এম এস রানা, ঢাকা
সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে চলচ্চিত্রের বাজার সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে এবং এই শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে চলচ্চিত্রকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেই দলে থাকা চিত্রগ্রাহক মাসুদ-উর-রহমান একটি নিবন্ধে জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন মনোযোগ দিয়ে শিল্পীদের কথা শুনেছেন, মাঝেমধ্যে কথাও বলেছেন। একসময় তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, ‘আমি হয়তো আর বেশি দিন বাঁচব না রে! এই বাংলাদেশকে আমি বড়ই ভালোবাসি। তোদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আমার সোনার বাংলা, তোরা যদি পারিস এই সোনার বাংলাদেশকে নিয়ে সোনার বাংলা ছবি তৈরি করিস…।’
সেই দলে ছিলেন অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। তাঁকে উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘এই যে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা।’ শিল্পী আনোয়ার হোসেন থতমত অবস্থায় সহাস্যে বললেন, ‘না মুজিব ভাই, বাংলার নবাব তো আপনি।’ আনোয়ার হোসেনকে জড়িয়ে ধরলেন বঙ্গবন্ধু। বললেন, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছবিটি আমি কয়েকবার দেখেছি। তোর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে রে। এখন তো সময় পাই না। তবে, মাঝে মাঝে মনে পড়ে সেই সংলাপগুলো–‘বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার মহান অধিপতি..।’ সংলাপ বলতে বলতে হলের মাঝখানে রাখা সোফাতে গিয়ে বসলেন বঙ্গবন্ধু।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ও ‘রূপবান’ ছবি দুটি দেখেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়া চাষী নজরুল ইসলামের ‘সংগ্রাম’ ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘সংগ্রাম’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর অভিনয় তাঁর চলচ্চিত্রপ্রীতির একটি নমুনা। চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধ রক্ষা করতেই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এই ছবির শেষ দৃশ্যে অভিনয় করেন বঙ্গবন্ধু।
ছবির শেষ অংশে সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একধরনের দুঃসাহস নিয়েই খসরু আর পরিচালক হাজির হলেন বঙ্গবন্ধুর সামনে। সেখানে অভিনেতা খসরু বঙ্গবন্ধুকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমে না করলেও পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য বঙ্গবন্ধুকে রাজি করান খসরু। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তদারকিতে মার্চপাস্টের আয়োজন করা হয় পিলখানায়। শুটিং হয় ১৯৭৩ সালে।
সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে চলচ্চিত্রের বাজার সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে এবং এই শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে চলচ্চিত্রকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেই দলে থাকা চিত্রগ্রাহক মাসুদ-উর-রহমান একটি নিবন্ধে জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন মনোযোগ দিয়ে শিল্পীদের কথা শুনেছেন, মাঝেমধ্যে কথাও বলেছেন। একসময় তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, ‘আমি হয়তো আর বেশি দিন বাঁচব না রে! এই বাংলাদেশকে আমি বড়ই ভালোবাসি। তোদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আমার সোনার বাংলা, তোরা যদি পারিস এই সোনার বাংলাদেশকে নিয়ে সোনার বাংলা ছবি তৈরি করিস…।’
সেই দলে ছিলেন অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। তাঁকে উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘এই যে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা।’ শিল্পী আনোয়ার হোসেন থতমত অবস্থায় সহাস্যে বললেন, ‘না মুজিব ভাই, বাংলার নবাব তো আপনি।’ আনোয়ার হোসেনকে জড়িয়ে ধরলেন বঙ্গবন্ধু। বললেন, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছবিটি আমি কয়েকবার দেখেছি। তোর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে রে। এখন তো সময় পাই না। তবে, মাঝে মাঝে মনে পড়ে সেই সংলাপগুলো–‘বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার মহান অধিপতি..।’ সংলাপ বলতে বলতে হলের মাঝখানে রাখা সোফাতে গিয়ে বসলেন বঙ্গবন্ধু।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ও ‘রূপবান’ ছবি দুটি দেখেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়া চাষী নজরুল ইসলামের ‘সংগ্রাম’ ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘সংগ্রাম’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর অভিনয় তাঁর চলচ্চিত্রপ্রীতির একটি নমুনা। চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধ রক্ষা করতেই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এই ছবির শেষ দৃশ্যে অভিনয় করেন বঙ্গবন্ধু।
ছবির শেষ অংশে সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একধরনের দুঃসাহস নিয়েই খসরু আর পরিচালক হাজির হলেন বঙ্গবন্ধুর সামনে। সেখানে অভিনেতা খসরু বঙ্গবন্ধুকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমে না করলেও পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য বঙ্গবন্ধুকে রাজি করান খসরু। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তদারকিতে মার্চপাস্টের আয়োজন করা হয় পিলখানায়। শুটিং হয় ১৯৭৩ সালে।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন কেয়া পায়েল। ‘মায়ার জালে’, ‘তুমি আমি আর ডিস্টার্ব’, ‘আমার কথা একবারও ভাবলে না’, ‘গার্লফ্রেন্ড’সহ বেশ কয়েকটি নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন দুজনে।
৩ ঘণ্টা আগেশোরুম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসেন পরীমনি ও ডি এ তায়েব। এ সময়ও স্টেজের সামনে দর্শকদের জড়ো হতে বাধা দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কয়েকজনের গায়ে হাত তোলা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
১৫ ঘণ্টা আগেঅক্ষয়ের স্পষ্ট জবাব, ‘আমাদের মধ্যে একতা নেই। শ্রদ্ধাবোধেরও যথেষ্ট অভাব।’ অক্ষয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অজয় বললেন, ‘দক্ষিণী তারকারা যেভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ান তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। বলিউডে এই বিষয়টির অভাব রয়েছে।’
১৫ ঘণ্টা আগে‘ভূতপরী’ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার (ইফি) ৫৫তম আসরে থাকবেন জয়া আহসান। একই উৎসবে দেখানো হবে মেহজাবীন অভিনীত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’।
১৯ ঘণ্টা আগে