কাউনিয়া প্রতিনিধি
কাউনিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহী পাঁচ প্রার্থীকে বহিষ্কারের পাশাপাশি এখন তাঁদের সমর্থক ৫৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে নৌকার প্রার্থীকে হারানোর জন্য উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং কৃষক লীগ কমিটির কিছু নেতা-কর্মী উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সেলিনা তালুকদার (জেলা পরিষদের সদস্য), জেলা ও হারাগাছ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক (উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদিকা শামছুন্নাহার এবং টেপামধুপুর ইউনিয়ন শাখার মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান আলীসহ ৫৪ জন।
এসব নেতা-কর্মীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাসান জানান, উপজেলা কমিটির জরুরি সভায় কিছু সুবিধাবাদী নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তালিকা করা হয়।
জাহাঙ্গীর বলেন, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সুবিধাবাদী নেতা-কর্মীরা নৌকার পরাজয় নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন। কমিটির এসব সদস্য নৌকাকে ডোবাতে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে মাঠে নেমেছেন। তাঁরা দলীয় সুবিধা নেন কিন্তু নৌকার সঙ্গে বেইমানি করছেন। মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কমিটির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ নভেম্বর উপজেলা কমিটির জরুরি সভা করা হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল বলেন, দল বিচার-বিবেচনা করে ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। যাঁরা দলীয় আদেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন কমিটি অভিযোগ করে। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এসব নেতা-কর্মীর নামে শৃঙ্খলা ভঙ্গের তালিকা করা হয়।
তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আসা জেলা ও হারাগাছ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য রাজ্জাক দাবি করেন, তাঁর আপন ভাই হারাগাছ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। অথচ তাঁর ভাইয়ের হয়ে তিনি কোথাও ভোট চাইছেন না। এরপরও কেন উপজেলা কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করেছে তা তিনি বলেতে পারছেন না।
বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে থাকার বিষয়ে যুক্তি দেখিয়ে টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল বলেন, টেপামধুপুরে যাঁকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাঁর চেয়ে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীর কাছে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থন বেশি দেখা যাচ্ছে। দলের সিদ্ধান্তের ভুলের কারণে টেপামধুপুর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখা কমিটির সভাপতি ও সহসভাপতিসহ শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে ভোট চাইছেন।
দলীয় আদেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন হারাগাছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহফুজার রহমান বসুনিয়া, টেপামধুপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, বালাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সরকার আবু ফেরদৌস মো. মহাসিন হীরা ও যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ আলী এবং কুর্শায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ। দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাঁদের গত ১৫ নভেম্বর বহিষ্কার করা হয়।
সম্প্রতি কাউনিয়া সফরে এসে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘নৌকার বিজয় মানে দেশ, জাতি ও এলাকার উন্নয়ন। নৌকার বিজয় মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয়। দল কাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে, তা আমাদের দেখার বা ভাবার দরকার নেই। ব্যক্তি নয় আমরা নৌকার হয়ে কাজ করব। যেসব নেতা-কর্মী নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক না। তারা এলাকার উন্নয়ন চায় না।’
কাউনিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহী পাঁচ প্রার্থীকে বহিষ্কারের পাশাপাশি এখন তাঁদের সমর্থক ৫৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে নৌকার প্রার্থীকে হারানোর জন্য উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং কৃষক লীগ কমিটির কিছু নেতা-কর্মী উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সেলিনা তালুকদার (জেলা পরিষদের সদস্য), জেলা ও হারাগাছ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক (উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদিকা শামছুন্নাহার এবং টেপামধুপুর ইউনিয়ন শাখার মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান আলীসহ ৫৪ জন।
এসব নেতা-কর্মীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাসান জানান, উপজেলা কমিটির জরুরি সভায় কিছু সুবিধাবাদী নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তালিকা করা হয়।
জাহাঙ্গীর বলেন, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সুবিধাবাদী নেতা-কর্মীরা নৌকার পরাজয় নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন। কমিটির এসব সদস্য নৌকাকে ডোবাতে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে মাঠে নেমেছেন। তাঁরা দলীয় সুবিধা নেন কিন্তু নৌকার সঙ্গে বেইমানি করছেন। মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কমিটির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ নভেম্বর উপজেলা কমিটির জরুরি সভা করা হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল বলেন, দল বিচার-বিবেচনা করে ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। যাঁরা দলীয় আদেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন কমিটি অভিযোগ করে। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এসব নেতা-কর্মীর নামে শৃঙ্খলা ভঙ্গের তালিকা করা হয়।
তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আসা জেলা ও হারাগাছ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য রাজ্জাক দাবি করেন, তাঁর আপন ভাই হারাগাছ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। অথচ তাঁর ভাইয়ের হয়ে তিনি কোথাও ভোট চাইছেন না। এরপরও কেন উপজেলা কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করেছে তা তিনি বলেতে পারছেন না।
বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে থাকার বিষয়ে যুক্তি দেখিয়ে টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল বলেন, টেপামধুপুরে যাঁকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাঁর চেয়ে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীর কাছে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থন বেশি দেখা যাচ্ছে। দলের সিদ্ধান্তের ভুলের কারণে টেপামধুপুর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখা কমিটির সভাপতি ও সহসভাপতিসহ শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে ভোট চাইছেন।
দলীয় আদেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন হারাগাছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহফুজার রহমান বসুনিয়া, টেপামধুপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, বালাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সরকার আবু ফেরদৌস মো. মহাসিন হীরা ও যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ আলী এবং কুর্শায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ। দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাঁদের গত ১৫ নভেম্বর বহিষ্কার করা হয়।
সম্প্রতি কাউনিয়া সফরে এসে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘নৌকার বিজয় মানে দেশ, জাতি ও এলাকার উন্নয়ন। নৌকার বিজয় মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয়। দল কাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে, তা আমাদের দেখার বা ভাবার দরকার নেই। ব্যক্তি নয় আমরা নৌকার হয়ে কাজ করব। যেসব নেতা-কর্মী নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক না। তারা এলাকার উন্নয়ন চায় না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে