হারুনুর রশিদ, রায়পুরা
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের একাংশ, লক্ষ্মীপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠ, কবরস্থান, বাজার ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীনের পথে রয়েছে সাতটি গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, একটি প্রভাবশালী মহল নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছে। এ কারণে ভাঙনের শিকার হচ্ছে নদীপাড়ের গ্রাম। এ নিয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও সভাসমাবেশ করেছেন। বালু তোলা বন্ধের দাবিতে শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। ওই রিটে স্থানীয় প্রশাসনকে বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছে, বালু তোলা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
সম্প্রতি মির্জারচরে গেলে দেখা যায়, স্থানীয় মেঘনা নদীর বিভিন্ন অংশে ড্রেজার বসানো আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কারণে নদীভাঙন চলছে। ফলে বিলীনের ঝুঁকিতে রয়েছে শান্তিপূর্ণ, লক্ষ্মীপুর, চাতুয়াপাড়া, বালুচরসহ সাতটি গ্রাম। এতে বসতভিটা, ফসলি জমি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন এসব গ্রামের মানুষ।
উচ্চ আদালতে মামলার বাদী ও শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘এই এলাকায় নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে গ্রামের পর গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এভাবে বালু তোলার বিষয়ে নজর দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই বিষয়টির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।’
ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘এই ইউনিয়নের গ্রামগুলো রক্ষার দাবি জানাচ্ছি। এর জন্য প্রথমে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এরপর নদীতে বালু তোলা বন্ধ করতে হবে।’
৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহরহ আলী বাহাদুর বলেন, ‘দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। আন্দোলন করতে গিয়ে বালুখেকোদের হাতে বেশ কয়েকবার মামলা-হামলারও শিকার হয়েছি। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে হাত করে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র।’
মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘উপজেলায় উন্নয়নের দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এই ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীকে রক্ষার জন্য সরকারের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু এলাকাবাসী কোনো সুফল পায়নি।’
নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালুমহাল হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। আর ইজারা নির্দিষ্ট স্থানে দেওয়া হয়। এর বাইরে কোথাও বালু তোলার সুযোগ নেই। মেঘনা নদীতেও প্রকল্পের বাইরে বালু তোলার অনুমতি দেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। যদি কেউ বালু তুলে থাকে, তবে তা অবৈধভাবে করছে। নির্দেশনা না মেনে কেউ বালু তুললে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের একাংশ, লক্ষ্মীপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠ, কবরস্থান, বাজার ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বিলীনের পথে রয়েছে সাতটি গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, একটি প্রভাবশালী মহল নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছে। এ কারণে ভাঙনের শিকার হচ্ছে নদীপাড়ের গ্রাম। এ নিয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও সভাসমাবেশ করেছেন। বালু তোলা বন্ধের দাবিতে শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। ওই রিটে স্থানীয় প্রশাসনকে বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছে, বালু তোলা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
সম্প্রতি মির্জারচরে গেলে দেখা যায়, স্থানীয় মেঘনা নদীর বিভিন্ন অংশে ড্রেজার বসানো আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কারণে নদীভাঙন চলছে। ফলে বিলীনের ঝুঁকিতে রয়েছে শান্তিপূর্ণ, লক্ষ্মীপুর, চাতুয়াপাড়া, বালুচরসহ সাতটি গ্রাম। এতে বসতভিটা, ফসলি জমি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন এসব গ্রামের মানুষ।
উচ্চ আদালতে মামলার বাদী ও শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘এই এলাকায় নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে গ্রামের পর গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এভাবে বালু তোলার বিষয়ে নজর দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই বিষয়টির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।’
ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘এই ইউনিয়নের গ্রামগুলো রক্ষার দাবি জানাচ্ছি। এর জন্য প্রথমে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এরপর নদীতে বালু তোলা বন্ধ করতে হবে।’
৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহরহ আলী বাহাদুর বলেন, ‘দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। আন্দোলন করতে গিয়ে বালুখেকোদের হাতে বেশ কয়েকবার মামলা-হামলারও শিকার হয়েছি। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে হাত করে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র।’
মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘উপজেলায় উন্নয়নের দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এই ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীকে রক্ষার জন্য সরকারের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু এলাকাবাসী কোনো সুফল পায়নি।’
নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালুমহাল হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। আর ইজারা নির্দিষ্ট স্থানে দেওয়া হয়। এর বাইরে কোথাও বালু তোলার সুযোগ নেই। মেঘনা নদীতেও প্রকল্পের বাইরে বালু তোলার অনুমতি দেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। যদি কেউ বালু তুলে থাকে, তবে তা অবৈধভাবে করছে। নির্দেশনা না মেনে কেউ বালু তুললে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে