অরূপ রায়, সাভার
ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ধরে দুই কিলোমিটার গেলেই রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টার। সেখানে মহাসড়ক ও মডেল মসজিদের পাশে সাভার পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিন রিকশাভ্যানে করে এনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ওই ভাগাড়ে।
শুধু মডেল মসজিদের পাশেই নয়, শহরজুড়েই রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। আবর্জনা ফেলা হচ্ছে শহরের পাশ দিয়ে প্রবহমান নদী ও খালে। নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে এসব খাল ও নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে নদী-খালের পানি।
ঢাকা থেকে সাভারের দিকে যেতে গাবতলী পার হলেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে কিছুদূর পরপরই চোখে পড়বে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। ময়লা-আবর্জনা দেখা যাবে পৌর এলাকার ভেতরে কর্ণপাড়া খালে। নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে খালটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। আশপাশের এলাকার বিভিন্ন কারখানার তরল বর্জ্য ওই খাল দিয়ে বংশী নদীতে গিয়ে পড়ছে। খালের পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কর্ণপাড়া সেতুর ঢালেই ঝুট ব্যবসায়ীদের গুদাম। বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে সংগ্রহ করে আনা ঝুট কাপড় ও অব্যবহৃত সামগ্রী ওই সব গুদামে রেখে বাছাই করা হয়। বিক্রিযোগ্য সামগ্রী রেখে বাকি সামগ্রী বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয় খালে। এভাবে খালটির অনেকখানি ভরাট হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ী শামীম রহমানের গুদামের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘যে যার মতো করে খালটি তাঁদের কাজে লাগাচ্ছেন। কেউ দখল ও দূষণ করছেন, আবার কেউ ভরাট করছেন। এর পরেও কোনো বাধা আসছে না। তাই আমরাও জায়গার অভাবে বিক্রির অযোগ্য সামগ্রী খালে ফেলছি।’
খালপাড়ের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘এক যুগের বেশি সময় ধরে দখল আর দূষণের কারণে কর্ণপাড়া খালটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে। খালে ফেলা কারখানার তরল বর্জ্য আর ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে এই এলাকায় বসবাস করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
গতকাল শনিবার সকালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল মডেল মসজিদের পাশে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রিকশাভ্যানে করে এনে সেখানে ময়লা ফেলছিলেন। এ সময় অনেক পথচারীকে নাকে রুমাল অথবা হাত চেপে ধরে চলাচল করতে দেখা যায়।
রাজালাখ হর্টিকালচারের একজন কর্মচারী বলেন, পৌরসভা থেকে যেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, সেখানে একসময় বড় পুকুর ছিল। সরকারি কয়েক বিঘা আয়তনের ওই পুকুরটি ময়লা ফেলে ভরাট করে একাংশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট অংশ ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করছে পৌরসভা।
হর্টিকালচার সেন্টারের পাশের এলাকার বাসিন্দা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মডেল মসজিদের পাশের ময়লার ভাগাড় থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধের জন্য তাঁর বাসায় ভাড়াটে থাকতে চান না। মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে টেকা যায় না দুর্গন্ধে। পরিবেশ ও নির্মল বায়ুর জন্য অনতিবিলম্বে মসজিদের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
ময়লা ফেলা হচ্ছে পৌরসভার পাশ দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীতে। নিয়মিত ময়লা ফেলার কারণে বংশী নদীর নামাবাজার ও পাশের বক্তারপুর এলাকা ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল পৌর এলাকার বক্তারপুর, রশীদ মেম্বারের মোড়, ব্যাংক কলোনি, কাজিমুকমাপাড়া, ঘোষপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও গলিতে ময়লার স্তূপ চোখে পড়ে। নাগরিকেরা পলিথিনে ভরে ময়লা-আবর্জনা এনে ওই সব স্থানে ফেলছিলেন।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবুজ মিয়া বলেন, সাভার পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় তাঁরা বাধ্য হয়ে নদীর তীরসহ উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এতে পৌর কর্তৃপক্ষেরও সম্মতি রয়েছে।
সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রহিম উদ্দিন আহামেদ বলেন, ‘সাভার পৌরসভা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নদী-খাল ও রাস্তাঘাট যেখানেই যাবেন সেখানেই ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধ আর নোংরা পরিবেশে সাভার ক্রমশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।’
সাভার পৌরসভার কাউন্সিলর রমজান আহমেদ বলেন, সাভারে এখনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। কোনো ডাম্পিং স্টেশনও নেই। এ কারণেই খোলা জায়গায় ময়লা স্তূপ করে রাখতে হয়।
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, জায়গার অভাবে ডাম্পিং স্টেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সুবিধাজনক জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদ থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ধরে দুই কিলোমিটার গেলেই রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টার। সেখানে মহাসড়ক ও মডেল মসজিদের পাশে সাভার পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিন রিকশাভ্যানে করে এনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ওই ভাগাড়ে।
শুধু মডেল মসজিদের পাশেই নয়, শহরজুড়েই রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। আবর্জনা ফেলা হচ্ছে শহরের পাশ দিয়ে প্রবহমান নদী ও খালে। নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে এসব খাল ও নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে নদী-খালের পানি।
ঢাকা থেকে সাভারের দিকে যেতে গাবতলী পার হলেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে কিছুদূর পরপরই চোখে পড়বে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। ময়লা-আবর্জনা দেখা যাবে পৌর এলাকার ভেতরে কর্ণপাড়া খালে। নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে খালটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। আশপাশের এলাকার বিভিন্ন কারখানার তরল বর্জ্য ওই খাল দিয়ে বংশী নদীতে গিয়ে পড়ছে। খালের পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কর্ণপাড়া সেতুর ঢালেই ঝুট ব্যবসায়ীদের গুদাম। বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে সংগ্রহ করে আনা ঝুট কাপড় ও অব্যবহৃত সামগ্রী ওই সব গুদামে রেখে বাছাই করা হয়। বিক্রিযোগ্য সামগ্রী রেখে বাকি সামগ্রী বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয় খালে। এভাবে খালটির অনেকখানি ভরাট হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ী শামীম রহমানের গুদামের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘যে যার মতো করে খালটি তাঁদের কাজে লাগাচ্ছেন। কেউ দখল ও দূষণ করছেন, আবার কেউ ভরাট করছেন। এর পরেও কোনো বাধা আসছে না। তাই আমরাও জায়গার অভাবে বিক্রির অযোগ্য সামগ্রী খালে ফেলছি।’
খালপাড়ের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘এক যুগের বেশি সময় ধরে দখল আর দূষণের কারণে কর্ণপাড়া খালটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে। খালে ফেলা কারখানার তরল বর্জ্য আর ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে এই এলাকায় বসবাস করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
গতকাল শনিবার সকালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল মডেল মসজিদের পাশে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রিকশাভ্যানে করে এনে সেখানে ময়লা ফেলছিলেন। এ সময় অনেক পথচারীকে নাকে রুমাল অথবা হাত চেপে ধরে চলাচল করতে দেখা যায়।
রাজালাখ হর্টিকালচারের একজন কর্মচারী বলেন, পৌরসভা থেকে যেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, সেখানে একসময় বড় পুকুর ছিল। সরকারি কয়েক বিঘা আয়তনের ওই পুকুরটি ময়লা ফেলে ভরাট করে একাংশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট অংশ ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করছে পৌরসভা।
হর্টিকালচার সেন্টারের পাশের এলাকার বাসিন্দা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মডেল মসজিদের পাশের ময়লার ভাগাড় থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধের জন্য তাঁর বাসায় ভাড়াটে থাকতে চান না। মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে টেকা যায় না দুর্গন্ধে। পরিবেশ ও নির্মল বায়ুর জন্য অনতিবিলম্বে মসজিদের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
ময়লা ফেলা হচ্ছে পৌরসভার পাশ দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীতে। নিয়মিত ময়লা ফেলার কারণে বংশী নদীর নামাবাজার ও পাশের বক্তারপুর এলাকা ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল পৌর এলাকার বক্তারপুর, রশীদ মেম্বারের মোড়, ব্যাংক কলোনি, কাজিমুকমাপাড়া, ঘোষপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও গলিতে ময়লার স্তূপ চোখে পড়ে। নাগরিকেরা পলিথিনে ভরে ময়লা-আবর্জনা এনে ওই সব স্থানে ফেলছিলেন।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী সবুজ মিয়া বলেন, সাভার পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় তাঁরা বাধ্য হয়ে নদীর তীরসহ উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এতে পৌর কর্তৃপক্ষেরও সম্মতি রয়েছে।
সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রহিম উদ্দিন আহামেদ বলেন, ‘সাভার পৌরসভা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নদী-খাল ও রাস্তাঘাট যেখানেই যাবেন সেখানেই ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধ আর নোংরা পরিবেশে সাভার ক্রমশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।’
সাভার পৌরসভার কাউন্সিলর রমজান আহমেদ বলেন, সাভারে এখনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। কোনো ডাম্পিং স্টেশনও নেই। এ কারণেই খোলা জায়গায় ময়লা স্তূপ করে রাখতে হয়।
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, জায়গার অভাবে ডাম্পিং স্টেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সুবিধাজনক জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১২ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৫ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে