খায়রুল বাসার নির্ঝর
টিভি নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনের নিয়মিত মুখ ইন্তেখাব দিনার। চরকির ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজে অভিনয় করে নতুন করে আলোচনায় তিনি। সিরিজে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকের কথোপকথনে তিনি। বেশ প্রশংসিত হয়েছে ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজটি। অনলাইন-অফলাইনে শোনা যাচ্ছে ইন্তেখাব দিনারের প্রশংসা।
কীভাবে যুক্ত হলেন এই সিরিজে?
ইন্তেখাব দিনার: সিরিজের পরিচালক রবিউল আলম রবি আমাকে একদিন ফোন করল। জানাল, সিরিজের ‘দ্বিখণ্ডিত’ গল্পে তারা আমাকে চাইছে। শিবব্রত বর্মনের লেখা। গল্পটা পাঠাল। গল্পটা পড়ে কনফিউজড হয়ে যাই। বললাম, এটা কীভাবে সম্ভব? একটা লোক ক্রমাগত বকবক করেই যাচ্ছে। দর্শক তো বিরক্ত হবে! রবি বলল, আমার ওপর ভরসা রাখেন। বোরিং লাগবে না। আমি বললাম, আমার কাছে অসম্ভবই মনে হচ্ছে। যখন চিত্রনাট্য পাঠাল, পড়ে আমি খুবই মুগ্ধ। যেভাবে সে সাজিয়েছে পুরো বিষয়টি, খুবই দারুণ।
‘দ্বিখণ্ডিত’ গল্পে আপনার সংলাপ বেশ দীর্ঘ। কোনো চ্যালেঞ্জ বা অসুবিধায় পড়েছেন এত বড় সংলাপ বলতে গিয়ে?
ইন্তেখাব দিনার: রবি জানাল, আমার প্রতিটি সংলাপ শুটিং করবে এক শটে। এত বড় সংলাপ এক শটে বলাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, যেহেতু প্রচুর সংলাপ এবং এগুলো সাধারণ সংলাপের মতো না। অনেক তথ্য-উপাত্ত আছে। ওটা ইম্প্রোভাইজ করা বা নিজের মতো বলার কোনো সুযোগ ছিল না। তথ্যগুলো ইতিহাসনির্ভর। নির্মাতা টিমের অনেক এফোর্ট ছিল। ওদের সহযোগিতা না পেলে কাজটি এভাবে করতে পারতাম না।
বিশেষ কোনো চাওয়া বা প্রস্তুতি ছিল আপনার?
ইন্তেখাব দিনার: আমি বলেছিলাম, প্রতি শটের আগে আমাকে মিনিমাম ১০-১৫ মিনিট সময় দিতে হবে। একটা নীরব জায়গা দিতে হবে। যেখানে আমি একটু কনসেনট্রেট করব। সেই ব্যবস্থা তারা করেছিল। প্রতি শটের আগে ওই জায়গায় বসে প্রস্তুতি নিতাম, তারপর শটে যেতাম।
অন্যান্য কাজে কি এ ধরনের সুযোগ পাওয়া যায়?
ইন্তেখাব দিনার: অন্যান্য কাজে তো ওই ১০ মিনিটের নীরবতার কোনো জায়গাই নেই। কারণ প্রতিদিন ২০-২৫টা দৃশ্যের শুটিং করা হয়। প্রতিদিন কতগুলো সিকোয়েন্স নামানো যায়, সেই ‘ধান্দা’ থাকে। ইচ্ছে করেই ‘ধান্দা’ শব্দটি ব্যবহার করলাম। কারণ, এ ধরনের কাজগুলোতে ফুটেজ নামানো হয় আসলে। ওখানে অভিনয়ের সুযোগ কম।
সংলাপ মুখস্থ রাখার বিষয়ে আপনার নাকি অসাধারণ দক্ষতা। শুধু নিজের সংলাপ নয়, সহ-অভিনয়শিল্পীদের সংলাপও আপনার হুবহু মনে থাকে।
ইন্তেখাব দিনার: এটা আমার মাঝে আগে থেকেই আছে। আরেকটা বিষয় হতে পারে, যখন আমি মঞ্চে কাজ করতাম, প্রম্প করতাম তখন। আমি আসলে ফলো করেছি আসাদুজ্জামান নূর ভাইকে। আমাদের গ্রুপের সিনিয়র ভাই। তিনি প্রম্প করতেন। ওই জায়গা থেকে আমারও আগ্রহ হয়। এটা করতে করতে আমার পুরো নাটকই মুখস্থ হয়ে যেত। ওই প্র্যাকটিসটা হয়তো হেল্প করে এখনো। আর স্কুলজীবন থেকেই আমার মুখস্থ করার ক্ষমতা বেশি ছিল।
দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মঞ্চ, টিভি, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপন এবং এখন ওটিটি মাধ্যমে। খুব বেশি উত্থান-পতনের গল্প নেই আপনার ক্যারিয়ারে। সমান্তরালে চলছেন।
ইন্তেখাব দিনার: আমি অ্যাকটিংয়ের জায়গাটা শুরু থেকেই দেখে আসছি। আমি টেস্ট খেলতে এসেছি এখানে। টি-টোয়েন্টি না। আমি হয়তো পাঁচ নম্বর বা ছয় নম্বরে ব্যাটিং করতে নামব। এ রকমই থাকতে চাই। দুই বলে ছয় রান করে আউট হয়ে যাব, ওটা আমার দরকার নেই।
খেলার প্রসঙ্গ আসায় মনে পড়ল, আপনি একসময় ফুটবল খেলতেন। অভিনেতা না হলে ফুটবলার হতে—এমন কথা বলেছেন বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে।
ইন্তেখাব দিনার: আমি নিয়মিত মাঠে গিয়ে খেলা দেখতাম। যখন স্কুলে পড়তাম, মাঠে গিয়ে আবাহনীর প্র্যাকটিস দেখতাম। যখন নাটকের সঙ্গে যুক্ত হলাম, তখন পুরো পাগলামিটাই এদিকে চলে এল।
সাক্ষাৎকার: খায়রুল বাসার নির্ঝর
টিভি নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনের নিয়মিত মুখ ইন্তেখাব দিনার। চরকির ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজে অভিনয় করে নতুন করে আলোচনায় তিনি। সিরিজে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকের কথোপকথনে তিনি। বেশ প্রশংসিত হয়েছে ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজটি। অনলাইন-অফলাইনে শোনা যাচ্ছে ইন্তেখাব দিনারের প্রশংসা।
কীভাবে যুক্ত হলেন এই সিরিজে?
ইন্তেখাব দিনার: সিরিজের পরিচালক রবিউল আলম রবি আমাকে একদিন ফোন করল। জানাল, সিরিজের ‘দ্বিখণ্ডিত’ গল্পে তারা আমাকে চাইছে। শিবব্রত বর্মনের লেখা। গল্পটা পাঠাল। গল্পটা পড়ে কনফিউজড হয়ে যাই। বললাম, এটা কীভাবে সম্ভব? একটা লোক ক্রমাগত বকবক করেই যাচ্ছে। দর্শক তো বিরক্ত হবে! রবি বলল, আমার ওপর ভরসা রাখেন। বোরিং লাগবে না। আমি বললাম, আমার কাছে অসম্ভবই মনে হচ্ছে। যখন চিত্রনাট্য পাঠাল, পড়ে আমি খুবই মুগ্ধ। যেভাবে সে সাজিয়েছে পুরো বিষয়টি, খুবই দারুণ।
‘দ্বিখণ্ডিত’ গল্পে আপনার সংলাপ বেশ দীর্ঘ। কোনো চ্যালেঞ্জ বা অসুবিধায় পড়েছেন এত বড় সংলাপ বলতে গিয়ে?
ইন্তেখাব দিনার: রবি জানাল, আমার প্রতিটি সংলাপ শুটিং করবে এক শটে। এত বড় সংলাপ এক শটে বলাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, যেহেতু প্রচুর সংলাপ এবং এগুলো সাধারণ সংলাপের মতো না। অনেক তথ্য-উপাত্ত আছে। ওটা ইম্প্রোভাইজ করা বা নিজের মতো বলার কোনো সুযোগ ছিল না। তথ্যগুলো ইতিহাসনির্ভর। নির্মাতা টিমের অনেক এফোর্ট ছিল। ওদের সহযোগিতা না পেলে কাজটি এভাবে করতে পারতাম না।
বিশেষ কোনো চাওয়া বা প্রস্তুতি ছিল আপনার?
ইন্তেখাব দিনার: আমি বলেছিলাম, প্রতি শটের আগে আমাকে মিনিমাম ১০-১৫ মিনিট সময় দিতে হবে। একটা নীরব জায়গা দিতে হবে। যেখানে আমি একটু কনসেনট্রেট করব। সেই ব্যবস্থা তারা করেছিল। প্রতি শটের আগে ওই জায়গায় বসে প্রস্তুতি নিতাম, তারপর শটে যেতাম।
অন্যান্য কাজে কি এ ধরনের সুযোগ পাওয়া যায়?
