ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিনই বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের দৌরাত্ম্যে নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না কেউ। চিকিৎসকের কাছ থেকে রোগীরা বের হলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাহেঁচড়া করা হচ্ছে। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
ফাহিমা আক্তার নামের এক রোগী বলেন, ‘আমি বেশি অসুস্থ হওয়ার পর বাধ্য হয়ে দোতলায় মেডিকেল অফিসারের কক্ষে যাই। সেখানে দেখি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ওই চিকিৎসকের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে রয়েছেন। চিকিৎসকেরা কোন কোম্পানির ওষুধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখবেন, তা নিয়েও শুরু হয় তাঁদের মধ্যে তর্কবিতর্ক। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বাধ্য হয়ে কক্ষে প্রবেশ করে চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখার জন্য প্রতি মাসেই কলম, পেড, চাবির রিং থেকে শুরু করে টিভি, ফ্রিজসহ মোটা অঙ্কের উপহার দিয়ে দিতে হয় চিকিৎসকদের। তার বিনিময় প্রতিটি প্রেসক্রিপশনেই আমাদের ওষুধ লিখতে হবে। এ ছাড়া এসব ব্যবস্থাপত্রের একটি কপি মেইল করে হেড অফিসেও পাঠাতে হয় আমাদের।’
সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের সামনে ও ভেতরের বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই আছে। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে তাঁরা পরিদর্শন করে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। দেখা গেছে, যখন রোগী টিকিট কেটে চিকিৎসাসেবার জন্য চিকিৎসকের কক্ষে যান, তখন একাধিক প্রতিনিধি ওই কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ভিড় জমিয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ রোগীকে অপেক্ষায় রেখে তাঁদের ভিজিট সেরে নিচ্ছেন। এর বাইরে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে এসব প্রতিনিধির আনাগোনার নানা দৃশ্য।
সরকারি এ হাসপাতালে যখন বিভিন্ন রোগীরা চিকিৎসক দেখিয়ে টিকিট নিয়ে ফিরে যান তখন দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই রোগীদের পথে দাঁড় করিয়ে তাঁদের হাতের টিকিট টেনে নিয়ে ওই টিকিটের ছবি তুলে রাখেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। প্রায়ই দেখা গেছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁদের কারণে রোগীরা সে ভিড়ে ঠেলে কক্ষে প্রবেশ করতে হয়। এভাবেই প্রতিদিন সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলছে। আর প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফ আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সপ্তাহের প্রতি রবি ও বুধবার দুপুরের পর ভিজিট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সময় লঙ্ঘন করে বিভিন্ন সময় রোগীদের হয়রানি করছে। আমি ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিনই বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের দৌরাত্ম্যে নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না কেউ। চিকিৎসকের কাছ থেকে রোগীরা বের হলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাহেঁচড়া করা হচ্ছে। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
ফাহিমা আক্তার নামের এক রোগী বলেন, ‘আমি বেশি অসুস্থ হওয়ার পর বাধ্য হয়ে দোতলায় মেডিকেল অফিসারের কক্ষে যাই। সেখানে দেখি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ওই চিকিৎসকের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে রয়েছেন। চিকিৎসকেরা কোন কোম্পানির ওষুধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখবেন, তা নিয়েও শুরু হয় তাঁদের মধ্যে তর্কবিতর্ক। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বাধ্য হয়ে কক্ষে প্রবেশ করে চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখার জন্য প্রতি মাসেই কলম, পেড, চাবির রিং থেকে শুরু করে টিভি, ফ্রিজসহ মোটা অঙ্কের উপহার দিয়ে দিতে হয় চিকিৎসকদের। তার বিনিময় প্রতিটি প্রেসক্রিপশনেই আমাদের ওষুধ লিখতে হবে। এ ছাড়া এসব ব্যবস্থাপত্রের একটি কপি মেইল করে হেড অফিসেও পাঠাতে হয় আমাদের।’
সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের সামনে ও ভেতরের বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই আছে। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে তাঁরা পরিদর্শন করে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। দেখা গেছে, যখন রোগী টিকিট কেটে চিকিৎসাসেবার জন্য চিকিৎসকের কক্ষে যান, তখন একাধিক প্রতিনিধি ওই কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ভিড় জমিয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ রোগীকে অপেক্ষায় রেখে তাঁদের ভিজিট সেরে নিচ্ছেন। এর বাইরে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে এসব প্রতিনিধির আনাগোনার নানা দৃশ্য।
সরকারি এ হাসপাতালে যখন বিভিন্ন রোগীরা চিকিৎসক দেখিয়ে টিকিট নিয়ে ফিরে যান তখন দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই রোগীদের পথে দাঁড় করিয়ে তাঁদের হাতের টিকিট টেনে নিয়ে ওই টিকিটের ছবি তুলে রাখেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। প্রায়ই দেখা গেছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁদের কারণে রোগীরা সে ভিড়ে ঠেলে কক্ষে প্রবেশ করতে হয়। এভাবেই প্রতিদিন সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলছে। আর প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফ আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সপ্তাহের প্রতি রবি ও বুধবার দুপুরের পর ভিজিট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সময় লঙ্ঘন করে বিভিন্ন সময় রোগীদের হয়রানি করছে। আমি ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে