সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আনন্দে ভাসছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওবাসী। এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন, তা পূরণ হতে যাওয়ায় নানা রকম প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পাওয়ায় এ জেলায় নতুন করে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের। সামাজিকভাবে এগিয়ে যাবে এখানকার মানুষ।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও সফরে এসে অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। দীর্ঘ চার বছর পর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখছেন জেলাবাসী। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পৌরশহরের হাজিপাড়ার বাসিন্দা সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এ খুশির কথা ভাষায় বোঝানো যাবে না। শহর থেকে কাছাকাছি মনোরম ও কোলাহলমুক্ত একটি পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টি হোক এটি আমরা চাই।’
সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুপ্তি আক্তার বলে, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ জেলাকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’
একই শ্রেণির সাবিকুন নাহার জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় হলে এ অঞ্চলের মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে বাল্যবিয়ের হার কমবে।
জগন্নাথপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর রহমান জানায়, অসচ্ছলতার কারণে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতো অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। এখন একটি সুযোগ সৃষ্টি হলো।
অভিভাবক হালিমা বেগম বলেন, ‘সংসারের টানাপোড়েনের জন্য অনেক অভিভাবক সন্তানদের বাইরে পড়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এখানেই বিশ্ববিদ্যালয় হলে ঘরে থেকেই লেখাপড়ার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।’
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেকদৃষ্টি বরাবরই ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য ছিল। এ জেলার মানুষের কর্মসংস্থানের সংকট দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিও বাস্তবায়নের জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকার সঙ্গে কম সময়ে যোগাযোগের জন্য পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর দাবি করছি।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত অনুমোদনের কথা জানতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি বড় খুশির সংবাদ। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি আসেনি। নির্দেশনা এলেই আমরা কাজ শুরু করব।’
জমি নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে জায়গা নির্ধারণ করা হবে।’
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের জয়জয়কার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে এখন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বিমানবন্দর এলাকার উত্তরে মুক্তা মেলার পাশে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হবে।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আনন্দে ভাসছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওবাসী। এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন, তা পূরণ হতে যাওয়ায় নানা রকম প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পাওয়ায় এ জেলায় নতুন করে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের। সামাজিকভাবে এগিয়ে যাবে এখানকার মানুষ।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও সফরে এসে অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। দীর্ঘ চার বছর পর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখছেন জেলাবাসী। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পৌরশহরের হাজিপাড়ার বাসিন্দা সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এ খুশির কথা ভাষায় বোঝানো যাবে না। শহর থেকে কাছাকাছি মনোরম ও কোলাহলমুক্ত একটি পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টি হোক এটি আমরা চাই।’
সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুপ্তি আক্তার বলে, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ জেলাকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’
একই শ্রেণির সাবিকুন নাহার জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় হলে এ অঞ্চলের মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে বাল্যবিয়ের হার কমবে।
জগন্নাথপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর রহমান জানায়, অসচ্ছলতার কারণে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতো অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। এখন একটি সুযোগ সৃষ্টি হলো।
অভিভাবক হালিমা বেগম বলেন, ‘সংসারের টানাপোড়েনের জন্য অনেক অভিভাবক সন্তানদের বাইরে পড়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এখানেই বিশ্ববিদ্যালয় হলে ঘরে থেকেই লেখাপড়ার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।’
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেকদৃষ্টি বরাবরই ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য ছিল। এ জেলার মানুষের কর্মসংস্থানের সংকট দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিও বাস্তবায়নের জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকার সঙ্গে কম সময়ে যোগাযোগের জন্য পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর দাবি করছি।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত অনুমোদনের কথা জানতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি বড় খুশির সংবাদ। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি আসেনি। নির্দেশনা এলেই আমরা কাজ শুরু করব।’
জমি নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে জায়গা নির্ধারণ করা হবে।’
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের জয়জয়কার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে এখন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বিমানবন্দর এলাকার উত্তরে মুক্তা মেলার পাশে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে