খায়রুল বাসার নির্ঝর
ঢাকা : কয়েক বছর হলো উত্তরায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছেন মোশাররফ করিম। সুনসান এক টুকরো ব্যালকনি সেই ফ্ল্যাটের সামনের দিকটায়। আশপাশে সদর্পে আরও অনেক অট্টালিকা আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত। তবু কোনো রহস্যময়তায় সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যালকনিতে হামাগুড়ি দেয় সকালের নরম স্বচ্ছ রোদ। ঘোষণা দিয়ে যায় ফুরফুরে পবিত্র একটি দিনের। কিন্তু সেই বারতা কি মোশাররফ করিমের কান পর্যন্ত পৌঁছায়?
সম্ভব কি হয় সকালের সেই রোদ গায়ে মাখার? মনে হয় না। গত রাতেও তিনি বাসায় ফিরেছেন ভোররাতে। শুটিং শেষ করেছেন রাত আড়াইটায়; বাসায় ফিরতে ফিরতে ভোর ৫টা। একটু ঘুমিয়েই সকাল ১০টায় উঠতে হয়েছে অন্য একটি সিরিয়ালের শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য। চোখ দুটো তাই পাকা মরিচের মতো টকটকে লাল। বোঝাই যাচ্ছে, আরও অনেকক্ষণ ঘুমোতে চান তিনি। কিন্তু তা সম্ভব নয়।
কারণ অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাশে পাশে একজন সর্বক্ষণ—জুঁই; অর্ধাঙ্গিনী অথবা পূর্ণাঙ্গিনী্লা—চলে দুটোই। শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য মোশাররফকে টেনে তুলেছেন ঘুম থেকে। এ তো গেল এক দিনকার চিত্র—৩০ দিনের ১ দিন অথবা ৩৬৫ দিনের ১ দিন। এভাবেই মাস অথবা বছরের সব দিনেই সরব জুঁই।
সংসারের খুঁটিনাটি, আত্মীয়স্বজন, পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মোশাররফ করিমের অভিনয়ের সমালোচনা—সব ক্ষেত্রেই দুরন্ত বিচরণ তাঁর। শেষ কথাটি কি একটু খটমট ঠেকল? হ্যাঁ, মোশাররফ করিমের অভিনয়ের খুঁত বের করার স্বঘোষিত মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন জুঁই। ‘মনে হয়, আমিই মোশাররফের সবচেয়ে বড় সমালোচক। যদিও ওর অভিনয়ে খুঁত থাকে না বললেই চলে; তবু কিছু কিছু বিষয় খোঁজার চেষ্টা করি, যেটা হলে হয়তো ওই চরিত্রটা আরও ভালো করা যেত।’ বলেন জুঁই।
জুঁইয়ের নিপুণতার আরেকটি প্রমাণ মিলল তাঁদের বাসার ছোট্ট ড্রয়িংরুমের এক পাশে থরে থরে সাজানো বইয়ের তাক দেখে। সমৃদ্ধ কালেকশন। ক্যামেরা-কৌশল থেকে শুরু করে হেলাল হাফিজের কবিতা—সবই উপস্থিত। দুজনই বইপ্রিয়। মোশাররফ তো শুটিংয়ের বিরতিতেও বই নিয়ে বসে যান প্রায়ই।
মোশাররফের ভরা সংসার। ভাই, ভাতিজি, বোনের মেয়ে—একসঙ্গেই থাকেন তাঁরা। একান্নবর্তী সংসার। তবে পরিবারে একদমই সময় দিতে পারেন না মোশাররফ করিম। অবসর বলতে দুই ঈদ। এই সময়টায় আত্মীয়স্বজনের বাসায় ঘুরে ঘুরে নিজেদের মতো করে কাটানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কোনো কারণে শুটিং বাতিল হলে সোজা বাসায় চলে আসেন মোশাররফ। অথবা জুঁইকে ডাকেন বন্ধুদের আড্ডায়। মাঝেমধ্যে সেটে উপস্থিত থাকেন জুঁই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি। ক্যামেরার পেছনে বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন, বৃত্তের বাইরে নেই অভিনয়টাও।
ক্যামেরার সামনে তিনি এখন আর দশজন পেশাদার অভিনয়শিল্পীর মতোই স্বাভাবিক। দিন-রাত পরিবর্তনের সঙ্গে বাড়ছে অভিনীত নাটকের সংখ্যা। মোশাররফের নাটকে সহশিল্পী হিসেবে জুঁইয়ের দেখা পাওয়া যায় প্রায়ই। দুজনের এই একসঙ্গে এক পথে চলার রহস্যটা কী? জুঁই বললেন, ‘মোশাররফ যে সেটে কাজ করে, সেখানকার পরিবেশটা আমার কাছে পরিবারের মতোই। আনন্দ করে কেটে যায় পুরো সময়টা। মনেই হয় না কাজ করছি। ইউনিটের সবাই পরিচিত থাকে, যে কারণে আমার প্রতি আন্তরিক থাকে সবাই। এ ছাড়া আরও একটা কারণ আছে। সারা বছর ওকে কাছে পাই খুব কম। এক সেটে কাজ করার ফলে পাশাপাশি থাকতে পারি। অভিনয়টা যেহেতু ওকে দেখেই শিখেছি, তাই একসঙ্গে থাকলে মনে সাহস পাই।’
মোশাররফ করিম ইদানীং কাজের ক্ষেত্রে আরও বেশি সাবধানী হয়েছেন। কলকাতার ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’ সিনেমায় অভিনয়ের পর সেখানেও তাঁর নিজস্ব অবস্থান তৈরি হয়েছে। ঘোষণা এসেছে একই নির্মাতার পরের সিনেমায়ও থাকবেন মোশাররফ।
ঢাকা : কয়েক বছর হলো উত্তরায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছেন মোশাররফ করিম। সুনসান এক টুকরো ব্যালকনি সেই ফ্ল্যাটের সামনের দিকটায়। আশপাশে সদর্পে আরও অনেক অট্টালিকা আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত। তবু কোনো রহস্যময়তায় সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যালকনিতে হামাগুড়ি দেয় সকালের নরম স্বচ্ছ রোদ। ঘোষণা দিয়ে যায় ফুরফুরে পবিত্র একটি দিনের। কিন্তু সেই বারতা কি মোশাররফ করিমের কান পর্যন্ত পৌঁছায়?
সম্ভব কি হয় সকালের সেই রোদ গায়ে মাখার? মনে হয় না। গত রাতেও তিনি বাসায় ফিরেছেন ভোররাতে। শুটিং শেষ করেছেন রাত আড়াইটায়; বাসায় ফিরতে ফিরতে ভোর ৫টা। একটু ঘুমিয়েই সকাল ১০টায় উঠতে হয়েছে অন্য একটি সিরিয়ালের শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য। চোখ দুটো তাই পাকা মরিচের মতো টকটকে লাল। বোঝাই যাচ্ছে, আরও অনেকক্ষণ ঘুমোতে চান তিনি। কিন্তু তা সম্ভব নয়।
কারণ অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাশে পাশে একজন সর্বক্ষণ—জুঁই; অর্ধাঙ্গিনী অথবা পূর্ণাঙ্গিনী্লা—চলে দুটোই। শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য মোশাররফকে টেনে তুলেছেন ঘুম থেকে। এ তো গেল এক দিনকার চিত্র—৩০ দিনের ১ দিন অথবা ৩৬৫ দিনের ১ দিন। এভাবেই মাস অথবা বছরের সব দিনেই সরব জুঁই।
সংসারের খুঁটিনাটি, আত্মীয়স্বজন, পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মোশাররফ করিমের অভিনয়ের সমালোচনা—সব ক্ষেত্রেই দুরন্ত বিচরণ তাঁর। শেষ কথাটি কি একটু খটমট ঠেকল? হ্যাঁ, মোশাররফ করিমের অভিনয়ের খুঁত বের করার স্বঘোষিত মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন জুঁই। ‘মনে হয়, আমিই মোশাররফের সবচেয়ে বড় সমালোচক। যদিও ওর অভিনয়ে খুঁত থাকে না বললেই চলে; তবু কিছু কিছু বিষয় খোঁজার চেষ্টা করি, যেটা হলে হয়তো ওই চরিত্রটা আরও ভালো করা যেত।’ বলেন জুঁই।
জুঁইয়ের নিপুণতার আরেকটি প্রমাণ মিলল তাঁদের বাসার ছোট্ট ড্রয়িংরুমের এক পাশে থরে থরে সাজানো বইয়ের তাক দেখে। সমৃদ্ধ কালেকশন। ক্যামেরা-কৌশল থেকে শুরু করে হেলাল হাফিজের কবিতা—সবই উপস্থিত। দুজনই বইপ্রিয়। মোশাররফ তো শুটিংয়ের বিরতিতেও বই নিয়ে বসে যান প্রায়ই।
মোশাররফের ভরা সংসার। ভাই, ভাতিজি, বোনের মেয়ে—একসঙ্গেই থাকেন তাঁরা। একান্নবর্তী সংসার। তবে পরিবারে একদমই সময় দিতে পারেন না মোশাররফ করিম। অবসর বলতে দুই ঈদ। এই সময়টায় আত্মীয়স্বজনের বাসায় ঘুরে ঘুরে নিজেদের মতো করে কাটানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কোনো কারণে শুটিং বাতিল হলে সোজা বাসায় চলে আসেন মোশাররফ। অথবা জুঁইকে ডাকেন বন্ধুদের আড্ডায়। মাঝেমধ্যে সেটে উপস্থিত থাকেন জুঁই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি। ক্যামেরার পেছনে বেশ কিছুদিন কাজ করেছেন, বৃত্তের বাইরে নেই অভিনয়টাও।
ক্যামেরার সামনে তিনি এখন আর দশজন পেশাদার অভিনয়শিল্পীর মতোই স্বাভাবিক। দিন-রাত পরিবর্তনের সঙ্গে বাড়ছে অভিনীত নাটকের সংখ্যা। মোশাররফের নাটকে সহশিল্পী হিসেবে জুঁইয়ের দেখা পাওয়া যায় প্রায়ই। দুজনের এই একসঙ্গে এক পথে চলার রহস্যটা কী? জুঁই বললেন, ‘মোশাররফ যে সেটে কাজ করে, সেখানকার পরিবেশটা আমার কাছে পরিবারের মতোই। আনন্দ করে কেটে যায় পুরো সময়টা। মনেই হয় না কাজ করছি। ইউনিটের সবাই পরিচিত থাকে, যে কারণে আমার প্রতি আন্তরিক থাকে সবাই। এ ছাড়া আরও একটা কারণ আছে। সারা বছর ওকে কাছে পাই খুব কম। এক সেটে কাজ করার ফলে পাশাপাশি থাকতে পারি। অভিনয়টা যেহেতু ওকে দেখেই শিখেছি, তাই একসঙ্গে থাকলে মনে সাহস পাই।’
মোশাররফ করিম ইদানীং কাজের ক্ষেত্রে আরও বেশি সাবধানী হয়েছেন। কলকাতার ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’ সিনেমায় অভিনয়ের পর সেখানেও তাঁর নিজস্ব অবস্থান তৈরি হয়েছে। ঘোষণা এসেছে একই নির্মাতার পরের সিনেমায়ও থাকবেন মোশাররফ।
শোরুম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসেন পরীমনি ও ডি এ তায়েব। এ সময়ও স্টেজের সামনে দর্শকদের জড়ো হতে বাধা দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কয়েকজনের গায়ে হাত তোলা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
১ ঘণ্টা আগেঅক্ষয়ের স্পষ্ট জবাব, ‘আমাদের মধ্যে একতা নেই। শ্রদ্ধাবোধেরও যথেষ্ট অভাব।’ অক্ষয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অজয় বললেন, ‘দক্ষিণী তারকারা যেভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ান তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। বলিউডে এই বিষয়টির অভাব রয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে‘ভূতপরী’ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার (ইফি) ৫৫তম আসরে থাকবেন জয়া আহসান। একই উৎসবে দেখানো হবে মেহজাবীন অভিনীত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে হবে এ আয়োজন। কার্ল মার্ক্সের জীবন ও মতাদর্শের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ নাটকে।
৬ ঘণ্টা আগে