খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
সারাটা সন্ধ্যা প্রবীণ আঙুলগুলো খেলা করে গেল। সেই সন্ধ্যায়, ওই আঙুলের নিচে ভি বালসারার পিয়ানোটা নয়, ছিল কিবোর্ড। সারাটা সন্ধ্যা সেই কিবোর্ডে আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে কবীর সুমন কী মমতায়, কী গভীর প্রার্থনায় ও ধ্যানে, বুনে গেলেন সুর! ছড়িয়ে গেলেন মায়া ও মোহ! প্রেম ও প্রশ্রয়!
শহরে সেদিন ছিল ঘোষিত ছুটির দিন। সুমনের এবারের ঢাকা সফরেরও শেষ দিন। ২১ অক্টোবরের সন্ধ্যেটা তাই নামছিল শিরশিরে হেমন্তের পাতলা চাদর ছুঁয়ে, ধীরে। সেই সন্ধ্যায় যাঁরা জড়ো হয়েছিলেন সুমনের মাহফিলে, তাঁরা জানেন। তাঁরা দেখেছেন আশ্চর্য সেই সুরের সফর।
তাঁরা শুনেছেন, কীভাবে সুমন কথায় ও গানে, হাসি ও উচ্চারণে দোলাতে দোলাতে হঠাৎ বসে জিরোন কিছুক্ষণ, কাঠজুড়ি নদীটির তীরে। যেহেতু নদীর কথা এলে আসে শৈশব, তাই সুমন শোনান গাঙর নদীর গল্প, যার জলে একদা ভেসেছিল বেহুলার ভেলা। যেখানে লেগে আছে সুমনের জন্মদাগ। অথবা ‘কারমেন’ সিনেমার সেই উত্তাল প্রেম, মেয়েটিকে দেখে ছেলেটির চোখের হঠাৎ বিস্ফারণ, যেখান থেকে সুমন পেড়ে এনেছেন আস্ত এক গান ‘এক মুহূর্তে ফিরিয়ে দিলে, সহজ চোখে তাকিয়ে থাকা’।
যেন উপকথার প্রাচীন মলাট উল্টিয়ে চলেছেন কবীর সুমন। আর তা থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসছে গল্প। ঢুকে পড়ছে গানের ভাঁজে ভাঁজে। সে গল্প রূপকথার চেয়ে ঝলমলে, সে গল্প বাস্তবের চেয়ে ভয়াবহ।
সেদিন শুক্রবার যেন উৎসব নেমেছিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ একা, কেউ দলে-বলে-যুগলে এসে মিশেছিলেন অডিটোরিয়াম ভর্তি ভিড়ের মিছিলে। তাঁরা কেউ হাতে হাত রেখে, কেউ সঙ্গীর কাঁধে রেখে মাথা, শুনছিলেন সুমনকে। গাইছিলেন সমস্বরে। ‘আজ জানলার কাছে ডেকে গেছে এক পাখির মতোন সকাল’ পেরিয়ে সুমন যখন ধরলেন ‘খোদার কসম জান’; সেই ভিড়ের মিছিল, সেই সমস্বর যেন হাহাকার করে উঠলো। যেন এতদিন, এভাবে কেউ বলেনি তাঁদের কথা! কেউ বলেনি অত সাহস করে অত দ্বিধাহীন স্বরে- ‘তোমায় খুঁজেছি আমি উজবুক বাঁচার নেশায়’।
এরপর ‘জাতিস্মর’ পেরিয়ে, ‘বিচলিত এই সন্ধ্যাটা’ সরিয়ে সুমন খুঁজলেন নূরকে। আসাদুজ্জামান নূর। দীর্ঘদিনের বন্ধু তাঁরা। গানের বন্ধু। জীবনকে খোঁজার সংগ্রামের বন্ধু। এবারের কবীর সুমনের ঢাকা সফরের তিন দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিটিতেই ছিলেন নূর। ২০১১-তে সুমন যখন পুরান ঢাকার অলিগলি পেরিয়ে গিয়েছিলেন আজম খানের সাক্ষাৎকার নিতে, সেদিনও ছিলেন সঙ্গে। এদিন তাই গানের সঙ্গে এল আসাদুজ্জামান নূরের অনবদ্য আবৃত্তির প্রসঙ্গও। ফোয়াদ নাসের বাবুর নামও এল। কণ্ঠে যতটা সম্ভব বিনয় ঢেলে সুমন বললেন, ‘আমি খুব কুণ্ঠার সঙ্গে বাজাচ্ছি। কারণ দর্শকদের মধ্যে রয়েছেন আমার চেয়ে ঢের বড় কিবোর্ড শিল্পী, আমাদের উপমহাদেশের একজন প্রধান কিবোর্ড শিল্পী ফোয়াদ নাসের।’ তখন ঈষৎ অন্ধকারে, দর্শকসারিতে বসে থাকা ফোয়াদ নাসেরের মনে-মাথায় কী চলছিল, সেটা অনুমান করা খুব শক্ত নিশ্চয়ই।
এই যে সপ্তাহখানিক ধরে কবীর সুমন ঢাকায় আছেন, এটা তো শুধু বাংলাদেশের সুমনভক্তদের জন্য নয়, সুমনের নিজের জন্য, তাঁর পরিবারের জন্যও বিশেষ উপলক্ষ। সুমনের এই তিন দিনের অনুষ্ঠান দেখে, যাঁরা, যত মাধ্যমে, যতভাবে লিখেছেন তাঁর গান নিয়ে, তাঁকে নিয়ে; সে সব পড়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত সুমন ও পশ্চিমবঙ্গে থাকা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন কবীর সুমন, ‘আমার বাড়ির লোকেরা আজ কদিন ধরে যে কী আনন্দে আছেন! আপনারা সংবাদমাধ্যমের লোকেরা ভাবতেও পারবেন না। যারা আমার দেখাশোনা করেন, অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যান, অথচ তাদের সঙ্গে আমার সামাজিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কও না। এরা সকলেই বলতে পারেন উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আমার যত্ন নিচ্ছেন। আপনাদের এখানে যা যা লেখা হচ্ছে, প্রত্যেকেই গোগ্রাসে পড়ছেন এবং কান্নাকাটি করছেন। এভাবেও তাহলে মানুষটার সম্বন্ধে বলা যায়! আপনারা নিজেরাও হয়তো জানেন না, আমার ভেতরে কী হচ্ছে! আমি কতটা মুসলমান তাই নিয়ে পশ্চিম বাংলায় আলোচনা হয়। আমি কতটা নকশাল তাই নিয়ে হয়। আমি গান-বাজনা করি কিনা, তা নিয়ে আলোচনা আর হয় না।’
এতক্ষণ একাই বাজাচ্ছিলেন সুমন। একই মঞ্চের সবটুকু আলো জড়ো করে চারপাশে, গাইছিলেন নিত্য যাপনের গান। ‘চেনা দুঃখ চেনা সুখ’ শুরু করে, একটা লাইন গেয়ে, হঠাৎ থেমে, অল্পক্ষণের জন্য ডেকে নিলেন সফরসঙ্গীদের। মঞ্চে এলেন ধ্রুব বসু রায়, ইন্দ্রজিত প্রধান। ‘চেনা সিগারেট খাওয়া, চেনা পথে হেঁটে যাওয়া, চেনা ছবি স্বপ্নের লাশ’ পেরিয়ে সুমন যখন ধরলেন ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’, হাজার করতালির কোলাজ আর তবলা-গিটারের সঙ্গত পেয়ে, সে আহ্বান আরও উদাত্ত ভঙ্গি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল অডিটোরিয়ামের কোনে কোনে।
দর্শকসারির প্রতি কোন থেকে সুমনের দিকে উড়ে উড়ে যাচ্ছিল গানের অনুরোধ। সে সবের অনেকগুলোই মুঠোয় বন্দি করে, তাঁর আশ্চর্য জাদুকরী স্বর ও সুরের ভেতর দিয়ে ফেরত পাঠালেন। গানের তালিকা তাই লম্বা হতে থাকল। ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, ‘আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জে’, ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’, ‘জানি না কে দিয়েছিল পলাশকে তার ডাকনাম’, ‘কে তৈরি করেছিল তাজমহল সে কি শাজাহান’, ‘আমি যাকে ভালোবাসি তার গল্প শোনাব’, ‘পেটকাঠি চাঁদিয়াল’, ‘তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান’, ‘বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি’, ‘খাতা দেখে গান গেও না’, ‘গড়িয়াহাটার মোড়’ এবং সবশেষে ‘তোমাকে চাই’ গেয়ে উঠে দাঁড়ালেন কবীর সুমন, যেভাবে ধ্বংসস্তুপ পায়ে ঠেলে উঠে দাঁড়ায় নতুন সবুজ।
তাঁর প্রবীণ আঙুল তখন ছড়িয়ে দিচ্ছে উড়ন্ত চুমুর আশীর্বাদ। গোটা অডিটোরিয়াম দাঁড়িয়ে, একটানা দীর্ঘক্ষণ করতালি দিয়ে, করছে কৃতজ্ঞতার উচ্চারণ। আবার বাংলাদেশে আসার, গাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়ে মৃদু পায়ে ব্যাকস্টেজের পথে মিলিয়ে গেলেন কবীর সুমন। বাইরে, রমনার শান্ত বাতাসে তখনও মিশে আছে সুমনের গান, সুমনের সুর।
সারাটা সন্ধ্যা প্রবীণ আঙুলগুলো খেলা করে গেল। সেই সন্ধ্যায়, ওই আঙুলের নিচে ভি বালসারার পিয়ানোটা নয়, ছিল কিবোর্ড। সারাটা সন্ধ্যা সেই কিবোর্ডে আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে কবীর সুমন কী মমতায়, কী গভীর প্রার্থনায় ও ধ্যানে, বুনে গেলেন সুর! ছড়িয়ে গেলেন মায়া ও মোহ! প্রেম ও প্রশ্রয়!
শহরে সেদিন ছিল ঘোষিত ছুটির দিন। সুমনের এবারের ঢাকা সফরেরও শেষ দিন। ২১ অক্টোবরের সন্ধ্যেটা তাই নামছিল শিরশিরে হেমন্তের পাতলা চাদর ছুঁয়ে, ধীরে। সেই সন্ধ্যায় যাঁরা জড়ো হয়েছিলেন সুমনের মাহফিলে, তাঁরা জানেন। তাঁরা দেখেছেন আশ্চর্য সেই সুরের সফর।
তাঁরা শুনেছেন, কীভাবে সুমন কথায় ও গানে, হাসি ও উচ্চারণে দোলাতে দোলাতে হঠাৎ বসে জিরোন কিছুক্ষণ, কাঠজুড়ি নদীটির তীরে। যেহেতু নদীর কথা এলে আসে শৈশব, তাই সুমন শোনান গাঙর নদীর গল্প, যার জলে একদা ভেসেছিল বেহুলার ভেলা। যেখানে লেগে আছে সুমনের জন্মদাগ। অথবা ‘কারমেন’ সিনেমার সেই উত্তাল প্রেম, মেয়েটিকে দেখে ছেলেটির চোখের হঠাৎ বিস্ফারণ, যেখান থেকে সুমন পেড়ে এনেছেন আস্ত এক গান ‘এক মুহূর্তে ফিরিয়ে দিলে, সহজ চোখে তাকিয়ে থাকা’।
যেন উপকথার প্রাচীন মলাট উল্টিয়ে চলেছেন কবীর সুমন। আর তা থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসছে গল্প। ঢুকে পড়ছে গানের ভাঁজে ভাঁজে। সে গল্প রূপকথার চেয়ে ঝলমলে, সে গল্প বাস্তবের চেয়ে ভয়াবহ।
সেদিন শুক্রবার যেন উৎসব নেমেছিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ একা, কেউ দলে-বলে-যুগলে এসে মিশেছিলেন অডিটোরিয়াম ভর্তি ভিড়ের মিছিলে। তাঁরা কেউ হাতে হাত রেখে, কেউ সঙ্গীর কাঁধে রেখে মাথা, শুনছিলেন সুমনকে। গাইছিলেন সমস্বরে। ‘আজ জানলার কাছে ডেকে গেছে এক পাখির মতোন সকাল’ পেরিয়ে সুমন যখন ধরলেন ‘খোদার কসম জান’; সেই ভিড়ের মিছিল, সেই সমস্বর যেন হাহাকার করে উঠলো। যেন এতদিন, এভাবে কেউ বলেনি তাঁদের কথা! কেউ বলেনি অত সাহস করে অত দ্বিধাহীন স্বরে- ‘তোমায় খুঁজেছি আমি উজবুক বাঁচার নেশায়’।
এরপর ‘জাতিস্মর’ পেরিয়ে, ‘বিচলিত এই সন্ধ্যাটা’ সরিয়ে সুমন খুঁজলেন নূরকে। আসাদুজ্জামান নূর। দীর্ঘদিনের বন্ধু তাঁরা। গানের বন্ধু। জীবনকে খোঁজার সংগ্রামের বন্ধু। এবারের কবীর সুমনের ঢাকা সফরের তিন দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিটিতেই ছিলেন নূর। ২০১১-তে সুমন যখন পুরান ঢাকার অলিগলি পেরিয়ে গিয়েছিলেন আজম খানের সাক্ষাৎকার নিতে, সেদিনও ছিলেন সঙ্গে। এদিন তাই গানের সঙ্গে এল আসাদুজ্জামান নূরের অনবদ্য আবৃত্তির প্রসঙ্গও। ফোয়াদ নাসের বাবুর নামও এল। কণ্ঠে যতটা সম্ভব বিনয় ঢেলে সুমন বললেন, ‘আমি খুব কুণ্ঠার সঙ্গে বাজাচ্ছি। কারণ দর্শকদের মধ্যে রয়েছেন আমার চেয়ে ঢের বড় কিবোর্ড শিল্পী, আমাদের উপমহাদেশের একজন প্রধান কিবোর্ড শিল্পী ফোয়াদ নাসের।’ তখন ঈষৎ অন্ধকারে, দর্শকসারিতে বসে থাকা ফোয়াদ নাসেরের মনে-মাথায় কী চলছিল, সেটা অনুমান করা খুব শক্ত নিশ্চয়ই।
এই যে সপ্তাহখানিক ধরে কবীর সুমন ঢাকায় আছেন, এটা তো শুধু বাংলাদেশের সুমনভক্তদের জন্য নয়, সুমনের নিজের জন্য, তাঁর পরিবারের জন্যও বিশেষ উপলক্ষ। সুমনের এই তিন দিনের অনুষ্ঠান দেখে, যাঁরা, যত মাধ্যমে, যতভাবে লিখেছেন তাঁর গান নিয়ে, তাঁকে নিয়ে; সে সব পড়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত সুমন ও পশ্চিমবঙ্গে থাকা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন কবীর সুমন, ‘আমার বাড়ির লোকেরা আজ কদিন ধরে যে কী আনন্দে আছেন! আপনারা সংবাদমাধ্যমের লোকেরা ভাবতেও পারবেন না। যারা আমার দেখাশোনা করেন, অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যান, অথচ তাদের সঙ্গে আমার সামাজিক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কও না। এরা সকলেই বলতে পারেন উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আমার যত্ন নিচ্ছেন। আপনাদের এখানে যা যা লেখা হচ্ছে, প্রত্যেকেই গোগ্রাসে পড়ছেন এবং কান্নাকাটি করছেন। এভাবেও তাহলে মানুষটার সম্বন্ধে বলা যায়! আপনারা নিজেরাও হয়তো জানেন না, আমার ভেতরে কী হচ্ছে! আমি কতটা মুসলমান তাই নিয়ে পশ্চিম বাংলায় আলোচনা হয়। আমি কতটা নকশাল তাই নিয়ে হয়। আমি গান-বাজনা করি কিনা, তা নিয়ে আলোচনা আর হয় না।’
এতক্ষণ একাই বাজাচ্ছিলেন সুমন। একই মঞ্চের সবটুকু আলো জড়ো করে চারপাশে, গাইছিলেন নিত্য যাপনের গান। ‘চেনা দুঃখ চেনা সুখ’ শুরু করে, একটা লাইন গেয়ে, হঠাৎ থেমে, অল্পক্ষণের জন্য ডেকে নিলেন সফরসঙ্গীদের। মঞ্চে এলেন ধ্রুব বসু রায়, ইন্দ্রজিত প্রধান। ‘চেনা সিগারেট খাওয়া, চেনা পথে হেঁটে যাওয়া, চেনা ছবি স্বপ্নের লাশ’ পেরিয়ে সুমন যখন ধরলেন ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’, হাজার করতালির কোলাজ আর তবলা-গিটারের সঙ্গত পেয়ে, সে আহ্বান আরও উদাত্ত ভঙ্গি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল অডিটোরিয়ামের কোনে কোনে।
দর্শকসারির প্রতি কোন থেকে সুমনের দিকে উড়ে উড়ে যাচ্ছিল গানের অনুরোধ। সে সবের অনেকগুলোই মুঠোয় বন্দি করে, তাঁর আশ্চর্য জাদুকরী স্বর ও সুরের ভেতর দিয়ে ফেরত পাঠালেন। গানের তালিকা তাই লম্বা হতে থাকল। ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, ‘আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জে’, ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’, ‘জানি না কে দিয়েছিল পলাশকে তার ডাকনাম’, ‘কে তৈরি করেছিল তাজমহল সে কি শাজাহান’, ‘আমি যাকে ভালোবাসি তার গল্প শোনাব’, ‘পেটকাঠি চাঁদিয়াল’, ‘তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান’, ‘বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি’, ‘খাতা দেখে গান গেও না’, ‘গড়িয়াহাটার মোড়’ এবং সবশেষে ‘তোমাকে চাই’ গেয়ে উঠে দাঁড়ালেন কবীর সুমন, যেভাবে ধ্বংসস্তুপ পায়ে ঠেলে উঠে দাঁড়ায় নতুন সবুজ।
তাঁর প্রবীণ আঙুল তখন ছড়িয়ে দিচ্ছে উড়ন্ত চুমুর আশীর্বাদ। গোটা অডিটোরিয়াম দাঁড়িয়ে, একটানা দীর্ঘক্ষণ করতালি দিয়ে, করছে কৃতজ্ঞতার উচ্চারণ। আবার বাংলাদেশে আসার, গাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়ে মৃদু পায়ে ব্যাকস্টেজের পথে মিলিয়ে গেলেন কবীর সুমন। বাইরে, রমনার শান্ত বাতাসে তখনও মিশে আছে সুমনের গান, সুমনের সুর।
‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেইরি টেল’, দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নয়নতারাকে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। আগামীকাল ১৮ নভেম্বর তাঁর ৪০ তম জন্মদিনে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। কিন্তু মুক্তির ঠিক আগে আগে নয়নতারা এ তথ্যচিত্র নিয়ে অন্যতম জনপ্রিয় তারকা ও প্রযোজক ধানুশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন দ
১ ঘণ্টা আগেউপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। আজও গানের সঙ্গে কাটে তাঁর দিনরাত। সময় সুযোগ হলে নিজে যেমন গাইছেন, তেমনি সুর করছেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য।
৬ ঘণ্টা আগে২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ছিল দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের ১২৭তম প্রদর্শনী। প্রদর্শনী শুরুর আগেই দলটির সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে শিল্পকলার সামনে বিক্ষোভ করেন একদল লোক। পরে একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ গিয়ে তাঁদের শান্ত করলে প্রায় আ
৬ ঘণ্টা আগেমিসরের ৪৫তম কায়রো চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হলো বাংলাদেশের সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’র। শুক্রবার প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা শঙ্খ দাসগুপ্ত, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, প্রযোজক আদনান আল রাজীব ও হাবিবুর রহমান তারেক।
৬ ঘণ্টা আগে