রিপন চন্দ্র রায়, রাবি
আকাশছোঁয়া গগন শিরীষ, জারুল, দেবদারু, পলাশ, আমসহ বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদের জন্য পরিচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসের যেকোনো গাছের দিকে তাকালে চোখে পড়ত কাঠবিড়ালির ছোটাছুটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশাল ক্যাম্পাসের শত শত গাছে ছিল এদের রামরাজত্ব। গাছে গাছে ছোটাছুটি চলত সারাক্ষণ। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সঙ্গে এই ক্যাম্পাসে বসতি ভাগাভাগি করে নিতে এদের খুব একটা সমস্যা কখনোই হয়নি।
কিন্তু বছরখানেক থেকে কাঠবিড়ালির সেই রাজত্ব আর দেখা যাচ্ছে না। একসময় যে ক্যাম্পাসে কাঠবিড়ালির কারণে কিছুটা বিরক্তই হতে হতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের, সেখানে এখন সারা দিন ঘুরেও দু-একটা চোখে পড়ছে না। প্রাণিবিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রধানত গাছনিধন, বৈরী আবহাওয়া ও খাদ্যসংকটের কারণে এই প্রাণী ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাস থেকে।
রাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ও ক্যাম্পাসসংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা জানিয়েছেন, বছরখানেক আগেও ক্যাম্পাসের ছোট-বড় গাছে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই প্রাণীর ছিল অবাধ বিচরণ। মূল গেট থেকে জোহা চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দুইদিকে চোখে পড়ত দলে দলে দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে দেবদারুগাছে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া কাঠবিড়ালিদের।
শুধু মূল গেট থেকে জোহা চত্বর পর্যন্তই নয়, প্যারিস রোড, জুবেরি ভবনসহ প্রতিটি ভবনের সামনের বাগান, শেখ রাসেল মাঠ, পশ্চিম পাড়া কিংবা ক্যাম্পাসের অন্যান্য বাগান ও রাস্তার পাশের গাছে দেখা মিলত কাঠবিড়ালির বিচিত্র কর্মকাণ্ডের। কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে ছটফটে ছোট্ট এই প্রাণী।
দিন দিন কাঠবিড়ালির সংখ্যা কমে যাওয়া বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মূলত বৃক্ষনিধনের কারণে এ ধরনের প্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কাঠবিড়ালির জন্য যে ধরনের গাছ উপযোগী, সেই গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া খাদ্যসংকট আছে। ক্যাম্পাসের সর্বত্র মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় এদের বসবাসের জায়গা কমে গেছে। সব মিলিয়ে পরিবেশগত একটা ভারসাম্যহীনতার কারণে এই প্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী এরশাদ আলম বলেন, ‘কিছুদিন আগেও কাঠবিড়ালিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী আমাদের ক্যাম্পাসে বিচরণ করত। কিন্তু ইদানীং সেই প্রাণীগুলো ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এই প্রাণী রক্ষায় প্রশাসন যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে।’
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘মূলত ক্যাম্পাসে কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য এসব প্রাণীর আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রাণীগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ফলে এরাও সর্বত্র চলাফেরা করে না। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে উচ্চ শব্দের কনসার্টের কারণে এদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়। ফলে এই প্রাণীগুলো ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।’
কাঠবিড়ালি ও অন্যান্য প্রাণী রক্ষায় প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না—এই প্রশ্ন করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাঠবিড়ালি মূলত ক্যাম্পাসের গাছেই থাকে। এখন ফলফলাদির মৌসুম নয়।
সে জন্য হয়তো এদের আনাগোনা কমে গেছে। সামনে ফলের মৌসুম আসছে, তখন হয়তো এদের সংখ্যাও বাড়বে। এরপরও প্রাণীদের মধ্যে যেন ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য কনসার্টে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের নীতিমালা আমরা তৈরি করেছি। কনস্ট্রাকশনের বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় আছে। তবে আমরা যদি এই প্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে এরা টিকে থাকবে। তাতে আমাদের জীববৈচিত্র্যও রক্ষা হবে। এ জন্য আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
আকাশছোঁয়া গগন শিরীষ, জারুল, দেবদারু, পলাশ, আমসহ বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদের জন্য পরিচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসের যেকোনো গাছের দিকে তাকালে চোখে পড়ত কাঠবিড়ালির ছোটাছুটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশাল ক্যাম্পাসের শত শত গাছে ছিল এদের রামরাজত্ব। গাছে গাছে ছোটাছুটি চলত সারাক্ষণ। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সঙ্গে এই ক্যাম্পাসে বসতি ভাগাভাগি করে নিতে এদের খুব একটা সমস্যা কখনোই হয়নি।
কিন্তু বছরখানেক থেকে কাঠবিড়ালির সেই রাজত্ব আর দেখা যাচ্ছে না। একসময় যে ক্যাম্পাসে কাঠবিড়ালির কারণে কিছুটা বিরক্তই হতে হতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের, সেখানে এখন সারা দিন ঘুরেও দু-একটা চোখে পড়ছে না। প্রাণিবিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রধানত গাছনিধন, বৈরী আবহাওয়া ও খাদ্যসংকটের কারণে এই প্রাণী ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাস থেকে।
রাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ও ক্যাম্পাসসংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা জানিয়েছেন, বছরখানেক আগেও ক্যাম্পাসের ছোট-বড় গাছে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই প্রাণীর ছিল অবাধ বিচরণ। মূল গেট থেকে জোহা চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দুইদিকে চোখে পড়ত দলে দলে দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে দেবদারুগাছে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া কাঠবিড়ালিদের।
শুধু মূল গেট থেকে জোহা চত্বর পর্যন্তই নয়, প্যারিস রোড, জুবেরি ভবনসহ প্রতিটি ভবনের সামনের বাগান, শেখ রাসেল মাঠ, পশ্চিম পাড়া কিংবা ক্যাম্পাসের অন্যান্য বাগান ও রাস্তার পাশের গাছে দেখা মিলত কাঠবিড়ালির বিচিত্র কর্মকাণ্ডের। কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে ছটফটে ছোট্ট এই প্রাণী।
দিন দিন কাঠবিড়ালির সংখ্যা কমে যাওয়া বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মূলত বৃক্ষনিধনের কারণে এ ধরনের প্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কাঠবিড়ালির জন্য যে ধরনের গাছ উপযোগী, সেই গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া খাদ্যসংকট আছে। ক্যাম্পাসের সর্বত্র মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় এদের বসবাসের জায়গা কমে গেছে। সব মিলিয়ে পরিবেশগত একটা ভারসাম্যহীনতার কারণে এই প্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী এরশাদ আলম বলেন, ‘কিছুদিন আগেও কাঠবিড়ালিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী আমাদের ক্যাম্পাসে বিচরণ করত। কিন্তু ইদানীং সেই প্রাণীগুলো ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এই প্রাণী রক্ষায় প্রশাসন যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে।’
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘মূলত ক্যাম্পাসে কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য এসব প্রাণীর আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রাণীগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ফলে এরাও সর্বত্র চলাফেরা করে না। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে উচ্চ শব্দের কনসার্টের কারণে এদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়। ফলে এই প্রাণীগুলো ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।’
কাঠবিড়ালি ও অন্যান্য প্রাণী রক্ষায় প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না—এই প্রশ্ন করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাঠবিড়ালি মূলত ক্যাম্পাসের গাছেই থাকে। এখন ফলফলাদির মৌসুম নয়।
সে জন্য হয়তো এদের আনাগোনা কমে গেছে। সামনে ফলের মৌসুম আসছে, তখন হয়তো এদের সংখ্যাও বাড়বে। এরপরও প্রাণীদের মধ্যে যেন ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য কনসার্টে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের নীতিমালা আমরা তৈরি করেছি। কনস্ট্রাকশনের বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় আছে। তবে আমরা যদি এই প্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে এরা টিকে থাকবে। তাতে আমাদের জীববৈচিত্র্যও রক্ষা হবে। এ জন্য আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
চীনের জিয়াংসু ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেনশি য়াল স্কলারশিপ ২০২৫-২৬-এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেউপমহাদেশের প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ঢাকা কলেজ। ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০ নভেম্বর কলেজটি ১৮৪তম বছরে পদার্পণ করবে। ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার
৫ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে কমলালেবুর মতো বড় যে গোল বিল্ডিংটি দেখা যায়, তার নাম সি বিল্ডিং। এখানেই রয়েছে চোখধাঁধানো এক লাইব্রেরি। এ বিল্ডিংয়ে প্রবেশের পর প্রথমে চোখ পড়বে ইতালীয় রেনেসাঁ যুগের চিত্রশিল্পী রাফায়েলের চিত্র ‘দ্য স্কুল অব এথেন্স’।
৫ ঘণ্টা আগে‘সেরা’ বিষয়টি সব সময় ভালো অনুভূতি দেয়। শিক্ষার্থীরাও তাই ভবিষ্যতে সফল হতে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে চান স্বাভাবিকভাবে। আমেরিকা বা ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে পিছিয়ে নেই এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
৫ ঘণ্টা আগে