আজকের পত্রিকা: গত বছরের ৭ অক্টোবর হঠাৎ করে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করার পরে দীর্ঘ মেয়াদে ফিলিস্তিনে আক্রমণ চলছে। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, সেটা নিশ্চিত জানার পরেও হামাস কেন হামলা করল?তানজীমউদ্দিন খান: আমরা যদি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনা দেখি এবং তার আগের ২০১১, ২০১৪ ও ২০২১ সালের পরিস্থিতিতে আমি একটা হিসাব দেখছিলাম, গড়ে প্রতিদিন ২৫০ জন মানুষকে সেখানে হত্যা করা হচ্ছিল। পুরো গাজা একটা অবরুদ্ধ বন্দিশিবিরে পরিণত হয়েছিল। মাত্র ৪১ কিমি দীর্ঘ এবং ১০ কিমি চওড়া এই লম্বাটে ভূখণ্ডের উত্তর ও পূর্ব দিক ইসরায়েলবেষ্টিত, দক্ষিণ-পশ্চিমে মিসরের সীমান্তসংলগ্ন রাফাহ ক্রসিং আর পশ্চিম দিকের পুরোটা ভূমধ্যসাগর। তাই গাজা থেকে বের হতে গেলে একমাত্র মিসরের সীমান্তসংলগ্ন রাফাহ ছাড়া বের হওয়ার অন্য কোনো পথ ছিল না। আবার ২০০৭ সালে গাজায় হামাস ক্ষমতায় আসার পর থেকে গাজাবাসীদের ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে অন্য কোথাও যেতে হলে ইসরায়েলি সরকারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হতো। গাজা এ রকম এক অবরুদ্ধ বন্দিজীবনের মধ্যে তাদের ঠেলে দিয়েছিল!
আবার ৭ অক্টোবরের আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে মানচিত্রটা দেখিয়েছিলেন, সেখানে গাজা আর পশ্চিম তীর বা ওয়েস্ট ব্যাংকের অস্তিত্ব ছিল না। অন্যদিকে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে উঠছিল বা হচ্ছিল। তাতে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হলো ফিলিস্তিনিদের এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামের আর বোধ হয় গুরুত্ব নেই! এ রকম পরিস্থিতিতে হামাস তো জানতই ইসরায়েলের সামরিক শক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপুষ্ট সামরিক শক্তির তুলনায় তাদের শক্তি কিছুই না। কিন্তু যেখানে তাদের অস্তিত্বহীনতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং তাদের অস্তিত্ব পুনঃপ্রকাশের জন্য, তাদের অস্তিত্ব যে টিকে আছে, সে জন্যই হয়তো বা হামাস যেকোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ছিল। আর এ হামলায় তারা ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়াও দেখতে চেয়েছে।
ঘটনার পরে আমরা এখন যে ব্যাপারটা দেখছি, পিএলওর নেতৃত্বের দুর্বলতায় হামাসকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনের যে স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং তাদের মতাদর্শ, সেটাকে পশ্চিমা গণমাধ্যম মোটাদাগে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বা ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করে চলছে। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রাম একটা নতুন মাত্রা পেয়েছে। তাদের অধিকার আদায় এবং অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামটা এখন একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর ২০২৩-পরবর্তী ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নিধনের ইসরায়েলি প্রচেষ্টার প্রতিবাদের বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে ওঠা সংহতি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
আজকের পত্রিকা: হামাস গঠনে ইসরায়েলের পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলে কেউ কেউ বলেন। এটা কতটুকু সত্য?
তানজীমউদ্দিন খান: একটা সময় সে আলোচনাটা ছিল। অনেকে এটাকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে প্রচার করলেও ২০১৮ সালে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সাংবাদিক দিনা সাইদাহমেদ ১৯৮০-এর দশকে প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের এক সংবাদের বরাতে জানান, ইসরায়েলি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং গাজার মিলিটারি গভর্নর আইজাক সেগেভ নিজেকে ‘হামাস স্রষ্টা’ বলেছিলেন। তাঁর মাধ্যমে ইসরায়েলি সরকার হামাসকে অর্থায়ন করেছিল সেই সময়। যদিও এটা সর্বজনবিদিত যে হামাস মূলত মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পিএলওর শক্তিকে হ্রাস করার জন্য হামাস তৈরি হয়েছিল। তবে, ইসরায়েলের অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং এই প্রতিবাদকে একটা সংগ্রামের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হামাসের একটা ভূমিকা আছে। পিএলওর দুর্বল নেতৃত্ব, তাদের দুর্নীতির ইতিহাস এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস সরাসরি অবস্থান নেওয়ার কারণে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মাঝে তারা জনপ্রিয় হয়েছে। তাদের জনপ্রিয়তা আছে বলেই তারা গাজায় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হতে পেরেছে। আবার মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের ইসরায়েলের প্রতি নতজানু হওয়ার কারণেও হামাস এখন একটি প্রতিবাদী সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হতে পেরেছে। স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের অনাচারের বিরুদ্ধে কেউ যখন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না, অন্য কেউ গড়ে তোলে, তখন তার সমর্থন সে দিকেই যায়। হামাসের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটেছে। এখন তারা কিন্তু একটা স্বকীয় অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘ সময় ধরে ফিলিস্তিনে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
তানজীমউদ্দিন খান: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা আছে। ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামবিরোধী আন্দোলনও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছিল। নিউইয়র্ক শহর তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের একটি প্রকাশ ১৯৮০-এর দশকে আমরা দেখেছি। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এর প্রকাশ ঘটেছিল। এরপর ২০১১ সালে অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন সেখানে দেখেছি। ৯৯ শতাংশ বনাম ১ শতাংশের সেই আন্দোলন ছিল। এ ধরনের সব আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আমি মনে করি, এখনকার যে আন্দোলনটা, সেটা অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের দীর্ঘমেয়াদি ফল। সেই আন্দোলনের অনেক স্লোগান ছিল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। তারা সাম্রাজ্যবাদ আর নয়া উপনিবেশবিরোধী অবস্থান থেকে সেই আন্দোলন করেছিল। ইসরায়েল আর যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক, সেটাকে তারা সাম্রাজ্যবাদী সম্পর্ক হিসেবে দেখে।
এখন সেখানে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সংহতি আন্দোলন হচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকে অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন। যাঁদের বয়স তখন ১৮-২০ বছরের ছিল, তাঁদের বয়স এখন ৩৫ থেকে ৩৭-এর মধ্যে। ওই পরিপক্বতায় কিন্তু এখনকার আন্দোলন তৈরি করতে সাহায্য করেছে। এ কারণে এই আন্দোলনের একটা ভিন্ন প্রকাশ এবং সেটারই একটা ধারাবাহিকতা।
গত এপ্রিলে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আন্দোলন ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর থেকে সেখানকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ অক্টোবরকেন্দ্রিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছোট ছোট প্রতিবাদ হচ্ছিল।
সেই সময়ে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হ্যাভেরফোর্ড কলেজের ফিলিস্তিনের তিন শিক্ষার্থীকে রাস্তা পার হওয়ার সময় গুলি করা হয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাওয়ার্ড ফোর্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান ধর্মঘট করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড থেকে সর্বশেষ গত এপ্রিলে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকা: এই আন্দোলনের ফলে কি পশ্চিমা গণমাধ্যমের ন্যারেটিভের কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে করেন?
তানজীমউদ্দিন খান: মূলধারার পশ্চিমা গণমাধ্যমে বেশির ভাগেই অনেক গোঁড়া ইহুদিদের অর্থলগ্নি আছে এবং ওই গণমাধ্যমগুলো ইসরায়েল রাষ্ট্রের অনুকূলেই ক্রিয়াশীল থাকে। যেমন সিএনএন, বিবিসি, ফক্স, স্কাই, নিউইয়র্ক টাইমসের মতো মূলধারার গণমাধ্যম ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বার্থে সংবাদ প্রকাশ করে। খুব স্বাভাবিকভাবে তারা যে ন্যারেটিভকে সামনে আনে, সেটা কিন্তু বড় একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে; বিশেষ করে ‘অ্যান্টি-স্যামেটিজম’ বা ইহুদিবিদ্বেষের অজুহাত, যা ইসরায়েলবিরোধী ন্যায্য সবকিছুকে হেয় করার জন্য আলোচনায় আনা হয়, সেই প্রবণতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
তবে খুব শিগগির মূলধারার পশ্চিমা গণমাধ্যমের বয়ানে পরিবর্তন আসবে, তা নয়। তবে এই আন্দোলনের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে। যে কারণে অ্যান্টি-স্যামেটিজমের ইস্যুটাকে আনা হয়, সেটা যে একটা খুব খেলো বিষয় এবং এটা যে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য থেকে করা হয়েছে, তা স্পষ্ট হচ্ছে এখন অনেকের কাছে। এই আন্দোলন যে ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে উঠে একটা মানবিক আবেদনকে সামনে নিয়ে এসেছে, ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নিধন বা জেনোসাইড থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দাবিতে। তাই এই আন্দোলন এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে, তাদের অধিকারের পক্ষে পাশে দাঁড়ানো, মানুষ হিসেবে আমাদের সবার দায়িত্ব।
মানবিকতাটাই এই আন্দোলনের বড় বিষয়। বিশ্ব রাজনীতিতে যে একটা প্রজন্মগত বিভক্তি আছে এই মানবিক ইস্যুতে, সেটা এখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবারের ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিন হত্যা অনলাইন অনেক অপ্রচলিত গণমাধ্যমে এবং ইউটিউবে প্রকাশ এবং প্রচার হওয়ার কারণে তৎক্ষণাৎ সারা বিশ্বের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন অনেক নতুন কিছু জানতে পারছে। সে কারণে মূলধারার অনেক পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রভাব কমে আসছে।
আজকের পত্রিকা: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা সমাধানের কি কোনো সম্ভাবনা আছে?
তানজীমউদ্দিন খান: এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটা হচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্ব আর একটা হচ্ছে, আরব বিশ্বের ভূমিকা। আরব বিশ্বের অধিকাংশ দেশ গণতান্ত্রিক নয়। এখানে একনায়কতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র চলছে। জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রত্যক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন নেই। তারা বংশানুক্রমিকভাবে ক্ষমতাসীন থাকছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের বৈধতা নিশ্চিত করছে। ফলে তারা মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সার্বিকভাবে ফিলিস্তিন সমস্যা তাদের মধ্যে কোনো আবেদন তৈরি করে না। এ কারণে পশ্চিমা বিশ্বের অনুকূলে তাদের অবস্থান। এসব দেশই কিন্তু সংকটের মূল। যদিও ব্যতিক্রম ইরান আছে।
কিন্তু এ ধরনের আন্দোলন এবং সংহতি প্রকাশের মধ্য দিয়ে যে প্রজন্মগত পরিবর্তনটা হচ্ছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী রূপ নেয়, তাহলে এ বিষয়টা ভিন্ন মাত্রা পেতে পারে। এখন কথা হলো, মধ্যপ্রাচ্যে গণতান্ত্রিক ধারা শক্তিশালী হবে কি না? আর এখানে গণতান্ত্রিক ধারা শক্তিশালী হলে, তারা পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে নিজেদের আঞ্চলিক স্বার্থকে গুরুত্ব দেবে। তখন কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বকে এদের সঙ্গে নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে। এটা হলে পশ্চিমা বিশ্বকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে অনেক ছাড় দিতে হবে। যেটা এখন তারা দিতে প্রস্তুত নয়।
আজকের পত্রিকা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তানজীমউদ্দিন খান: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকা: গত বছরের ৭ অক্টোবর হঠাৎ করে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করার পরে দীর্ঘ মেয়াদে ফিলিস্তিনে আক্রমণ চলছে। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, সেটা নিশ্চিত জানার পরেও হামাস কেন হামলা করল?তানজীমউদ্দিন খান: আমরা যদি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনা দেখি এবং তার আগের ২০১১, ২০১৪ ও ২০২১ সালের পরিস্থিতিতে আমি একটা হিসাব দেখছিলাম, গড়ে প্রতিদিন ২৫০ জন মানুষকে সেখানে হত্যা করা হচ্ছিল। পুরো গাজা একটা অবরুদ্ধ বন্দিশিবিরে পরিণত হয়েছিল। মাত্র ৪১ কিমি দীর্ঘ এবং ১০ কিমি চওড়া এই লম্বাটে ভূখণ্ডের উত্তর ও পূর্ব দিক ইসরায়েলবেষ্টিত, দক্ষিণ-পশ্চিমে মিসরের সীমান্তসংলগ্ন রাফাহ ক্রসিং আর পশ্চিম দিকের পুরোটা ভূমধ্যসাগর। তাই গাজা থেকে বের হতে গেলে একমাত্র মিসরের সীমান্তসংলগ্ন রাফাহ ছাড়া বের হওয়ার অন্য কোনো পথ ছিল না। আবার ২০০৭ সালে গাজায় হামাস ক্ষমতায় আসার পর থেকে গাজাবাসীদের ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে অন্য কোথাও যেতে হলে ইসরায়েলি সরকারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হতো। গাজা এ রকম এক অবরুদ্ধ বন্দিজীবনের মধ্যে তাদের ঠেলে দিয়েছিল!
আবার ৭ অক্টোবরের আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে মানচিত্রটা দেখিয়েছিলেন, সেখানে গাজা আর পশ্চিম তীর বা ওয়েস্ট ব্যাংকের অস্তিত্ব ছিল না। অন্যদিকে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে উঠছিল বা হচ্ছিল। তাতে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হলো ফিলিস্তিনিদের এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামের আর বোধ হয় গুরুত্ব নেই! এ রকম পরিস্থিতিতে হামাস তো জানতই ইসরায়েলের সামরিক শক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যপুষ্ট সামরিক শক্তির তুলনায় তাদের শক্তি কিছুই না। কিন্তু যেখানে তাদের অস্তিত্বহীনতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং তাদের অস্তিত্ব পুনঃপ্রকাশের জন্য, তাদের অস্তিত্ব যে টিকে আছে, সে জন্যই হয়তো বা হামাস যেকোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ছিল। আর এ হামলায় তারা ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়াও দেখতে চেয়েছে।
ঘটনার পরে আমরা এখন যে ব্যাপারটা দেখছি, পিএলওর নেতৃত্বের দুর্বলতায় হামাসকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনের যে স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং তাদের মতাদর্শ, সেটাকে পশ্চিমা গণমাধ্যম মোটাদাগে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বা ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করে চলছে। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রাম একটা নতুন মাত্রা পেয়েছে। তাদের অধিকার আদায় এবং অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামটা এখন একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর ২০২৩-পরবর্তী ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নিধনের ইসরায়েলি প্রচেষ্টার প্রতিবাদের বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে ওঠা সংহতি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
আজকের পত্রিকা: হামাস গঠনে ইসরায়েলের পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলে কেউ কেউ বলেন। এটা কতটুকু সত্য?
তানজীমউদ্দিন খান: একটা সময় সে আলোচনাটা ছিল। অনেকে এটাকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে প্রচার করলেও ২০১৮ সালে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সাংবাদিক দিনা সাইদাহমেদ ১৯৮০-এর দশকে প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের এক সংবাদের বরাতে জানান, ইসরায়েলি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং গাজার মিলিটারি গভর্নর আইজাক সেগেভ নিজেকে ‘হামাস স্রষ্টা’ বলেছিলেন। তাঁর মাধ্যমে ইসরায়েলি সরকার হামাসকে অর্থায়ন করেছিল সেই সময়। যদিও এটা সর্বজনবিদিত যে হামাস মূলত মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পিএলওর শক্তিকে হ্রাস করার জন্য হামাস তৈরি হয়েছিল। তবে, ইসরায়েলের অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং এই প্রতিবাদকে একটা সংগ্রামের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হামাসের একটা ভূমিকা আছে। পিএলওর দুর্বল নেতৃত্ব, তাদের দুর্নীতির ইতিহাস এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস সরাসরি অবস্থান নেওয়ার কারণে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মাঝে তারা জনপ্রিয় হয়েছে। তাদের জনপ্রিয়তা আছে বলেই তারা গাজায় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হতে পেরেছে। আবার মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের ইসরায়েলের প্রতি নতজানু হওয়ার কারণেও হামাস এখন একটি প্রতিবাদী সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হতে পেরেছে। স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের অনাচারের বিরুদ্ধে কেউ যখন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না, অন্য কেউ গড়ে তোলে, তখন তার সমর্থন সে দিকেই যায়। হামাসের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটেছে। এখন তারা কিন্তু একটা স্বকীয় অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘ সময় ধরে ফিলিস্তিনে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
তানজীমউদ্দিন খান: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা আছে। ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামবিরোধী আন্দোলনও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছিল। নিউইয়র্ক শহর তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের একটি প্রকাশ ১৯৮০-এর দশকে আমরা দেখেছি। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এর প্রকাশ ঘটেছিল। এরপর ২০১১ সালে অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলন সেখানে দেখেছি। ৯৯ শতাংশ বনাম ১ শতাংশের সেই আন্দোলন ছিল। এ ধরনের সব আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আমি মনে করি, এখনকার যে আন্দোলনটা, সেটা অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের দীর্ঘমেয়াদি ফল। সেই আন্দোলনের অনেক স্লোগান ছিল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। তারা সাম্রাজ্যবাদ আর নয়া উপনিবেশবিরোধী অবস্থান থেকে সেই আন্দোলন করেছিল। ইসরায়েল আর যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক, সেটাকে তারা সাম্রাজ্যবাদী সম্পর্ক হিসেবে দেখে।
এখন সেখানে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সংহতি আন্দোলন হচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকে অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন। যাঁদের বয়স তখন ১৮-২০ বছরের ছিল, তাঁদের বয়স এখন ৩৫ থেকে ৩৭-এর মধ্যে। ওই পরিপক্বতায় কিন্তু এখনকার আন্দোলন তৈরি করতে সাহায্য করেছে। এ কারণে এই আন্দোলনের একটা ভিন্ন প্রকাশ এবং সেটারই একটা ধারাবাহিকতা।
গত এপ্রিলে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আন্দোলন ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর থেকে সেখানকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ অক্টোবরকেন্দ্রিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছোট ছোট প্রতিবাদ হচ্ছিল।
সেই সময়ে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হ্যাভেরফোর্ড কলেজের ফিলিস্তিনের তিন শিক্ষার্থীকে রাস্তা পার হওয়ার সময় গুলি করা হয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাওয়ার্ড ফোর্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান ধর্মঘট করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড থেকে সর্বশেষ গত এপ্রিলে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকা: এই আন্দোলনের ফলে কি পশ্চিমা গণমাধ্যমের ন্যারেটিভের কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে করেন?
তানজীমউদ্দিন খান: মূলধারার পশ্চিমা গণমাধ্যমে বেশির ভাগেই অনেক গোঁড়া ইহুদিদের অর্থলগ্নি আছে এবং ওই গণমাধ্যমগুলো ইসরায়েল রাষ্ট্রের অনুকূলেই ক্রিয়াশীল থাকে। যেমন সিএনএন, বিবিসি, ফক্স, স্কাই, নিউইয়র্ক টাইমসের মতো মূলধারার গণমাধ্যম ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বার্থে সংবাদ প্রকাশ করে। খুব স্বাভাবিকভাবে তারা যে ন্যারেটিভকে সামনে আনে, সেটা কিন্তু বড় একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে; বিশেষ করে ‘অ্যান্টি-স্যামেটিজম’ বা ইহুদিবিদ্বেষের অজুহাত, যা ইসরায়েলবিরোধী ন্যায্য সবকিছুকে হেয় করার জন্য আলোচনায় আনা হয়, সেই প্রবণতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
তবে খুব শিগগির মূলধারার পশ্চিমা গণমাধ্যমের বয়ানে পরিবর্তন আসবে, তা নয়। তবে এই আন্দোলনের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে। যে কারণে অ্যান্টি-স্যামেটিজমের ইস্যুটাকে আনা হয়, সেটা যে একটা খুব খেলো বিষয় এবং এটা যে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য থেকে করা হয়েছে, তা স্পষ্ট হচ্ছে এখন অনেকের কাছে। এই আন্দোলন যে ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে উঠে একটা মানবিক আবেদনকে সামনে নিয়ে এসেছে, ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নিধন বা জেনোসাইড থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দাবিতে। তাই এই আন্দোলন এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে, তাদের অধিকারের পক্ষে পাশে দাঁড়ানো, মানুষ হিসেবে আমাদের সবার দায়িত্ব।
মানবিকতাটাই এই আন্দোলনের বড় বিষয়। বিশ্ব রাজনীতিতে যে একটা প্রজন্মগত বিভক্তি আছে এই মানবিক ইস্যুতে, সেটা এখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবারের ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিন হত্যা অনলাইন অনেক অপ্রচলিত গণমাধ্যমে এবং ইউটিউবে প্রকাশ এবং প্রচার হওয়ার কারণে তৎক্ষণাৎ সারা বিশ্বের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন অনেক নতুন কিছু জানতে পারছে। সে কারণে মূলধারার অনেক পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রভাব কমে আসছে।
আজকের পত্রিকা: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা সমাধানের কি কোনো সম্ভাবনা আছে?
তানজীমউদ্দিন খান: এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটা হচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্ব আর একটা হচ্ছে, আরব বিশ্বের ভূমিকা। আরব বিশ্বের অধিকাংশ দেশ গণতান্ত্রিক নয়। এখানে একনায়কতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র চলছে। জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রত্যক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন নেই। তারা বংশানুক্রমিকভাবে ক্ষমতাসীন থাকছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের বৈধতা নিশ্চিত করছে। ফলে তারা মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সার্বিকভাবে ফিলিস্তিন সমস্যা তাদের মধ্যে কোনো আবেদন তৈরি করে না। এ কারণে পশ্চিমা বিশ্বের অনুকূলে তাদের অবস্থান। এসব দেশই কিন্তু সংকটের মূল। যদিও ব্যতিক্রম ইরান আছে।
কিন্তু এ ধরনের আন্দোলন এবং সংহতি প্রকাশের মধ্য দিয়ে যে প্রজন্মগত পরিবর্তনটা হচ্ছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী রূপ নেয়, তাহলে এ বিষয়টা ভিন্ন মাত্রা পেতে পারে। এখন কথা হলো, মধ্যপ্রাচ্যে গণতান্ত্রিক ধারা শক্তিশালী হবে কি না? আর এখানে গণতান্ত্রিক ধারা শক্তিশালী হলে, তারা পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে নিজেদের আঞ্চলিক স্বার্থকে গুরুত্ব দেবে। তখন কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বকে এদের সঙ্গে নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে। এটা হলে পশ্চিমা বিশ্বকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে অনেক ছাড় দিতে হবে। যেটা এখন তারা দিতে প্রস্তুত নয়।
আজকের পত্রিকা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তানজীমউদ্দিন খান: আপনাকেও ধন্যবাদ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে