রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি, জৈব সারের কম ব্যবহার ও রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে মেহেরপুরে হারাচ্ছে মাটির উর্বরা শক্তি। জেলার বেশ কয়েকটি এলাকার ফসলি জমির মাটি পরীক্ষায় মিলেছে এমন ভয়াবহ চিত্র। ফলে কমছে উৎপাদন। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
মেহেরপুরের খোকসা গ্রামের একটি মাঠে বেশ কয়েক বছর ধরেই কমেছে ফসলের ফলন। নানা ধরনের রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। কিছুই বুঝতে না পেরে গত বছরে মাটি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন চাষি আমানুল ইসলাম। পরীক্ষার পর মেলে ভয়াবহ চিত্র। যেখানে জৈব পদার্থ থাকা দরকার ৫, সেখানে রয়েছে ১.৮৭; ফসফরাস রয়েছে ১৫.৩; জিংকের পরিমাণ দশমিক ৯২ ও বোরন রয়েছে মধ্যম। এ ছাড়ও নাইট্রোজেনের পরিমাণ ০.০৮ এবং গন্ধক রয়েছে ৭.২, যা অতি নিম্ন। তা ছাড়ও তাঁর জমিতে রয়েছে অতিমাত্রায় পটাশিয়াম, যার পরিমাণ দশমিক ৪৫। জমিতে অম্ল মান রয়েছে ৮.৫। যা মৃদু ক্ষার হিসেবে ধরা হয়। সদর উপজেলার আরও কয়েকটি জমির চিত্র একই।
এদিকে গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে বেশ কয়েকটি জমির মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। কৃষক রুবেল রানার জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ১.৯৬, দস্তা রয়েছে ১.২, ফসফরাস ১৫.৩ ও বোরনের উপস্থিতি মধ্যম। অতি নিম্ন পর্যায় রয়েছে নাইট্রোজেন, এর পরিমাণ ০.০৯, গন্ধক আছে ১৪ দশমিক ২।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, ২০২০ সালের মার্চে ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষার একটি দল আসে। সেখানে এ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক কৃষকের জমির মাটি পরীক্ষা করা হয়। যার প্রতিটি জমিতে জৈবের পরিমাণ মেলে ১ থেকে ২ এর মধ্যে। যা ভয়াবহ। কোনো কোনো জমিতে জৈবের পরিমাণ রয়েছে ১-এর নিচে। অথচ মাটিতে জৈব পদার্থের প্রয়োজন ৫।
গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জমিতে হঠাৎ করে ফলন কমে যাওয়ায় মাটিতে ভার্মি কমপোস্ট ব্যবহার করি। পরে আমি ওই জমির মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করি। সেখানে জৈব সার ব্যবহার করেও আমার জমিতে জৈবের পরিমাণ মিলেছে দুইয়ের নিচে। এখন কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিভিন্ন ফসলে পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক ও অন্যান্য সার ব্যবহার করছি।’
সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের সৌরভ জানান, ‘আমরা বেশ কয়েকজন কৃষক কয়েক বছর আগে মাটি পরীক্ষা করেছিলাম, যেখানে কোনো কোনো জমিতে জৈবের পরিমাণ মিলেছে একের নিচে।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভিন বলেন, ‘একই জমিতে কৃষকেরা তিন থেকে চারটি আবাদ করছেন, সঙ্গে বেড়েছে হাইব্রিড জাতীয় ফসলের আবাদ। ফলে গাছগুলো অধিক পুষ্টি শোষণ করছে। জমি কোনো ভাবেই রেস্ট পাচ্ছে না। কিন্তু সে হারে জমিতে কৃষকেরা জৈব সার ব্যবহার করছেন না। সঙ্গে রয়েছে জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। ফলে মাটি হারাচ্ছে তার গুণাগুণ। অনেক সময় কৃষকদের রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করতে বললেও ভালো ফলনের আসায় প্রয়োজনের দুই থেকে তিনগুণ বেশি রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন।’
কুষ্টিয়া মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাফিজা সুলতানা বলেন, ‘জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি, জৈব সার ব্যবহার না করা, ওপরের মাটি বিক্রি বা অন্য কাজে ব্যবহারের কারণে জমিতে কমছে জৈবের পরিমাণ। মাটিতে জৈবের পরিমাণ ১ থেকে ১.৭ শতাংশ থাকলে ধরা হয় নিম্ন; ১.৭ থেকে ৩.৪ হলে মধ্যম, ৩.৪ থেকে ৫.৫ হলে উচ্চ। সেখানে মেহেরপুরে বেশির ভাগই মাটিতে জৈবের পরিমাণ রয়েছে নিম্ন ও মধ্যম পর্যায়ে। এ অবস্থায় কৃষককে অবশ্যই মাটিতে ভার্মি কমপোস্টসহ, গরুর গোবর, মুরগির বিষ্টাসহ বাজারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যে জৈব সার রয়েছে সেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, ‘দ্রুত জেলায় ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার বসিয়ে মাটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এতে জমিতে কোন মাত্রায় কোন সার ব্যবহার করতে পারব, সেটি জানব। এ ছাড়া মাটি পরীক্ষার পর কৃষকদের দেওয়া হবে সার সুপারিশ কার্ড, যাতে জমিতে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে পারেন।’
শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি, জৈব সারের কম ব্যবহার ও রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে মেহেরপুরে হারাচ্ছে মাটির উর্বরা শক্তি। জেলার বেশ কয়েকটি এলাকার ফসলি জমির মাটি পরীক্ষায় মিলেছে এমন ভয়াবহ চিত্র। ফলে কমছে উৎপাদন। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
মেহেরপুরের খোকসা গ্রামের একটি মাঠে বেশ কয়েক বছর ধরেই কমেছে ফসলের ফলন। নানা ধরনের রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। কিছুই বুঝতে না পেরে গত বছরে মাটি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন চাষি আমানুল ইসলাম। পরীক্ষার পর মেলে ভয়াবহ চিত্র। যেখানে জৈব পদার্থ থাকা দরকার ৫, সেখানে রয়েছে ১.৮৭; ফসফরাস রয়েছে ১৫.৩; জিংকের পরিমাণ দশমিক ৯২ ও বোরন রয়েছে মধ্যম। এ ছাড়ও নাইট্রোজেনের পরিমাণ ০.০৮ এবং গন্ধক রয়েছে ৭.২, যা অতি নিম্ন। তা ছাড়ও তাঁর জমিতে রয়েছে অতিমাত্রায় পটাশিয়াম, যার পরিমাণ দশমিক ৪৫। জমিতে অম্ল মান রয়েছে ৮.৫। যা মৃদু ক্ষার হিসেবে ধরা হয়। সদর উপজেলার আরও কয়েকটি জমির চিত্র একই।
এদিকে গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে বেশ কয়েকটি জমির মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। কৃষক রুবেল রানার জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ১.৯৬, দস্তা রয়েছে ১.২, ফসফরাস ১৫.৩ ও বোরনের উপস্থিতি মধ্যম। অতি নিম্ন পর্যায় রয়েছে নাইট্রোজেন, এর পরিমাণ ০.০৯, গন্ধক আছে ১৪ দশমিক ২।
মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, ২০২০ সালের মার্চে ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষার একটি দল আসে। সেখানে এ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক কৃষকের জমির মাটি পরীক্ষা করা হয়। যার প্রতিটি জমিতে জৈবের পরিমাণ মেলে ১ থেকে ২ এর মধ্যে। যা ভয়াবহ। কোনো কোনো জমিতে জৈবের পরিমাণ রয়েছে ১-এর নিচে। অথচ মাটিতে জৈব পদার্থের প্রয়োজন ৫।
গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জমিতে হঠাৎ করে ফলন কমে যাওয়ায় মাটিতে ভার্মি কমপোস্ট ব্যবহার করি। পরে আমি ওই জমির মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করি। সেখানে জৈব সার ব্যবহার করেও আমার জমিতে জৈবের পরিমাণ মিলেছে দুইয়ের নিচে। এখন কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিভিন্ন ফসলে পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক ও অন্যান্য সার ব্যবহার করছি।’
সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের সৌরভ জানান, ‘আমরা বেশ কয়েকজন কৃষক কয়েক বছর আগে মাটি পরীক্ষা করেছিলাম, যেখানে কোনো কোনো জমিতে জৈবের পরিমাণ মিলেছে একের নিচে।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভিন বলেন, ‘একই জমিতে কৃষকেরা তিন থেকে চারটি আবাদ করছেন, সঙ্গে বেড়েছে হাইব্রিড জাতীয় ফসলের আবাদ। ফলে গাছগুলো অধিক পুষ্টি শোষণ করছে। জমি কোনো ভাবেই রেস্ট পাচ্ছে না। কিন্তু সে হারে জমিতে কৃষকেরা জৈব সার ব্যবহার করছেন না। সঙ্গে রয়েছে জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। ফলে মাটি হারাচ্ছে তার গুণাগুণ। অনেক সময় কৃষকদের রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করতে বললেও ভালো ফলনের আসায় প্রয়োজনের দুই থেকে তিনগুণ বেশি রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন।’
কুষ্টিয়া মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাফিজা সুলতানা বলেন, ‘জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি, জৈব সার ব্যবহার না করা, ওপরের মাটি বিক্রি বা অন্য কাজে ব্যবহারের কারণে জমিতে কমছে জৈবের পরিমাণ। মাটিতে জৈবের পরিমাণ ১ থেকে ১.৭ শতাংশ থাকলে ধরা হয় নিম্ন; ১.৭ থেকে ৩.৪ হলে মধ্যম, ৩.৪ থেকে ৫.৫ হলে উচ্চ। সেখানে মেহেরপুরে বেশির ভাগই মাটিতে জৈবের পরিমাণ রয়েছে নিম্ন ও মধ্যম পর্যায়ে। এ অবস্থায় কৃষককে অবশ্যই মাটিতে ভার্মি কমপোস্টসহ, গরুর গোবর, মুরগির বিষ্টাসহ বাজারে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যে জৈব সার রয়েছে সেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, ‘দ্রুত জেলায় ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার বসিয়ে মাটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এতে জমিতে কোন মাত্রায় কোন সার ব্যবহার করতে পারব, সেটি জানব। এ ছাড়া মাটি পরীক্ষার পর কৃষকদের দেওয়া হবে সার সুপারিশ কার্ড, যাতে জমিতে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে পারেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে