মীর রাকিব হাসান
আজকের পত্রিকা: জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?
নিমা: এই করোনার মধ্যে সুস্থ আছি—এটাই বড় পাওয়া। বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিবারের সঙ্গে আছি, তাদের সঙ্গেই এই দিনে ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করব।
আজকের পত্রিকা: শৈশবের জন্মদিনগুলো কীভাবে কাটাতেন?
নিমা: শৈশবে খুব ধুমধাম করে জন্মদিন পালন হতো। আমার জন্মদিনগুলো বেশির ভাগ সময়ই নাটকের দলের সঙ্গে কাটত। আমাদের বাসায় রীতি আছে, আমরা আগের দিন রাতে কেক কাটি। সেটা প্রতিবারই হয়। জানাই থাকে কেক কাটা হবে। আমার জন্মদিন সব সময়ই আয়োজন করে উদ্যাপনের চেষ্টা করি। আগে থেকেই আমার জন্মদিন নিয়ে বলতে থাকি, আমার জন্মদিন জন্মদিন। তারিক ও ছেলে আরিক মিলে ব্যবস্থা করে, সারপ্রাইজ রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি এত এক্সাইটেড থাকি যে ওদের সারপ্রাইজের খবরও জেনে যাই।
আজকের পত্রিকা: জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?
নিমা: ছোটবেলার একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে জন্মদিন আসলেই। তখন আমার বয়স ছয় কি সাত বছর। বিটিভির নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বলা হলো, সেদিন আমার জন্মদিনে কোনো আয়োজন করা হবে না। সবাই অনেক ব্যস্ত। আমার তো ভীষণ মন খারাপ হলো। তখন সুবর্ণার বাবা গোলাম মুস্তাফা সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো, তোমার মন খারাপ কেন?’ তাঁকে জানালাম যে আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু কোনো আয়োজন করতে পারছি না। উনি আফসোস করে উহু, আহা বললেন। উনি লাঞ্চের সময় পূর্বাণী হোটেলে খেতে যেতেন। সেখান থেকে উনি একটা কেক নিয়ে আসেন। আমার মা খাবার আনিয়ে বড় আয়োজন করে ফেললেন। সেদিনের সেই মানুষগুলো অনেকেই আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু স্মৃতিগুলো রয়েই গেছে।
আজকের পত্রিকা: জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিয়ে বলুন…
নিমা: জন্ম ঢাকাতেই। হলি ফ্যামিলি হসপিটালে। তখনকার দিনে হলি ফ্যামিলি হসপিটালে জন্ম হওয়া একটা বড় ব্যাপার। তখন নতুন হয়েছে হলি ফ্যামিলি হসপিটাল। বাবা জুট বিজনেস করতেন। বলতে পারি ধনার্ঢ্য পরিবারেই আমার জন্ম। বাবা পাকিস্তান আমলেই জুটের প্রথম সারির ব্যবসায়ী ছিলেন। নানা হচ্ছেন কবি গোলাম মোস্তফা। মোস্তফা মনোয়ার আমার মামা। একদিকে ব্যবসায়িক পরিবারের, অন্যদিকে কালচারাল। দুটো বিষয় দেখেই বড় হওয়া। তবে আজকের অবস্থানে আসার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার মায়ের। খুব কালচারাল মাইন্ডের ছিলেন তিনি। মায়ের কাছ থেকেই প্রথমে কবিতা, ছড়াগান—এগুলো শিখি। মা–ই আমাকে নাটকে নিয়ে আসেন। স্টেজে নাটক করতে দেন। হাত ধরে শিল্প–সংস্কৃতির জগতে ওনার সঙ্গে হেঁটেছি।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা কী নিয়ে?
নিমা: এখন বড় ব্যস্ততা ‘গুলশান এভিনিউ’–এর দ্বিতীয় সিজন নিয়ে। আমার পরিচালনায় ধারাবাহিকটি প্রচার হবে বাংলাভিশনে। যখন লকডাউন থাকছে না তখন শুটিং করছি। বাসায় বসে স্ক্রিপ্ট কারেকশন করছি। লকডাউনের কারণেই একটু দেরি হয়ে গেল। মাস খানেকের মধ্যেই প্রচারে আসবে ধারাবাহিকটি। দর্শক চাইলে এবারও আগের মতো লম্বা ধারাবাহিক করার ইচ্ছে আছে। এবারের অন্যতম চমক এর পাত্র-পাত্রী। বেশির ভাগ অভিনেতাই নতুন। গল্পেও চমক আছে। গুলশানের একটা বাসায় শুটিং করছি। বেশ বড় রকমের আয়োজন বলতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে ডেইলি সোপ খুব একটা জনপ্রিয় হচ্ছে না কেন?
নিমা: কারণ, আমরা অতটা সিরিয়াস না। আমরা গল্পটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। অভিনয়টাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। হয়তো অভিনয় সিরিয়াসলি নিচ্ছি গল্প ভালো হচ্ছে না। কলকাতায় তো সবাই চাকরির মতো কাজ করে। প্রত্যেক দিন ওদের শুটিং থাকে। একটা গল্পের মধ্যে বসবাস করে। আমাদের তো সেটা হয় না। সিরিয়াস হতে হলে সবাই মিলে কাজটা করতে হবে। বিভিন্ন মাধ্যমে যখন ছোট ছোট কনটেন্ট হচ্ছে, তখন টেলিভিশনের দর্শক ধরে রাখার জন্য মানসম্মত ডেইলি সোপ খুব জরুরি।
আজকের পত্রিকা: মঞ্চের খবর কী?
নিমা: মঞ্চ নিয়ে এখন কিছুই বলা যায় না। এই মুহূর্তে অনলাইনে কিছু ক্লাস নিয়েছি। কিছু ওয়ার্কশপ করার চেষ্টা করেছি। আসলে মঞ্চের কাজ অনলাইনে হয় না। মঞ্চের মজাটা মঞ্চেই। করোনা চলে গেলে আমরা আবার ফিরব।
আজকের পত্রিকা: অবসর কাটছে কীভাবে?
নিমা: বাসায় থাকি। পরিবারের জন্য রান্নাবান্না করি। গান শুনি। ঘুম আমার খুব প্রিয়। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয়। বেশির ভাগই বিদেশে আছে। ওদের সঙ্গে কথা বললেও ভালো সময় কাটে। সেটা রেগুলার মেইনটেইন করার চেষ্টা করি। রোজ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলে মনে হয় কী যেন হলো না।
আজকের পত্রিকা: এই সময়ে মিডিয়ার অনেককেই নিয়ে নানা কথা উঠছে। এমনটা কেন হচ্ছে বলে মনে করেন?
নিমা: সামাজিক দায়বদ্ধতা জরুরি। আমি যে সমাজে বাস করি, সেই সমাজে আমার কাজটা কতটা নেতিবাচক ইমপেক্ট ফেলবে—তা নিয়ে যদি দায়বদ্ধতা না থাকে তাহলে তো শিল্পী হতে পারব না। শুধু শিল্পী কেন, সব পেশার মানুষেরই এই বোধটুকু থাকা উচিত। তা ছাড়া ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করতে হয়। আমি মনে করি সেটাও একজন শিল্পীর বড় হওয়ার অন্যতম শর্ত। চর্চাও করতে হয়। রাতারাতি শিল্পী হওয়া যায় না। শিল্পী হতে হলে বেসিক কিছু গুণ থাকাও জরুরি। ব্যাকগ্রাউন্ডেরও একটা বিষয় আছে।
আজকের পত্রিকা: সেটা কেমন?
নিমা: আমরা কাজ করছি সেই ছোট থেকে। পাশাপাশি পড়াশোনাতেও কিন্তু বেশ সিরিয়াস ছিলাম। পরিবারও একটা বিষয়। আমরা কী করতে পারি, কতটা করতে পারি—সে বিষয়ে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা যখন শুরু করেছি, ভালো ভালো পরিবার থেকে মেয়েরা সংস্কৃতিজগতে আসত। সংস্কৃতিজগতে আসতে হলেই মনে হতো আমার জানাশোনা থাকতে হবে। মেধাবী মানুষেরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দুইকথা বলতে গেলে তো নিজেরও সেভাবে প্রস্তুতি থাকতে হতো। সেই শিক্ষাটা খুব ম্যাটার করে। এখনকার দিনে অনেকেই আসছে যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে, জানাশোনা নিয়ে সন্দিহান। শুধু সৌন্দর্য মেইনটেইন করলেই হবে না। অনেক বই পড়তে হতো আমাদের। ওয়ার্কশপ করতে হতো। এগুলো তো এখন হয় না। পড়াশোনাটা তো একটা বিশাল ব্যাপার।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে বাংলাদেশে ‘লাইফস্টাইল শো’–এর পাইওনিয়র বলা হয়। বর্তমান সময়ে শোগুলো কীভাবে দেখছেন?
নিমা: আমার করা ‘আমাদের কথা’ ভেঙেই এখন অনেক রকম শো হচ্ছে। রান্না, রূপচর্চা, ঘর সাজানো, সেলিব্রেটিদের সাক্ষাৎকার, এক্সারসাইজ—সব একসঙ্গে নিয়ে শো করেছি। এখনকার সময়ে আমরা মনে হয় ঠিক ধরতে পারছি না কোন জায়গাটা ধরলে সাকসেসফুল হবে। রিসার্চ দরকার প্রচুর। অনেক প্রোগ্রাম দরকার নেই। একটা ভালো প্রোগ্রাম হলেও একটা টেলিভিশন হিট হয়ে যেতে পারে। তাই সময় নিয়ে সেটা করা দরকার। আমরা অনেক বিষয়েই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: পরিবার নিয়ে কিছু জানতে চাচ্ছি…
নিমা: পরিবারে আড্ডাটা খুব জরুরি। আমাদের পরিবারে নিয়মিত আড্ডা হয়। সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আড্ডা হয়। আমার পুত্রবধূ এগনেস র্যাচেল প্যারিস প্রিয়াংকা নাচের মেয়ে। ছেলে ফিল্ম বানায়। তারিক আনাম সাহেব তো আছেনই। এরা এগুলোর সঙ্গে রেগুলার আছেন। আমি সেখানে একটু চুপচাপই থাকি। ওদের সঙ্গে আড্ডায় বাইরের দুনিয়াটা এখন দেখতে পাই। এই আড্ডাটা আমাদের পরিবারের প্রাণ।
আজকের পত্রিকা: জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?
নিমা: এই করোনার মধ্যে সুস্থ আছি—এটাই বড় পাওয়া। বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিবারের সঙ্গে আছি, তাদের সঙ্গেই এই দিনে ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করব।
আজকের পত্রিকা: শৈশবের জন্মদিনগুলো কীভাবে কাটাতেন?
নিমা: শৈশবে খুব ধুমধাম করে জন্মদিন পালন হতো। আমার জন্মদিনগুলো বেশির ভাগ সময়ই নাটকের দলের সঙ্গে কাটত। আমাদের বাসায় রীতি আছে, আমরা আগের দিন রাতে কেক কাটি। সেটা প্রতিবারই হয়। জানাই থাকে কেক কাটা হবে। আমার জন্মদিন সব সময়ই আয়োজন করে উদ্যাপনের চেষ্টা করি। আগে থেকেই আমার জন্মদিন নিয়ে বলতে থাকি, আমার জন্মদিন জন্মদিন। তারিক ও ছেলে আরিক মিলে ব্যবস্থা করে, সারপ্রাইজ রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি এত এক্সাইটেড থাকি যে ওদের সারপ্রাইজের খবরও জেনে যাই।
আজকের পত্রিকা: জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?
নিমা: ছোটবেলার একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে জন্মদিন আসলেই। তখন আমার বয়স ছয় কি সাত বছর। বিটিভির নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বলা হলো, সেদিন আমার জন্মদিনে কোনো আয়োজন করা হবে না। সবাই অনেক ব্যস্ত। আমার তো ভীষণ মন খারাপ হলো। তখন সুবর্ণার বাবা গোলাম মুস্তাফা সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো, তোমার মন খারাপ কেন?’ তাঁকে জানালাম যে আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু কোনো আয়োজন করতে পারছি না। উনি আফসোস করে উহু, আহা বললেন। উনি লাঞ্চের সময় পূর্বাণী হোটেলে খেতে যেতেন। সেখান থেকে উনি একটা কেক নিয়ে আসেন। আমার মা খাবার আনিয়ে বড় আয়োজন করে ফেললেন। সেদিনের সেই মানুষগুলো অনেকেই আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু স্মৃতিগুলো রয়েই গেছে।
আজকের পত্রিকা: জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিয়ে বলুন…
নিমা: জন্ম ঢাকাতেই। হলি ফ্যামিলি হসপিটালে। তখনকার দিনে হলি ফ্যামিলি হসপিটালে জন্ম হওয়া একটা বড় ব্যাপার। তখন নতুন হয়েছে হলি ফ্যামিলি হসপিটাল। বাবা জুট বিজনেস করতেন। বলতে পারি ধনার্ঢ্য পরিবারেই আমার জন্ম। বাবা পাকিস্তান আমলেই জুটের প্রথম সারির ব্যবসায়ী ছিলেন। নানা হচ্ছেন কবি গোলাম মোস্তফা। মোস্তফা মনোয়ার আমার মামা। একদিকে ব্যবসায়িক পরিবারের, অন্যদিকে কালচারাল। দুটো বিষয় দেখেই বড় হওয়া। তবে আজকের অবস্থানে আসার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার মায়ের। খুব কালচারাল মাইন্ডের ছিলেন তিনি। মায়ের কাছ থেকেই প্রথমে কবিতা, ছড়াগান—এগুলো শিখি। মা–ই আমাকে নাটকে নিয়ে আসেন। স্টেজে নাটক করতে দেন। হাত ধরে শিল্প–সংস্কৃতির জগতে ওনার সঙ্গে হেঁটেছি।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা কী নিয়ে?
নিমা: এখন বড় ব্যস্ততা ‘গুলশান এভিনিউ’–এর দ্বিতীয় সিজন নিয়ে। আমার পরিচালনায় ধারাবাহিকটি প্রচার হবে বাংলাভিশনে। যখন লকডাউন থাকছে না তখন শুটিং করছি। বাসায় বসে স্ক্রিপ্ট কারেকশন করছি। লকডাউনের কারণেই একটু দেরি হয়ে গেল। মাস খানেকের মধ্যেই প্রচারে আসবে ধারাবাহিকটি। দর্শক চাইলে এবারও আগের মতো লম্বা ধারাবাহিক করার ইচ্ছে আছে। এবারের অন্যতম চমক এর পাত্র-পাত্রী। বেশির ভাগ অভিনেতাই নতুন। গল্পেও চমক আছে। গুলশানের একটা বাসায় শুটিং করছি। বেশ বড় রকমের আয়োজন বলতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে ডেইলি সোপ খুব একটা জনপ্রিয় হচ্ছে না কেন?
নিমা: কারণ, আমরা অতটা সিরিয়াস না। আমরা গল্পটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। অভিনয়টাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। হয়তো অভিনয় সিরিয়াসলি নিচ্ছি গল্প ভালো হচ্ছে না। কলকাতায় তো সবাই চাকরির মতো কাজ করে। প্রত্যেক দিন ওদের শুটিং থাকে। একটা গল্পের মধ্যে বসবাস করে। আমাদের তো সেটা হয় না। সিরিয়াস হতে হলে সবাই মিলে কাজটা করতে হবে। বিভিন্ন মাধ্যমে যখন ছোট ছোট কনটেন্ট হচ্ছে, তখন টেলিভিশনের দর্শক ধরে রাখার জন্য মানসম্মত ডেইলি সোপ খুব জরুরি।
আজকের পত্রিকা: মঞ্চের খবর কী?
নিমা: মঞ্চ নিয়ে এখন কিছুই বলা যায় না। এই মুহূর্তে অনলাইনে কিছু ক্লাস নিয়েছি। কিছু ওয়ার্কশপ করার চেষ্টা করেছি। আসলে মঞ্চের কাজ অনলাইনে হয় না। মঞ্চের মজাটা মঞ্চেই। করোনা চলে গেলে আমরা আবার ফিরব।
আজকের পত্রিকা: অবসর কাটছে কীভাবে?
নিমা: বাসায় থাকি। পরিবারের জন্য রান্নাবান্না করি। গান শুনি। ঘুম আমার খুব প্রিয়। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয়। বেশির ভাগই বিদেশে আছে। ওদের সঙ্গে কথা বললেও ভালো সময় কাটে। সেটা রেগুলার মেইনটেইন করার চেষ্টা করি। রোজ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলে মনে হয় কী যেন হলো না।
আজকের পত্রিকা: এই সময়ে মিডিয়ার অনেককেই নিয়ে নানা কথা উঠছে। এমনটা কেন হচ্ছে বলে মনে করেন?
নিমা: সামাজিক দায়বদ্ধতা জরুরি। আমি যে সমাজে বাস করি, সেই সমাজে আমার কাজটা কতটা নেতিবাচক ইমপেক্ট ফেলবে—তা নিয়ে যদি দায়বদ্ধতা না থাকে তাহলে তো শিল্পী হতে পারব না। শুধু শিল্পী কেন, সব পেশার মানুষেরই এই বোধটুকু থাকা উচিত। তা ছাড়া ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করতে হয়। আমি মনে করি সেটাও একজন শিল্পীর বড় হওয়ার অন্যতম শর্ত। চর্চাও করতে হয়। রাতারাতি শিল্পী হওয়া যায় না। শিল্পী হতে হলে বেসিক কিছু গুণ থাকাও জরুরি। ব্যাকগ্রাউন্ডেরও একটা বিষয় আছে।
আজকের পত্রিকা: সেটা কেমন?
