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। আবার ক্রমাগত কাউকে এমন করে নাকানিচুবানি দিতে থাকলে ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতাও তৈরি হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি খুবই কষ্টকর এবং যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা।
যাপিত জীবনেও কেউ যদি এমন কষ্টকর অবস্থায় পতিত হয়, সে ক্ষেত্রে নাকানিচুবানি খাওয়ার সঙ্গে এর তুলনা করা হয়। মূলত আক্ষরিকভাবে নাকানিচুবানি খাওয়ার এ চিত্রকল্পটির সাদৃশ্য তৈরি হয়েছে যাপিত জীবনে, অর্থাৎ আলংকারিকভাবে নাকানিচুবানি খাওয়া বা নাজেহাল অবস্থায় দিনাতিপাত করার দৃশ্যকল্প।
নাকানিচুবানি শব্দটি একই সঙ্গে কাউকে সরাসরি হয়রানি করা অর্থেও প্রযুক্ত হয়ে থাকে। যেমন ‘এ বিষয়টি নিয়ে আমাকে নাকানিচুবানি খাওয়ানো হচ্ছে।’ সুতরাং বর্ষার ভরা যৌবনে কাউকে নাকানিচুবানি না খাইয়ে পরস্পর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া অধিকতর স্বাস্থ্যসম্মত!
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে