বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খালামণি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ফেরদৌসী রহমান। আজ ৮০ বছরে পা রাখছেন ‘খালামণি’। তবে করোনার কারণে জন্মদিন উদ্যাপনের কোনো আয়োজন রাখেননি তিনি। ফেরদৌসী রহমান বলেন, ‘দেখতে দেখতে জীবনের এতটা বছর পেরিয়ে আজ ৮০–তে পা রাখছি। দেড় বছর হলো করোনার কারণে বাসা থেকেই বের হই না। ঘরে বসে পছন্দের শিল্পীদের গান শুনি। শাহনাজ রহমতুল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, কনকচাঁপা, শাকিলা, আলম আরা মিনু—এদের সবার কণ্ঠের গান ভালো লাগে।’
এ প্রজন্মের অনেকের গানই নিয়মিত শোনা হয়। তিনি বলেন, ‘বাপ্পা মজুমদার, ন্যানসি, কনারা ভালো করছে। তারপরও সবশেষে একটা কিন্তু থেকে যায়। এখনকার অনেকেই গানের ব্যাকরণ না জেনে গানের চর্চা করছে। গান আসলে সাধনার বিষয়। এর বিকল্প বা শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই।’
এরই মধ্যে করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এই শিল্পী। টিকা নেওয়ার জন্যই দুবার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। এ ছাড়া সারা দিন বাসাতেই সময় কাটান। বই পড়ছেন, বই লিখছেন, গান শুনছেন–এভাবেই কাটছে দিনরাত। আত্মজীবনী বের করার ইচ্ছে রয়েছে ফেরদৌসী রহমানের। কোচবিহার আর বলরামপুরে ফেলে আসা শৈশবের গল্প নিয়ে লিখছেন আত্মজীবনী। তিনি বলেন, ‘সেই ১৯৪৭ সালে ওপার থেকে এপারে পাড়ি জমানোর গল্প। বাবা আব্বাসউদদীনের কোলে বসে গান শোনার গল্প। গান শোনা আর গান গাওয়া শুরু করার গল্প। টিভি-রেডিও, দেশ-বিদেশে কত ঘটনাই তো আছে এই ছোট্ট জীবনে। আদ্যোপান্ত জীবনটা আমার তুলে আনার ইচ্ছা সেই বইয়ে।’
তবে টানা ঘরবন্দী সময়গুলো মোটেও উপভোগ করছেন না। তিনি বলেন, ‘সময় যে কীভাবে কাটছে, বলে বোঝাতে পারব না। দিনের পর দিন ঘরের মধ্যে থাকতে থাকতে একটু একঘেয়ে লাগছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই চলে গেলেন। কতজনের অসুস্থতা। এসব মনে হতেই, মনটা বিষন্ন হয়ে উঠছে।’
একনজরে ফেরদৌসী রহমান
জন্ম
২৮ জুন, ১৯৪১, পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে। বাবা শিল্পী আব্বাসউদদীন। বাবার কাছেই গানের হাতেখড়ি।
বিটিভি যাত্রা
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ফেরদৌসী রহমানের গান দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের পথচলা। সে বছরের ২৭ ডিসেম্বর ‘গান শেখার আসর’ নামে শুরু হয় একটি অনুষ্ঠান। পরবর্তী সময়ে ‘এসো গান শিখি’ নামে পরিচিতি পায় অনুষ্ঠানটি।
সংগীত পরিচালনা
প্রথম সংগীত পরিচালনা করেন রবীন ঘোষের সঙ্গে যৌথভাবে ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায়। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী সংগীত পরিচালক।
প্রথম গান
১৯৪৮ সালে ‘খেলাঘর’ অনুষ্ঠানে প্রথম রেডিওতে গান করেন।
১৯৬০ সালে ‘আসিয়া’ ছবিতে বাবা আব্বাসউদদীনের সুরে ‘ও মোর কালারে’ গান দিয়ে প্লেব্যাকে অভিষেক।
গানের সংখ্যা
তাঁর প্লেব্যাক করা সিনেমার সংখ্যা ২৫০–এর কাছাকাছি। ৩টি লং প্লে–সহ প্রায় ৫০০টি ডিস্ক রেকর্ড এবং দেড় ডজনের বেশি গানের ক্যাসেট বের হয়েছে তাঁর। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গান রেকর্ড করেছেন ফেরদৌসী রহমান।
ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খালামণি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ফেরদৌসী রহমান। আজ ৮০ বছরে পা রাখছেন ‘খালামণি’। তবে করোনার কারণে জন্মদিন উদ্যাপনের কোনো আয়োজন রাখেননি তিনি। ফেরদৌসী রহমান বলেন, ‘দেখতে দেখতে জীবনের এতটা বছর পেরিয়ে আজ ৮০–তে পা রাখছি। দেড় বছর হলো করোনার কারণে বাসা থেকেই বের হই না। ঘরে বসে পছন্দের শিল্পীদের গান শুনি। শাহনাজ রহমতুল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, কনকচাঁপা, শাকিলা, আলম আরা মিনু—এদের সবার কণ্ঠের গান ভালো লাগে।’
এ প্রজন্মের অনেকের গানই নিয়মিত শোনা হয়। তিনি বলেন, ‘বাপ্পা মজুমদার, ন্যানসি, কনারা ভালো করছে। তারপরও সবশেষে একটা কিন্তু থেকে যায়। এখনকার অনেকেই গানের ব্যাকরণ না জেনে গানের চর্চা করছে। গান আসলে সাধনার বিষয়। এর বিকল্প বা শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই।’
এরই মধ্যে করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এই শিল্পী। টিকা নেওয়ার জন্যই দুবার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। এ ছাড়া সারা দিন বাসাতেই সময় কাটান। বই পড়ছেন, বই লিখছেন, গান শুনছেন–এভাবেই কাটছে দিনরাত। আত্মজীবনী বের করার ইচ্ছে রয়েছে ফেরদৌসী রহমানের। কোচবিহার আর বলরামপুরে ফেলে আসা শৈশবের গল্প নিয়ে লিখছেন আত্মজীবনী। তিনি বলেন, ‘সেই ১৯৪৭ সালে ওপার থেকে এপারে পাড়ি জমানোর গল্প। বাবা আব্বাসউদদীনের কোলে বসে গান শোনার গল্প। গান শোনা আর গান গাওয়া শুরু করার গল্প। টিভি-রেডিও, দেশ-বিদেশে কত ঘটনাই তো আছে এই ছোট্ট জীবনে। আদ্যোপান্ত জীবনটা আমার তুলে আনার ইচ্ছা সেই বইয়ে।’
তবে টানা ঘরবন্দী সময়গুলো মোটেও উপভোগ করছেন না। তিনি বলেন, ‘সময় যে কীভাবে কাটছে, বলে বোঝাতে পারব না। দিনের পর দিন ঘরের মধ্যে থাকতে থাকতে একটু একঘেয়ে লাগছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই চলে গেলেন। কতজনের অসুস্থতা। এসব মনে হতেই, মনটা বিষন্ন হয়ে উঠছে।’
একনজরে ফেরদৌসী রহমান
জন্ম
২৮ জুন, ১৯৪১, পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে। বাবা শিল্পী আব্বাসউদদীন। বাবার কাছেই গানের হাতেখড়ি।
বিটিভি যাত্রা
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ফেরদৌসী রহমানের গান দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের পথচলা। সে বছরের ২৭ ডিসেম্বর ‘গান শেখার আসর’ নামে শুরু হয় একটি অনুষ্ঠান। পরবর্তী সময়ে ‘এসো গান শিখি’ নামে পরিচিতি পায় অনুষ্ঠানটি।
সংগীত পরিচালনা
প্রথম সংগীত পরিচালনা করেন রবীন ঘোষের সঙ্গে যৌথভাবে ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায়। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী সংগীত পরিচালক।
প্রথম গান
১৯৪৮ সালে ‘খেলাঘর’ অনুষ্ঠানে প্রথম রেডিওতে গান করেন।
১৯৬০ সালে ‘আসিয়া’ ছবিতে বাবা আব্বাসউদদীনের সুরে ‘ও মোর কালারে’ গান দিয়ে প্লেব্যাকে অভিষেক।
গানের সংখ্যা
তাঁর প্লেব্যাক করা সিনেমার সংখ্যা ২৫০–এর কাছাকাছি। ৩টি লং প্লে–সহ প্রায় ৫০০টি ডিস্ক রেকর্ড এবং দেড় ডজনের বেশি গানের ক্যাসেট বের হয়েছে তাঁর। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গান রেকর্ড করেছেন ফেরদৌসী রহমান।
শোরুম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসেন পরীমনি ও ডি এ তায়েব। এ সময়ও স্টেজের সামনে দর্শকদের জড়ো হতে বাধা দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কয়েকজনের গায়ে হাত তোলা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
১ ঘণ্টা আগেঅক্ষয়ের স্পষ্ট জবাব, ‘আমাদের মধ্যে একতা নেই। শ্রদ্ধাবোধেরও যথেষ্ট অভাব।’ অক্ষয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অজয় বললেন, ‘দক্ষিণী তারকারা যেভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ান তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। বলিউডে এই বিষয়টির অভাব রয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে‘ভূতপরী’ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার (ইফি) ৫৫তম আসরে থাকবেন জয়া আহসান। একই উৎসবে দেখানো হবে মেহজাবীন অভিনীত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে হবে এ আয়োজন। কার্ল মার্ক্সের জীবন ও মতাদর্শের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ নাটকে।
৬ ঘণ্টা আগে