নিমা: আমরা কাজ করছি সেই ছোট থেকে। পাশাপাশি পড়াশোনাতেও কিন্তু বেশ সিরিয়াস ছিলাম। পরিবারও একটা বিষয়। আমরা কী করতে পারি, কতটা করতে পারি—সে বিষয়ে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা যখন শুরু করেছি, ভালো ভালো পরিবার থেকে মেয়েরা সংস্কৃতিজগতে আসত। সংস্কৃতিজগতে আসতে হলেই মনে হতো আমার জানাশোনা থাকতে হবে। মেধাবী মানুষেরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দুইকথা বলতে গেলে তো নিজেরও সেভাবে প্রস্তুতি থাকতে হতো। সেই শিক্ষাটা খুব ম্যাটার করে। এখনকার দিনে অনেকেই আসছে যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে, জানাশোনা নিয়ে সন্দিহান। শুধু সৌন্দর্য মেইনটেইন করলেই হবে না। অনেক বই পড়তে হতো আমাদের। ওয়ার্কশপ করতে হতো। এগুলো তো এখন হয় না। পড়াশোনাটা তো একটা বিশাল ব্যাপার।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে বাংলাদেশে ‘লাইফস্টাইল শো’–এর পাইওনিয়র বলা হয়। বর্তমান সময়ে শোগুলো কীভাবে দেখছেন?
নিমা: আমার করা ‘আমাদের কথা’ ভেঙেই এখন অনেক রকম শো হচ্ছে। রান্না, রূপচর্চা, ঘর সাজানো, সেলিব্রেটিদের সাক্ষাৎকার, এক্সারসাইজ—সব একসঙ্গে নিয়ে শো করেছি। এখনকার সময়ে আমরা মনে হয় ঠিক ধরতে পারছি না কোন জায়গাটা ধরলে সাকসেসফুল হবে। রিসার্চ দরকার প্রচুর। অনেক প্রোগ্রাম দরকার নেই। একটা ভালো প্রোগ্রাম হলেও একটা টেলিভিশন হিট হয়ে যেতে পারে। তাই সময় নিয়ে সেটা করা দরকার। আমরা অনেক বিষয়েই গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: পরিবার নিয়ে কিছু জানতে চাচ্ছি…
নিমা: পরিবারে আড্ডাটা খুব জরুরি। আমাদের পরিবারে নিয়মিত আড্ডা হয়। সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আড্ডা হয়। আমার পুত্রবধূ এগনেস র্যাচেল প্যারিস প্রিয়াংকা নাচের মেয়ে। ছেলে ফিল্ম বানায়। তারিক আনাম সাহেব তো আছেনই। এরা এগুলোর সঙ্গে রেগুলার আছেন। আমি সেখানে একটু চুপচাপই থাকি। ওদের সঙ্গে আড্ডায় বাইরের দুনিয়াটা এখন দেখতে পাই। এই আড্ডাটা আমাদের পরিবারের প্রাণ।
বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে হবে এ আয়োজন। কার্ল মার্ক্সের জীবন ও মতাদর্শের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ নাটকে।
১৮ মিনিট আগেপ্রেক্ষাগৃহের পর ওমর এবার দেখা যাবে ওটিটিতে। ২১ নভেম্বর থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে স্ট্রিমিং হবে সিনেমাটি। প্রেক্ষাগৃহের মতো টিকিট কেটে ওমর দেখতে পারবেন দর্শক, লাগবে ৩৫ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেঅভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণেও হাত পাকাচ্ছেন অজয় দেবগন। এই মধ্যে চারটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। সেসব সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিজেই। তবে এবার সে পথে হাঁটছেন না। নিজের পরিচালিত সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে রাখছেন অক্ষয় কুমারকে।
২ ঘণ্টা আগে‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেইরি টেল’, দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নয়নতারাকে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। আগামীকাল ১৮ নভেম্বর তাঁর ৪০ তম জন্মদিনে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। কিন্তু মুক্তির ঠিক আগে আগে নয়নতারা এ তথ্যচিত্র নিয়ে অন্যতম জনপ্রিয় তারকা ও প্রযোজক ধানুশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন দ
৩ ঘণ্টা আগে