মো. আ. রহিম রেজা, ঝালকাঠি
ঝালকাঠির গণেশ শীল (৬৫)। ৩০ বছর ধরে রেস্তোরাঁয় পানি সরবরাহ করেন। এতে যা পান, তা দিয়ে দুই ছেলে-মেয়েসহ চার সদস্যের সংসার চলে। ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ জোগাতেও হিমশিম খেতে হয় এই স্বল্প আয়ে। টানাটানির সংসারেও চালিয়ে যাচ্ছেন সন্তাদের লেখাপড়া। স্বপ্ন ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটেছেন অনবরত। এখন স্বপ্ন তাঁর হাতের নাগালে। শুধু ছুঁয়ে দেখাটা বাকি। বাকি বলতে ছেলে সৌরভ শীল বাবার স্বপ্ন পূরণে দিন-রাত খেটে পড়ালেখা করে অবশেষে ভর্তি হয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। ছেলে পড়ালেখা শেষ করে প্রকৌশলী হলেই ছেড়ে দেবেন এ পেশা।
জানা গেছে, ঝালকাঠি শহরে আগে ভারওয়ালা পেশায় শতাধিক ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। কালের বিবর্তনে অন্যরা পেশা ছেড়ে দিলেও ছাড়েননি গণেশ শীল। ৩০ বছর ধরে করছেন ভারওয়ালার কাজ। এই পেশার আয়ে চলেছে সংসার ও সন্তানদের পড়ালেখা। তবে এবার তিনি ছাড়তে চাই সাধের এই পেশা।
গণেশ শীল বলেন, ‘ছেলে প্রকৌশলী হলেই পানি টানা বন্ধ করে দেব। তখন আর কষ্ট থাকবে না।’
জানা গেছে, কাঁধে পানি বহন করে ঝালকাঠি শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করেন গণেশ শীল। তাঁর বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে হলেও শৈশবে চলে আসেন ঝালকাঠি শহরে। এরপর থেকে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পানি দেওয়ার কাজ করেন। একটি বাঁশের দুই মাথায় বাঁধা দুটি টিনের জারে সকাল-বিকেল নদী বা পুকুরের পানি ভরে পৌঁছে দেন তিনি। এই পানি রান্নার কাজে ব্যবহার হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে ভারওয়ালা বলেন। ৩০ বছর ধরে এই কাজ করছেন। এ কাজ করে বর্তমানে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয়। এই স্বল্প উপার্জন দিয়েই দুই সন্তানকে পড়ালেখা করাচ্ছেন। তাঁর ছেলে কুয়েটে পড়াশোনা করায় স্থানীয় অনেকেই তাঁকে এখন ইঞ্জিনিয়ারের বাবা বলে ডাকেন। আগে এক কক্ষের বাসায় থাকলেও এখন দুই কক্ষের বাসা নিয়েছেন। তবে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন।
মেয়ে প্রিয়াংকা শীল বেতাগীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ছেলে সৌরভ শীল কুয়েটে প্রথম সেমিস্টারে পড়ছেন। পড়াশোনা শেষে চাকরি করলে আর কষ্ট করতে হবে না—এমনই স্বপ্ন দেখেন গণেশ শীল।
গণেশ শীল বলেন, ‘৩০ বছর আগে হোটেলে প্রতি জার পানি দিলে ২ টাকা পেতাম। এভাবে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় হতো। তা দিয়ে সংসার ও ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। শত কষ্টের মধ্যেও অন্যের কাছে হাত পাতিনি। ছেলে-মেয়ে দুটো লেখাপড়ায় ভালো হওয়ায় ওদের দিয়ে কোনো কাজ করাইনি।’
সৌরভ শীল জানান, মনপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছেন বাবা স্বপ্নপূরণে। আশা করছেন বাবার স্বপ্ন বিফলে যাবে না।
ঝালকাঠির গণেশ শীল (৬৫)। ৩০ বছর ধরে রেস্তোরাঁয় পানি সরবরাহ করেন। এতে যা পান, তা দিয়ে দুই ছেলে-মেয়েসহ চার সদস্যের সংসার চলে। ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ জোগাতেও হিমশিম খেতে হয় এই স্বল্প আয়ে। টানাটানির সংসারেও চালিয়ে যাচ্ছেন সন্তাদের লেখাপড়া। স্বপ্ন ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটেছেন অনবরত। এখন স্বপ্ন তাঁর হাতের নাগালে। শুধু ছুঁয়ে দেখাটা বাকি। বাকি বলতে ছেলে সৌরভ শীল বাবার স্বপ্ন পূরণে দিন-রাত খেটে পড়ালেখা করে অবশেষে ভর্তি হয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। ছেলে পড়ালেখা শেষ করে প্রকৌশলী হলেই ছেড়ে দেবেন এ পেশা।
জানা গেছে, ঝালকাঠি শহরে আগে ভারওয়ালা পেশায় শতাধিক ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। কালের বিবর্তনে অন্যরা পেশা ছেড়ে দিলেও ছাড়েননি গণেশ শীল। ৩০ বছর ধরে করছেন ভারওয়ালার কাজ। এই পেশার আয়ে চলেছে সংসার ও সন্তানদের পড়ালেখা। তবে এবার তিনি ছাড়তে চাই সাধের এই পেশা।
গণেশ শীল বলেন, ‘ছেলে প্রকৌশলী হলেই পানি টানা বন্ধ করে দেব। তখন আর কষ্ট থাকবে না।’
জানা গেছে, কাঁধে পানি বহন করে ঝালকাঠি শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করেন গণেশ শীল। তাঁর বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে হলেও শৈশবে চলে আসেন ঝালকাঠি শহরে। এরপর থেকে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পানি দেওয়ার কাজ করেন। একটি বাঁশের দুই মাথায় বাঁধা দুটি টিনের জারে সকাল-বিকেল নদী বা পুকুরের পানি ভরে পৌঁছে দেন তিনি। এই পানি রান্নার কাজে ব্যবহার হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে ভারওয়ালা বলেন। ৩০ বছর ধরে এই কাজ করছেন। এ কাজ করে বর্তমানে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয়। এই স্বল্প উপার্জন দিয়েই দুই সন্তানকে পড়ালেখা করাচ্ছেন। তাঁর ছেলে কুয়েটে পড়াশোনা করায় স্থানীয় অনেকেই তাঁকে এখন ইঞ্জিনিয়ারের বাবা বলে ডাকেন। আগে এক কক্ষের বাসায় থাকলেও এখন দুই কক্ষের বাসা নিয়েছেন। তবে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন।
মেয়ে প্রিয়াংকা শীল বেতাগীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ছেলে সৌরভ শীল কুয়েটে প্রথম সেমিস্টারে পড়ছেন। পড়াশোনা শেষে চাকরি করলে আর কষ্ট করতে হবে না—এমনই স্বপ্ন দেখেন গণেশ শীল।
গণেশ শীল বলেন, ‘৩০ বছর আগে হোটেলে প্রতি জার পানি দিলে ২ টাকা পেতাম। এভাবে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় হতো। তা দিয়ে সংসার ও ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। শত কষ্টের মধ্যেও অন্যের কাছে হাত পাতিনি। ছেলে-মেয়ে দুটো লেখাপড়ায় ভালো হওয়ায় ওদের দিয়ে কোনো কাজ করাইনি।’
সৌরভ শীল জানান, মনপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছেন বাবা স্বপ্নপূরণে। আশা করছেন বাবার স্বপ্ন বিফলে যাবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে