জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার জমে উঠেছে। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা দিনরাত সমানতালে কাজ করছেন।

প্রার্থীরাও সকাল থেকে থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, প্রচারের গতি ততই বাড়ছে।

উপজেলায় ৯টি ইউপির মধ্যে ৪ টিতে নৌকার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বাকি ৫টি ইউপি দূরমুট, কুলিয়া, নয়ানগর, শ্যামপুর ও চরবানিপাকুরিয়ায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার ৫ প্রার্থীর বিপরীতে লড়ছেন ১৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এসব ইউপিতে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছেন কেউ কেউ। এ জন্য দুরমুট, চরবানিপাকুরিয়া, নয়ানগর ইউপির ৭ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তবে এরপরও নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ভর করেছে।

কারণ, পাঁচটি ইউপিতে নৌকার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ দল থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাঁদের কারণে বেকায়দায় পড়তে পারেন নৌকার প্রার্থীরা। এ ছাড়া ইসলামি আন্দোলনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবস্থানও ভালো। সব মিলিয়ে নৌকার প্রার্থীদের জয়ী করে আনতে নড়েচড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।

দুরমুট ইউপিতে হুমায়ূন কবির নামে একজন ভোটার বলেন, ‘এখানে নৌকা ও আনারস মার্কার প্রার্থী দুজনেরই প্রচারের দিকে খুব ভালো অবস্থানে। আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চাচ্ছি। তবে ভোট কেন্দ্রের যদি মারামারি হয়, তাহলে আমরা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবো না।’

দুরমুট ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী এ, কে, এম বদিউজ্জামান খান বাদল বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি জয় হব।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক আছে। বিধি ভঙ্গের কোনো অভিযোগ আসেনি।