অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে রাখার এটাই শেষ সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ–২৬) প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা। রোববার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কোপ সম্মেলনের উদ্বোধনীতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিশ্ব জলবায়ু বা কপ-২৬ সম্মেলনের আগে গতকাল ইতালির রোমে শেষ হয়েছে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-২০ এর সম্মেলন। সেখানে জি-২০ এর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেখানে জলবায়ু নিয়ে বলার মতো কোন ঘোষণা আসেনি। অথচ বিশ্বের ৮০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য এই ২০ দেশ দায়ী।
জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন যদি গ্লাসগো ব্যর্থ হয় তাহলে পুরোটাই ব্যর্থ হবে। তিনি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ব্যর্থতা এড়াতে বিশ্ব নেতাদের কপ-২৬ এ বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আত্মবিশ্বাসী বাইডেন
এদিকে জি-২০ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বিশ্ব কি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তহবিল অনুমোদনের বিল কংগ্রেসে এখনও ভোটে দেওয়া হয়নি। উত্তরে জো বাইডেন বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তাঁর পরিকল্পনাগুলো পাস হবে।
কপ-২৬ এর আগে জি-২০ সম্মেলনে কিছু বিষয় নিয়ে তিনি হতাশ বলেও জানিয়েছেন বাইডেন।
বাইডেন বলেছেন, জি-২০ সম্মেলনে চীন ও রাশিয়া জলবায়ু বিষয়ে মূলত কোন কিছুই বলেননি। এটা খুবই হতাশাজনক।
মার্কিন-ইইউ ইস্পাত শুল্ক চুক্তি 'একটি নতুন বৈশ্বিক, টেকসই ইস্পাত ব্যবস্থার' সূচনা
এছাড়া জি-২০ এর সম্মেলনে মার্কিন-ইইউ ইস্পাত শুল্ক চুক্তির পরিবেশগত সুবিধার ওপর জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
জি-২০ তে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম শুল্কের ওপর ঘোষিত মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি একটি অর্থনৈতিক বিষয় ছিল। কিন্তু জলবায়ু বা কপ-২৬ সম্মেলনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন এটিকে পরিবেশ বিষয়ক করে তুলেছেন।
বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ট্রাম্প-যুগের শুল্ক প্রত্যাহার করছে। ইইউও তাঁর শুল্ক শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আগে বাইডেন এই চুক্তিতে অর্থনৈতিক সুবিধার কথা বললেও এখন এটি পরিবেশগত প্রভাবের ওপর জোর দিয়েছেন। এই চুক্তি ইস্পাত উৎপাদনে কার্বন উৎপাদনে কার্বন নির্গমন হ্রাস করবে এবং চীন থেকে 'খারাপ ইস্পাত' মার্কিন ও ইইউ এর বাজারে অ্যাকসেস সীমাবদ্ধ করবে।
ইস্পাত উৎপাদন বৈশ্বিক অর্থনীতির কার্বন-সম্পৃক্ত খাতগুলির মধ্যে একটি উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ একটি 'কার্বন ভিত্তিক ব্যবস্থা' করতে সম্মত হয়েছে।
ভন ডার লেয়েন বলেছেন, এই চুক্তি 'একটি নতুন বৈশ্বিক, টেকসই ইস্পাত ব্যবস্থার' সূচনা।
এই শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে পারে কপ-২৬
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন বা কপ-২৬ সম্মেলনে যোগ দিতে রাতেই নেতারা সেখানে গেছেন। সবাইকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন।
নিকোলা স্টার্জন বলেছেন, 'আলোচনার শীর্ষ টেবিলে' না থাকা সত্ত্বেও জলবায়ু সম্মেলনকে সফল করতে সহায়তা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
বিশ্ব নেতাদের স্বাগত জানিয়ে স্টার্জন বলেছেন, এই শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে পারে কপ-২৬।
স্টার্জন বলেন, সব বিশ্ব নেতারা এক রুমে থাকবে, সেখানে বিপর্যয়কর তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে সম্মত হতে হবে তাদের। যখন তারা গ্লাসগো ছেড়ে যাবে তখন অবশ্যই মানবতার ভবিষ্যতের জন্য আশার বার্তা নিয়ে দেশে ফিরবে।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে রাখার এটাই শেষ সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ–২৬) প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা। রোববার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কোপ সম্মেলনের উদ্বোধনীতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিশ্ব জলবায়ু বা কপ-২৬ সম্মেলনের আগে গতকাল ইতালির রোমে শেষ হয়েছে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-২০ এর সম্মেলন। সেখানে জি-২০ এর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেখানে জলবায়ু নিয়ে বলার মতো কোন ঘোষণা আসেনি। অথচ বিশ্বের ৮০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য এই ২০ দেশ দায়ী।
জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন যদি গ্লাসগো ব্যর্থ হয় তাহলে পুরোটাই ব্যর্থ হবে। তিনি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ব্যর্থতা এড়াতে বিশ্ব নেতাদের কপ-২৬ এ বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আত্মবিশ্বাসী বাইডেন
এদিকে জি-২০ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বিশ্ব কি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তহবিল অনুমোদনের বিল কংগ্রেসে এখনও ভোটে দেওয়া হয়নি। উত্তরে জো বাইডেন বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তাঁর পরিকল্পনাগুলো পাস হবে।
কপ-২৬ এর আগে জি-২০ সম্মেলনে কিছু বিষয় নিয়ে তিনি হতাশ বলেও জানিয়েছেন বাইডেন।
বাইডেন বলেছেন, জি-২০ সম্মেলনে চীন ও রাশিয়া জলবায়ু বিষয়ে মূলত কোন কিছুই বলেননি। এটা খুবই হতাশাজনক।
মার্কিন-ইইউ ইস্পাত শুল্ক চুক্তি 'একটি নতুন বৈশ্বিক, টেকসই ইস্পাত ব্যবস্থার' সূচনা
এছাড়া জি-২০ এর সম্মেলনে মার্কিন-ইইউ ইস্পাত শুল্ক চুক্তির পরিবেশগত সুবিধার ওপর জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
জি-২০ তে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম শুল্কের ওপর ঘোষিত মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি একটি অর্থনৈতিক বিষয় ছিল। কিন্তু জলবায়ু বা কপ-২৬ সম্মেলনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন এটিকে পরিবেশ বিষয়ক করে তুলেছেন।
বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ট্রাম্প-যুগের শুল্ক প্রত্যাহার করছে। ইইউও তাঁর শুল্ক শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আগে বাইডেন এই চুক্তিতে অর্থনৈতিক সুবিধার কথা বললেও এখন এটি পরিবেশগত প্রভাবের ওপর জোর দিয়েছেন। এই চুক্তি ইস্পাত উৎপাদনে কার্বন উৎপাদনে কার্বন নির্গমন হ্রাস করবে এবং চীন থেকে 'খারাপ ইস্পাত' মার্কিন ও ইইউ এর বাজারে অ্যাকসেস সীমাবদ্ধ করবে।
ইস্পাত উৎপাদন বৈশ্বিক অর্থনীতির কার্বন-সম্পৃক্ত খাতগুলির মধ্যে একটি উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ একটি 'কার্বন ভিত্তিক ব্যবস্থা' করতে সম্মত হয়েছে।
ভন ডার লেয়েন বলেছেন, এই চুক্তি 'একটি নতুন বৈশ্বিক, টেকসই ইস্পাত ব্যবস্থার' সূচনা।
এই শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে পারে কপ-২৬
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন বা কপ-২৬ সম্মেলনে যোগ দিতে রাতেই নেতারা সেখানে গেছেন। সবাইকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন।
নিকোলা স্টার্জন বলেছেন, 'আলোচনার শীর্ষ টেবিলে' না থাকা সত্ত্বেও জলবায়ু সম্মেলনকে সফল করতে সহায়তা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
বিশ্ব নেতাদের স্বাগত জানিয়ে স্টার্জন বলেছেন, এই শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলন হতে পারে কপ-২৬।
স্টার্জন বলেন, সব বিশ্ব নেতারা এক রুমে থাকবে, সেখানে বিপর্যয়কর তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে সম্মত হতে হবে তাদের। যখন তারা গ্লাসগো ছেড়ে যাবে তখন অবশ্যই মানবতার ভবিষ্যতের জন্য আশার বার্তা নিয়ে দেশে ফিরবে।
এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাপ ধারণকারী গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষে রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, চীনের সাংহাই এ তালিকার শীর্ষে। সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্তকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি জানা গেছে। তথ্য প্রকাশ করেছে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল
৬ ঘণ্টা আগেবার্ষিক শত বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের শর্ত পূরণ হয়নি গত এক দশকেও। এর মধ্যেই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছে বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর পক্ষ থেকে।
১২ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ২৪৫। অন্যদিকে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ঘুরে ফিরে এই তিন দেশেরই বিভিন্ন
১ দিন আগেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
২ দিন আগে