ইন্তেখাব দিনার: অন্যান্য কাজে তো ওই ১০ মিনিটের নীরবতার কোনো জায়গাই নেই। কারণ প্রতিদিন ২০-২৫টা দৃশ্যের শুটিং করা হয়। প্রতিদিন কতগুলো সিকোয়েন্স নামানো যায়, সেই ‘ধান্দা’ থাকে। ইচ্ছে করেই ‘ধান্দা’ শব্দটি ব্যবহার করলাম। কারণ, এ ধরনের কাজগুলোতে ফুটেজ নামানো হয় আসলে। ওখানে অভিনয়ের সুযোগ কম।
সংলাপ মুখস্থ রাখার বিষয়ে আপনার নাকি অসাধারণ দক্ষতা। শুধু নিজের সংলাপ নয়, সহ-অভিনয়শিল্পীদের সংলাপও আপনার হুবহু মনে থাকে।
ইন্তেখাব দিনার: এটা আমার মাঝে আগে থেকেই আছে। আরেকটা বিষয় হতে পারে, যখন আমি মঞ্চে কাজ করতাম, প্রম্প করতাম তখন। আমি আসলে ফলো করেছি আসাদুজ্জামান নূর ভাইকে। আমাদের গ্রুপের সিনিয়র ভাই। তিনি প্রম্প করতেন। ওই জায়গা থেকে আমারও আগ্রহ হয়। এটা করতে করতে আমার পুরো নাটকই মুখস্থ হয়ে যেত। ওই প্র্যাকটিসটা হয়তো হেল্প করে এখনো। আর স্কুলজীবন থেকেই আমার মুখস্থ করার ক্ষমতা বেশি ছিল।
দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন মঞ্চ, টিভি, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপন এবং এখন ওটিটি মাধ্যমে। খুব বেশি উত্থান-পতনের গল্প নেই আপনার ক্যারিয়ারে। সমান্তরালে চলছেন।
ইন্তেখাব দিনার: আমি অ্যাকটিংয়ের জায়গাটা শুরু থেকেই দেখে আসছি। আমি টেস্ট খেলতে এসেছি এখানে। টি-টোয়েন্টি না। আমি হয়তো পাঁচ নম্বর বা ছয় নম্বরে ব্যাটিং করতে নামব। এ রকমই থাকতে চাই। দুই বলে ছয় রান করে আউট হয়ে যাব, ওটা আমার দরকার নেই।
খেলার প্রসঙ্গ আসায় মনে পড়ল, আপনি একসময় ফুটবল খেলতেন। অভিনেতা না হলে ফুটবলার হতে—এমন কথা বলেছেন বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে।
ইন্তেখাব দিনার: আমি নিয়মিত মাঠে গিয়ে খেলা দেখতাম। যখন স্কুলে পড়তাম, মাঠে গিয়ে আবাহনীর প্র্যাকটিস দেখতাম। যখন নাটকের সঙ্গে যুক্ত হলাম, তখন পুরো পাগলামিটাই এদিকে চলে এল।
সাক্ষাৎকার: খায়রুল বাসার নির্ঝর
দর্শকের চাওয়ার জন্য হলেও বড় পর্দায় আমার কাজ করা উচিত। শাকিব ভাইয়ের মতো আমারও অনেক দর্শক আছে। যখন আমাদের দর্শক এক হয়ে যাবে, তখন তো ব্লাস্ট হবে।
৬ ঘণ্টা আগেপুষ্পা ২-এর ট্রেলার হবে প্রায় পৌনে তিন মিনিটের। ট্রেলারের পুরোটা জুড়ে থাকবে টানটান উত্তেজনা। আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রকাশ পাবে ট্রেলারটি।
৭ ঘণ্টা আগেতামিল ও তেলুগু সিনেমার এই আইকন তাঁর সময়ে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী ছিলেন। তাঁর বাড়িতে পাওয়া যায় ১০ হাজার ৫০০ শাড়ি, ৭৫০ জোড়া জুতা, ২৮ কেজি সোনা ও ৮০০ কেজি রূপা।
৭ ঘণ্টা আগেধানুশের উদ্দেশে ইনস্টাগ্রামে আজ তিন পৃষ্ঠার একটি খোলা চিঠি লিখেছেন নয়নতারা। তাতে ধানুশের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী। তাঁদের এ দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে রয়েছে একটি তথ্যচিত্র।
৯ ঘণ্টা আগে